Recent Updates
  • একদিন সকালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এক বন্ধু তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন,
    “তুমি এত বেশি ঘুমাও কেন?”
    শরৎচন্দ্র মজা করে বললেন,
    “ঘুমের মধ্যেই সেরা গল্পের ভাবনা মাথায় আসে। তাই ঘুমানোও আমার কাজের অংশ!”
    বন্ধু অবাক হয়ে বললেন,
    “তাহলে তুমি আসলে সবচেয়ে বেশি কাজ করো!”

    একবার তাঁর বাড়ির কাছে একজন লোক একটি কুকুরকে লাঠি দিয়ে তাড়াচ্ছিল। শরৎচন্দ্র এগিয়ে গিয়ে লোকটিকে প্রশ্ন করলেন,
    “তুমি এই কুকুরটাকে লাঠি দিয়ে মারছ কেন?”
    লোকটি বলল, “এটা তো রাস্তার কুকুর!”
    শরৎচন্দ্র হেসে বললেন,
    “তবে জানো, এই রাস্তার কুকুর তার নিজের এলাকায় রাজা। অন্যের রাজ্যে ঢুকে রাজাকে বিরক্ত করা ঠিক নয়।”

    আরেকদিন এক বন্ধু তাঁকে প্রশ্ন করলেন,
    “তুমি এত সুন্দর গল্প লেখো, এত সময় কিভাবে পাও?”
    শরৎচন্দ্র মৃদু হেসে বললেন,
    “আমি কম পড়ি, বেশি দেখি। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই একেকটা বই। জীবনের বই যত বেশি দেখবে, লেখার রসদও তত বেশি পাবে।”

    এই মহৎ কথাসাহিত্যিকের জীবন থেকে পাওয়া এই ছোট ছোট ঘটনার প্রতিটি আমাদের জীবনেও গভীর শিক্ষা দেয়। তাঁর প্রতিভা আর জীবনদর্শন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
    একদিন সকালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এক বন্ধু তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি এত বেশি ঘুমাও কেন?” শরৎচন্দ্র মজা করে বললেন, “ঘুমের মধ্যেই সেরা গল্পের ভাবনা মাথায় আসে। তাই ঘুমানোও আমার কাজের অংশ!” বন্ধু অবাক হয়ে বললেন, “তাহলে তুমি আসলে সবচেয়ে বেশি কাজ করো!” একবার তাঁর বাড়ির কাছে একজন লোক একটি কুকুরকে লাঠি দিয়ে তাড়াচ্ছিল। শরৎচন্দ্র এগিয়ে গিয়ে লোকটিকে প্রশ্ন করলেন, “তুমি এই কুকুরটাকে লাঠি দিয়ে মারছ কেন?” লোকটি বলল, “এটা তো রাস্তার কুকুর!” শরৎচন্দ্র হেসে বললেন, “তবে জানো, এই রাস্তার কুকুর তার নিজের এলাকায় রাজা। অন্যের রাজ্যে ঢুকে রাজাকে বিরক্ত করা ঠিক নয়।” আরেকদিন এক বন্ধু তাঁকে প্রশ্ন করলেন, “তুমি এত সুন্দর গল্প লেখো, এত সময় কিভাবে পাও?” শরৎচন্দ্র মৃদু হেসে বললেন, “আমি কম পড়ি, বেশি দেখি। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই একেকটা বই। জীবনের বই যত বেশি দেখবে, লেখার রসদও তত বেশি পাবে।” এই মহৎ কথাসাহিত্যিকের জীবন থেকে পাওয়া এই ছোট ছোট ঘটনার প্রতিটি আমাদের জীবনেও গভীর শিক্ষা দেয়। তাঁর প্রতিভা আর জীবনদর্শন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
    0 Comments 0 Shares 66 Views 0 Reviews
  • কীভাবে ঠিক হলো এক সেকেন্ডে কতক্ষণ?

