স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) বর্তমানে এমন একটি গুরুত্বর্পূণ স্কিল যা একজন স্কুলের ছাত্র থেকে শুরু করে বড় বড় কোম্পানীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা সকলদের থাকা উচিত। ঠিকভাবে ইংরেজী বলতে না পারার কারনে কতো ধরনের যে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তা কেবল যারা এই সমস্যাগুলির মুখোমুখি হয়েছেন কেবল তারাই জানেন।

ইংরেজি শেখার প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে কে না জানে? ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক এবং দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা। এজন্য দেশের বেশিরভাগ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির অফিশিয়াল ভাষা ইংরেজি। এটি বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই প্রচলিত।

আপনি যদি খুব ভালোভাবে ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন, এটি অবশ্যই আপনার চাকরি জীবনে অনেক সহায়তা করবে। অতএব আপনি বুঝতেই পারছেন স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) শেখাটা বর্তমান বিশ্বে আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমানের আধুনিক যুগে স্পোকেন ইংলিশ শেখাটা খুবই জরুরী। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্পোকেন ইংলিশের কোর্স (Spoken English Course in Bangladesh) যেমন অনেক আছে তেমনি প্রচুর পরিমাণে ভিডিও টিউটোরিয়ালও রয়েছে ইউটিউবে (YouTube)।

আপনি চাইলেই ঘরে বসে আপনার সুযোগ মতো অবসর সময়ে কোর্সগুলো করে কিংবা ভিডিও দেখেই নিজেকে ইংরেজীতে আরো দক্ষ করে তুলতে পারেন।

স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) শেখার ক্ষেত্রে প্রথমেই যে সমস্যাটির সম্মুখীন আপনি হবেন সেটি হলো ইংলিশের প্রতি ভয়। অনেকেই আমার এই বাক্যটির সাথে একমত হবেন।

এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। ওই নিয়ম গুলো অনুসরন করে আপনি খুব সহজেই জিনিসটা আয়ত্ত করতে পারবেন। এই অনুচ্ছেদটিতে আমরা মুলত সেগুলো নিয়েই আলোচনা করবো।

ইংরেজি শেখার সহজ পদ্ধতিগুলো নিয়ে মূলত আজকে আমরা আলোচনা করবো। কিভাবে করে কম সময়ে খুবই সহজে আপনি সঠিকভাবে শুদ্ধ উচ্চারনে ইংরেজী বলতে পারবেন - সেই বিষয়গুলো নিয়েই মূলত আজকে আমাদের এই আর্টিকেল।

যাহোক, এখানে আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় হলো স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) এর হাতেখড়ি। আশা করছি, এই আর্টিকেলটিতে আপনি স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) সম্পর্কিত যে বিষয়গুলো জানতে চাচ্ছেন তার সবই একত্রে পাবেন।  তো দেরি না করে চলুন বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।

স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) শেখার সহজ পদ্ধতি

অনেকেই জানতে চান স্পোকেন ইংলিশ শেখার সহজ উপায় সর্ম্পকে। সত্যি কথা বলতে এ পৃথিবীতে এমন কোনো গুণ কিংবা স্কিল আছে বলে আমাদের জানা নেই যা কোনো রকম পরিশ্রম বা কষ্ট করা ছাড়াই শেখা বা অর্জন করা সম্ভব।

তবে সেক্ষেত্রে আমাদের আজকের পোস্টে আলোচ্য আমরা চেষ্টা করেছি এমন সব বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে যেগুলোর মাধ্যমে তুলনামূলক কম সময়ে ও স্বল্প পরিশ্রমেই আপনি হয়ে যেতে পারবেন ইংরেজীতে একজন পটু ব্যক্তি।

স্পোকেন ইংলিশ শেখার উপায় নিয়ে যদি বলতে হয় তাহলে বলবো, সত্যি কথা বলতে ইংরেজী শেখার উপায়ের কোনো শেষ নেই। একেকজন একেকভাবে বিষয়টি শিখতে পারে।

তবে আমরা এখানে চেষ্টা করেছি সবচেয়ে কার্যকর ও তুলনামূলকভাবে সহজ পদ্ধতিগুলো নিয়ে আলোচনা করার।