    আমরা সময়ের হিসাব রাখি ঘণ্টা ও মিনিটে। এই লেখা যখন লিখছি, তখন দেয়ালঘড়িতে রাত ১০টা ১৫ মিনিট। কেউ জিজ্ঞাসা করলে নিশ্চয়ই বলতাম, এখন সোয়া ১০টা বাজে। ঘড়িতে সব সময় টিকটিক করছে লম্বা একটি কাঁটা। এটাকে আমরা বলি সেকেন্ডের কাঁটা। সময় বলার সময় এই কাঁটা উপেক্ষিত থাকে।

    আমরা জানি ৬০ সেকেন্ডে হয় ১ মিনিট। আর ৬০ মিনিটে হয় ১ ঘণ্টা। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি, এক সেকেন্ড আসলে কতক্ষণ? আমরা প্রায় প্রতিদিন এই শব্দ ব্যবহার করি। কিন্তু এক সেকেন্ডের সঠিক পরিমাপ কীভাবে নির্ধারিত হলো, তা জানতে এই লেখা। এটি জানতে আমাদের সময়ের ইতিহাসে একটু পিছিয়ে যেতে হবে। এখন অনেকে ভাববে, এক সেকেন্ড হলো ঘড়ির কাঁটায় সেকেন্ডের এক দাগ থেকে অন্য দাগে যাওয়ার সময়। প্রশ্ন হলো, কিসের মাধ্যমে এই দাগের সময় নির্ধারণ করা হলো? কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে মাপা হলো সেকেন্ডের ব্যাপ্তি?

    প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সভ্যতা চাঁদ, সূর্য ও নক্ষত্রদের চলাচলের ওপর ভিত্তি করে নিজস্ব ক্যালেন্ডার তৈরিতে সময় নির্ধারণ করত। এমনকি আমরা যাকে সেকেন্ড বলে জানি, তা সম্পর্কে ১৫০০ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত কারও কোনো নির্দিষ্ট ধারণা ছিল না। যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্রিটিশদের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন সবার কাছে সময় গণনার ধারণা কিছুটা স্পষ্ট হয়।

    গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে দিনকে ২৪ ঘণ্টায় ভাগ করা হয়। আর প্রতি ঘণ্টাকে ৬০ মিনিটে। প্রতি মিনিটকে আবার ৬০ সেকেন্ডে ভাগ করা হয়। শুরুতে সেকেন্ডকে এভাবে গাণিতিকভাবে ভাগ করা হয়। অর্থাৎ প্রতি মিনিটকে ভাগ করা হয় ৩ হাজার ৬০০ সেকেন্ডে। আর ২৪ ঘণ্টাকে ভাগ করা হয় ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ডে। মানে বছরে ৩১ লাখ ৫৫৬ হাজার ৯২৬ সেকেন্ড। তখন এভাবে প্রতি সেকেন্ড গণনা করা হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সীমানায় টাইম জোন বদলে যাওয়ায় সময়ের হিসাব করতে সমস্যা শুরু হয়। প্রতিটি সেকেন্ড সঠিকভাবে গণনা করা আরও কঠিন হয়ে যায়।
    কীভাবে ঠিক হলো এক সেকেন্ডে কতক্ষণ? আমরা সময়ের হিসাব রাখি ঘণ্টা ও মিনিটে। এই লেখা যখন লিখছি, তখন দেয়ালঘড়িতে রাত ১০টা ১৫ মিনিট। কেউ জিজ্ঞাসা করলে নিশ্চয়ই বলতাম, এখন সোয়া ১০টা বাজে। ঘড়িতে সব সময় টিকটিক করছে লম্বা একটি কাঁটা। এটাকে আমরা বলি সেকেন্ডের কাঁটা। সময় বলার সময় এই কাঁটা উপেক্ষিত থাকে। আমরা জানি ৬০ সেকেন্ডে হয় ১ মিনিট। আর ৬০ মিনিটে হয় ১ ঘণ্টা। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি, এক সেকেন্ড আসলে কতক্ষণ? আমরা প্রায় প্রতিদিন এই শব্দ ব্যবহার করি। কিন্তু এক সেকেন্ডের সঠিক পরিমাপ কীভাবে নির্ধারিত হলো, তা জানতে এই লেখা। এটি জানতে আমাদের সময়ের ইতিহাসে একটু পিছিয়ে যেতে হবে। এখন অনেকে ভাববে, এক সেকেন্ড হলো ঘড়ির কাঁটায় সেকেন্ডের এক দাগ থেকে অন্য দাগে যাওয়ার সময়। প্রশ্ন হলো, কিসের মাধ্যমে এই দাগের সময় নির্ধারণ করা হলো? কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে মাপা হলো সেকেন্ডের ব্যাপ্তি? প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সভ্যতা চাঁদ, সূর্য ও নক্ষত্রদের চলাচলের ওপর ভিত্তি করে নিজস্ব ক্যালেন্ডার তৈরিতে সময় নির্ধারণ করত। এমনকি আমরা যাকে সেকেন্ড বলে জানি, তা সম্পর্কে ১৫০০ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত কারও কোনো নির্দিষ্ট ধারণা ছিল না। যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্রিটিশদের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন সবার কাছে সময় গণনার ধারণা কিছুটা স্পষ্ট হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে দিনকে ২৪ ঘণ্টায় ভাগ করা হয়। আর প্রতি ঘণ্টাকে ৬০ মিনিটে। প্রতি মিনিটকে আবার ৬০ সেকেন্ডে ভাগ করা হয়। শুরুতে সেকেন্ডকে এভাবে গাণিতিকভাবে ভাগ করা হয়। অর্থাৎ প্রতি মিনিটকে ভাগ করা হয় ৩ হাজার ৬০০ সেকেন্ডে। আর ২৪ ঘণ্টাকে ভাগ করা হয় ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ডে। মানে বছরে ৩১ লাখ ৫৫৬ হাজার ৯২৬ সেকেন্ড। তখন এভাবে প্রতি সেকেন্ড গণনা করা হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সীমানায় টাইম জোন বদলে যাওয়ায় সময়ের হিসাব করতে সমস্যা শুরু হয়। প্রতিটি সেকেন্ড সঠিকভাবে গণনা করা আরও কঠিন হয়ে যায়।
    0 Comments 0 Shares 66 Views 0 Reviews
  • অহংকারের পরিণতি
    এক বনের কিনারে ছিল বিরাট একটি গাছ। তার শিকড় যেমন মাটির অনেক গভীরে পৌঁছেছিল তেমনি ডালপালাও চারপাশের অনেকখানি জায়গা জুড়ে ছড়িয়েছিল। গাছটির ঘন পাতার রাশি সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে মানুষকে ছায়া দিত। গাছটিতে অসংখ্য পাখি বাস করত। মানুষ ও পাখির সমাগমে গাছটির চারপাশের এলাকা মুখরিত থাকত।