ইংরেজিতে দ্রুত কথোপকথন শেখার অনেক পদ্ধতিই আপনি অনলাইনে পেয়ে যাবেন। কিন্তু তার সবগুলোই কাজের নয়। স্পোকেন ইংলিশ রুল বলে কিন্তু একটা বিষয় অবশ্যই থেকে যায়।

আমাদের এখানে আলোচ্য প্রত্যেকটি বিষয়ই সঠিক নিয়মকানুন মেনে বলা হয়েছে; যেন ভবিষ্যতে আপনাকে কোনো রকম বিপাকে পড়তে না হয়।

এখানে ঘরে বসে স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) শেখার সবথেকে কার্যকরী পদ্ধতিগুলো দেওয়া হলোঃ

১। শেখার কারন ঠিক করুন

স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) শেখার ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে একটি কারন ঠিক করে নিতে হবে। যখন একটি গুরুত্বপূর্ণ কারন থাকে কোনো কাজের, তখন কাজটার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়।

তাই, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটা কারন ঠিক করে সেটিকে সবসময় আপনার মাথায় রাখুন। দেখবেন ইংরেজি যত কঠিনই হোক না কেন আপনার জন্য, আপনি খুব সহজেই সেটি রপ্ত করে ফেলতে পারবেন।

ইংলিশ স্পোকেন বিষয়টি আমাদের কাছে অনেক সময়ই খুব একটা সহজ হয় না। কেননা আমরা অনেক সময়ই আমাদের লক্ষ্য ও গোল সর্ম্পকেই সঠিকভাবে জানি না।

যেমন, ধরুন আপনি বিদেশ যেতে চাচ্ছেন। সেজন্য ইংরেজি আপনার একটি পূর্বশর্ত এই বিষয়টি মাথায় সেট করে ফেলুন। সবসময় মাথায় রাখুন যদি আপনি ইংরেজি শিখতে  ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে আপনার বিদেশ যাওয়ার স্বপ্নও বৃথা হয়ে যাবে। তখন দেখবেন ইংরেজি আপনার জন্য সহজ হয়ে গেছে।

২। একটি লক্ষ্য ঠিক করুন

লক্ষ্যহীন ভাবে কোনো কাজ করলে কখন সফল হওয়া যায় না। এজন্য ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রেও আপনাকে একটি লক্ষ্য ঠিক করে নিতে হবে যে আপনি স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English)-ই একটি নির্দিষ্ট পরিমান দক্ষ হবেন। এভাবে আপনার শেখার কাজটি সহজ হয়ে যাবে।

একটি লক্ষ্য ঠিক রাখার ক্ষেত্রেও আপনাকে কিছু জিনিস মেনে চলতে হিবে। প্রথমত এ বিষয়ে আপনার লক্ষ্যটি সুস্পষ্ট হতে হবে। যেমন, পরবর্তী ছয় মাসে আপনি পড়াশুনা করে আইইএলটিএস এ ৬.০ পয়েন্ট তুলবেন।

এই স্পষ্ট লক্ষের জন্য আপনি খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারবেন যে পরবর্তী ছয় মাসে আপনাকে কি কি করতে হবে।

৩। ইংরেজির ভয় দূর করুন

স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) বা যেকোনো ইংরেজি শিক্ষার ক্ষেত্রে মানুষ পিছিয়ে পড়ার সবথেকে কমন যে কারন সেটি হলো ইংরেজির প্রতি ভয়। এই ভয়ই প্রত্যেকটি মানুষকে কাবু করে ফেলে।

কোনো বিষয় থেকে ভয় কাটানোর সবথেকে কার্যকরী উপায় হলো ওই কাজ টি বার বার করা যতক্ষন না পর্যন্ত ভয় কমে। এক্ষেত্রে আপনিও একই কাজ করবেন। আপনার ইংরেজি তে যে জিনিসটা সবথেকে বেশি ভয়ের লাগছে সেটি বার বার করতে থাকুন।

আপনার ইংরেজি শোনার ক্ষেত্রে ভয়? বিভিন্ন ইংরেজি অডিও ক্লিপ শুনতে থাকুন। বার বার শুনতে থাকুন। প্রথম কয়েকবারে না পারলেও পরে ঠিকই সফল হবে লিসেনিং-এ। এভাবে যতদুর সম্ভব আপনার ভয়টা কাটিয়ে নিন। দেখবেন ইংরেজি শেখা একদন ভাত ডালের মতো হয়ে গেছে আপনার কাছে।

৪। কিছুটা সহজ ইংরেজি দিয়ে শেখা শুরু করুন

স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) শেখা শুরু করার সময় একটু সহজ প্রকৃতির ইংরেজি দিয়ে শুরু করুন। সেক্ষেত্রে আপনি মাধ্যমিক পর্যায়ের বইগুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন। ওইবই গুলো তে প্রাথমিক পর্যায়ের ইংরেজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এটি না করে আপনি যদি প্রথমেই রবীন্দ্রনাথের ইংরেজিতে অনুবাদকৃত কোনো উপন্যাস পড়তে যান, প্রথমেই আপনার মনবল কমে যাবে যা আপনার ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রে খুবই ক্ষতিকর হবে।

সহজ সহজ বাক্য মুখস্থ করতে থাকুন এবং সেগুলো নিজে নিজেই চর্চা করতে থাকুন। এতে করে দেখবেন আপনার মনোবলও ঠিক আছে আবার আপনি প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখছেন।

৫। প্রচুর স্টাডি করুন

স্ট্যাডির কথা বললেই এক্ষেত্রে অনেকে ইংলিশ স্পোকেন কোর্স (English Spoken Course) এর দিকে ঝুঁকে যায়। তারা মনে করেন যে হয়ত কোনো ভালো জায়গা থেকে কোনো কোর্স করে নিলেই হয়ত আর খুব একটা স্ট্যাডি করার প্রয়োজন নেই। বিষয়টা কিন্তু একদমই ঠিক নয়।

যেকোনো ভাষা রপ্ত করার ক্ষেত্রে পড়ার বিকল্প কিছুই নেই। স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) শেখার ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই। অনলাইন অফলাইন প্রচুর বই বা অন্যসব রিসোর্স পেয়ে যাবেন। সেগুলো যতদূর সম্ভব সংগ্রহ করবেন এবং পড়তে থাকবেন। আগেই বলেছি প্রথমে সহজ প্রকৃতির বইগুলো দিয়ে শুরু করবেন।

প্রথমে কোনো বইই পড়তে ইচ্ছা করবেন। একটু ধৈর্য ধরে পড়তে থাকুন। ধৈর্য হারাবেন না। পড়তে পড়তে একটা সময় পড়ার ভেতরে মজা পেয়ে যাবেন। তখন পুরা বিষয় টাই আপনার কাছে সহজ হয়ে যাবে। তখন স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) আপনার জন্য আরও বেশি সহজ হয়ে যাবে।

৬। আপনার শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন

আপনি যে ভাষায় শিখতে যান না কেন সবথেকে বেশি ভুমিকা রাখে ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে ওই ভাষার শব্দ ভাণ্ডার গুলো। আপনি যে ভাষার যত বেশি শব্দ ভাণ্ডার আয়ত্ত করতে পারবেন, সে ভাষায় তত বেশি দক্ষ হবেন। এক্ষেত্রে নিয়মিত শব্দ চর্চা করতে থাকুন।

ভোকাবুলারি মুখস্থ করার ক্ষেত্রে প্রথমে একেবারেই কিছু মনে থাকবেনা। তাই বার বার একই জিনিস পড়তে হবে। প্রতিদিন প্রথমে ৫টা করে ভোকাবুলারি মুখস্থ করুন। সকালে উঠে মুখস্থ করে সারাদিন বার বার মনে করতে থাকুন।

প্রত্যেকটা কাজের ফাকে ফাকে একবার করে মনে করে দেখুন যে আপনি সকালে যে শব্দগুলো মুখস্থ করেছিলেন সেগুলো মকনে আছে কিনা। মনে না থাকলে আবার বই টা দেখে নিন। তারপরে আবার মনে করতে থাকুন।

এর পরের দিন যখন নতুন ৫টা শব্দ আপনি মুখস্থ করবেন তার আগে আগের দিনের ৫টা আবার রিভিশন দিন। দেখুন মনে আছে কিনা। এভাবে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে আওনার শব্দ ভাণ্ডার বাড়াতে থাকুন।

৭। ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করুন

এই পর্যায়ে আপনি আপনার স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) শেখার মূল ধাপে এসেছেন। আপনি যেহেতু স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) শিখতে চাচ্ছেন এখত্রে আপনাকে ইংরেজি বলার উপরে বেশি নজর দিতে হবে। দ্রুত ইংরেজিতে কথোপকথন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিজে নিজে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে।

আপনি যদি IELTS ও TOEFL এর কোর্সগুলোর কথা ভাবেন তাহলেই বিষয়টি আপনার জন্য বুঝতে পারা অনেক সহজ হয়ে যাবে। সেখানে কিন্তু আপনাকে অবশ্যেই সঠিকভাবে ও শুদ্ধ উচ্চারনে ইংরেজীতে কথা বলার চেষ্টা করতে হয়।

তাই আপনি যদি সঠিকভাবে ইংরেজীতে কথা বলা শিখতে চান তাহলে আজ থেকেই শুরু করুন; আগামীকালকে থেকে নয়। দেখবেন আপনার প্রতিদিনের চেষ্টার ফলে আপনি দিনে দিনে পারদর্শী হয়ে উঠছেন ইংরেজীতে।

একবারেই আপনি কোনো দিন পারদর্শী হতে পারবেন না। আপনার হয়তো প্রথম প্রথম মনে হতে পারে যে আপনি ইংরেজি পড়তে পারেন, শুনে সব বুঝতে পারেন তাই আপনি ইংরেজিতে দ্রুত কথাও বলতে পারবেন। তবে আসলে বিষয়টা এমন না। প্রথম বারে আপনি অবশ্যই বাধা পাবেন । তাই, আগের থেকে নিজে নিজে প্রস্তুতি নিতে হবে।

৮। ইংরেজিতে ভাবা শুরু করুন

স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) শেখার ক্ষেত্রে এই কৌশলটি আসলেই অনেক কাজে দেই। সবসময় আপনি যা ভাবেন সেটারই বহিপ্রকাশ আপনার কথায় হয়ে থাকে। তাই আপনি যখন ইংরেজিতে ভাবতে শুরু করবেন, আপনার কথা বলার ক্ষেত্রেও এই পরিবর্তনটি ধরা পড়বে দেখবেন।

তাই যখনই যেটা মাথায় আসছে সেটাই মনে মনেই ইংরেজিতে অনুবাদ করে ফেলুন। দেখবেন এটা আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ করতে অনেক সহায়তা করবে।

৯। সঠিক বন্ধু নির্বাচন করুন

যখন আপনি স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) শিখছেন, ওই সময় টাতে আপনার কাছের বন্ধুরা অনেক সাহায্য করতে পারে আপনাকে। এজন্য ওই সময়টার জন্য হলেও এমন কয়েকজন বন্ধু নির্বাচন করবেন যারা আপনাকে সহজে ইংরেজি শিখতে সাহায্য করবে।

তাদের সাথে দ্রুত ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করবেন এবং আপনার বন্ধুকেও বলবেন আপনার সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে। এভাবে কয়েকদিন চেষ্টা করলেই দেখবেন ফল চোখের সামনে।

১০। চ্যাট করার সময় ইংরেজিতে করুন

বর্তমান জেনারেশনের এমন কাওকে আপনি পাবেন না যে এক বা একাধিক মেসেঞ্জারে চ্যাট করেনা। এটা একটু দৈনন্দিন কাজের মতো হয়ে গেসে আমাদের কাছে। তাই এক্ষেত্রেও যদি আমরা ইংরেজি ব্যবহার করি, এটি অবশ্যই আমাদের ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময়ও ইংরেজি ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, ধরুন আপনি ফেসবুকে একটি স্টেটাস দিবেন। ওই স্টেটাসটিকে নিজে নিজে ইংরেজিতে অনুবাদ করার চেষ্টা করুন।

তারপরে সেটিকে পোস্ট করুন। এভাবে কোনো একটা পোস্ট দিলে মানুষ সেটাতে কমেন্ট করার সময়ও ইংরেজিতে করবে এবং আপনাকে তখন সেটার উত্তরও ইংরেজিতে দিতে হবে। সব মিলিয়ে বিষয়টি আপনার জন্য লাভজনকই হবে।

১১। লজ্জা কমান

স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English)-এ পটু হতে হলে আর একটা কাজ খুবই জরুরি। সেটা হলো নির্লজ্জ হওয়া। আপনি যদি লজ্জায় বাইরে মুখ না খুলতে থাকেন,তাহলে কোনো দিনই স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English)-এ দক্ষ হতে পারবেন না।

কোনো কিছু না ভেবেই সবার সাথে সব জায়গায় ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করবেন। লোকে কি ভাববে, কি বলবে একথা ভেবে বসে থাকলে কিছুই শেখা হবে না আপনার।

অতএব, লাজ-লজ্জা কোনো কিছুরই পরোয়া নাকরে আজ থেকেই শুরু করে দিন আপনার দৈন্দন্দিন জীবনের ইংলিশ চর্চা।

১২। ইংরেজি মুভি দেখুন

এসময় চেষ্টা করবেন বেশি বেশি ইংরেজি মুভি দেখতে। এর ফলে আপনার লিসেনিং পাওয়ার বাড়বে। প্রথমে যদি একেবারেই না বুঝেন তাহলে সাবটাটেল দিয়ে দেখবেন। এভাবে দেখতে দেখতে একটা সময় দেখবেন সাবটাইটেল বাদেই আপনি সবকিছু বুঝতে পারছেন। তখন বুঝবেন আপনার ইংরেজিতে দক্ষতা অনেকখানি বেড়ে গেছে।

১৩। ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন

পত্রিকা পড়ে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। আমাদের সকলের বাড়িতেই প্রায় দৈনিক পত্রিকা নেওয়া হয়। আপনি যখন স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) শিখছেন, এ সময় আপনার বাংলা পত্রিকা টা বাদ দিয়ে ইংরেজি পত্রিকা নিন।

প্রতিদিন পুরো পত্রিকাটি পড়ুন। যে শব্দগুলো অচেনা লাগে, সেগুলো সাথে সাথে ডিকশনারিতে দেখে নিন এবং পারলে পত্রিকার ভেতরে একটু টুকে রাখেন। এর ফলে দেখবেন ওই শব্দটা দেখবেন দীর্ঘদিন আপনার মনে থাকবে।

১৪। গ্রামারের প্রতি বেশি মনোযোগ দিবেন না

স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) এর ক্ষেত্রে গ্রামার খুব বেশি একটা ভুমিকা রাখে না। ভেবে দেখুন তো আপনি যখন বাংলা ভাষা শিখেছিলেন তখন কি এর গ্রামার মুখস্থ করেছিলেন? অবশ্যই না।

একই ভাবে আপনি স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) এ দক্ষ হয়ে গেলে আস্তে আস্তে ব্যকারনিক ভাবেও পারফেক্ট হয়ে যাবেন। তাই গ্রামার নিয়ে মাথা ঘামিয়ে আপনার মনোবল নষ্ট করবেন না।

১৫। দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন

যেকোনো কিছুই করা বা শেখার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় ভুমিকা রাখে মানুষের ইচ্ছাশক্তি। মানুষ যদি কোনো একটি বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ী হয় যে সে কাজটি করবেই, তাহলে অসম্ভব কে সম্ভব করে ফেলও কোনো বিষয় না।

তাই স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) শেখার ক্ষেত্রেও আপনাকেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে যে যেভাবেই হোক আপনি এটি আয়ত্ত করবেনই। তাহলেই দেখবেন খুব সহজেই আপনি এটা আয়ত্ত করে ফেলেছেন।

শেষ কথা

উপরের টিপস এন্ড ট্রিকস (Tips & Tricks) গুলি যদি আপনি পরির্পূণ ভাবে অনুসরণ করেন তবে আপনার ইংরেজীর উপর দক্ষদা দিনকে দিন বেড়েই চলবে। এছাড়াও নিজেকে অন্যদের থেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে রাখতে আপনি মানসম্মত ও ভালো মানের একটি স্পোকেন ইংলিশ কোর্স (Spoken English Course) করে নিতে পারেন।

এই ছিল মুলত স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) এর হাতেখড়ি বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা। ইংরেজি শেখা এখন আর আগের মতো কঠিন নেই। চাইলেই ঘরে বসেই আমাদের এই অনুচ্ছেদটিতে উল্লেখিতে নিয়মাবলি মেনে খুব সহজেই আপনি স্পোকেন ইংলিশ শিখতে পারেন।

যাহোক, আশা করি এখানে আলোচিত সবকিছু আপনি বুঝতে পেরেছেন। যদি এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে,নিচে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন আর এই আর্টিকেলটি যদি আপনার একটুও উপকারে এসে থাকে, তাহলে আপনার প্রিয়জনদের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।