    এই বিরাট গাছের নিচে একটি গাছের চারা গজিয়ে ওঠে। এটি ছিল একটি নমনীয় ও নাজুক হলদি গাছ। সামান্য একটু বাতাসেই তা নুয়ে পড়ত। একদিন দু’ প্রতিবেশী কথা বলছিল। হলদি গাছকে লক্ষ্য বড় গাছটি বলল: ওহে খুদে প্রতিবেশী, তুমি তোমার শিকড়গুলো মাটির আরো গভীরে প্রবেশ করাও না কেন? কেন আমার মত মাথা উঁচু করে দাঁড়াও না?
    হলদি গাছ মৃদু হেসে বলল: তার কোনো প্রয়োজন দেখি না। আসলে এ ভাবেই আমি নিরাপদ আছি।
    বড় গাছ বলল: নিরাপদ! তুমি কি মনে কর যে তুমি আমার চেয়ে নিরাপদ আছ? তুমি কি জান আমার শিকড় কত গভীরে প্রবেশ করেছে? আমার কাণ্ড কত মোটা ও শক্ত? এমনকি দু’জন লোক মিলেও আমার কাণ্ডের বেড় পাবে না। আমার শিকড় উৎপাটিত করবে ও আমাকে ধরাশায়ী করবে- এমন কে আছে?
    গাছটি হলদি গাছের দিক থেকে বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিল। কার ভাগ্যে কখন কী ঘটে তা কে বলতে পারে? একদিন সন্ধ্যায় ওই এলাকার ওপর দিয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেল। ঘূর্ণিঝড়ে শিকড়সহ গাছ উপড়ে পড়ে, বনের গাছপালা একেবারে ধ্বংস হয়ে গেল।
    ঝড়ের পর গ্রামবাসী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখতে বের হল। আকাশচুম্বী গাছগুলোর অবস্থা একেবারে শোচনীয়। সেগুলো হয় উপড়ে পড়েছে অথবা ভেঙে চুরে শেষ হয়ে গেছে। সারা বনের মধ্যে যেন গাছপালার কঙ্কাল ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে শুধু একটি ব্যতিক্রম সবার নজর কাড়ে। তা হলো হলদি গাছ। সেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল ঝাপটার শিকার হয়ে এদিক ওদিক হেলে পড়েছে কিংবা মাটিতেও লুটিয়ে পড়েছে। ঝড় শেষ হয়ে যাবার পর সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ও আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তার বিরাট প্রতিবেশী গাছটির কোনো চিহ্নও দেখা গেল না।
    অহংকারের পরিণতি এক বনের কিনারে ছিল বিরাট একটি গাছ। তার শিকড় যেমন মাটির অনেক গভীরে পৌঁছেছিল তেমনি ডালপালাও চারপাশের অনেকখানি জায়গা জুড়ে ছড়িয়েছিল। গাছটির ঘন পাতার রাশি সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে মানুষকে ছায়া দিত। গাছটিতে অসংখ্য পাখি বাস করত। মানুষ ও পাখির সমাগমে গাছটির চারপাশের এলাকা মুখরিত থাকত। এই বিরাট গাছের নিচে একটি গাছের চারা গজিয়ে ওঠে। এটি ছিল একটি নমনীয় ও নাজুক হলদি গাছ। সামান্য একটু বাতাসেই তা নুয়ে পড়ত। একদিন দু’ প্রতিবেশী কথা বলছিল। হলদি গাছকে লক্ষ্য বড় গাছটি বলল: ওহে খুদে প্রতিবেশী, তুমি তোমার শিকড়গুলো মাটির আরো গভীরে প্রবেশ করাও না কেন? কেন আমার মত মাথা উঁচু করে দাঁড়াও না? হলদি গাছ মৃদু হেসে বলল: তার কোনো প্রয়োজন দেখি না। আসলে এ ভাবেই আমি নিরাপদ আছি। বড় গাছ বলল: নিরাপদ! তুমি কি মনে কর যে তুমি আমার চেয়ে নিরাপদ আছ? তুমি কি জান আমার শিকড় কত গভীরে প্রবেশ করেছে? আমার কাণ্ড কত মোটা ও শক্ত? এমনকি দু’জন লোক মিলেও আমার কাণ্ডের বেড় পাবে না। আমার শিকড় উৎপাটিত করবে ও আমাকে ধরাশায়ী করবে- এমন কে আছে? গাছটি হলদি গাছের দিক থেকে বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিল। কার ভাগ্যে কখন কী ঘটে তা কে বলতে পারে? একদিন সন্ধ্যায় ওই এলাকার ওপর দিয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেল। ঘূর্ণিঝড়ে শিকড়সহ গাছ উপড়ে পড়ে, বনের গাছপালা একেবারে ধ্বংস হয়ে গেল। ঝড়ের পর গ্রামবাসী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখতে বের হল। আকাশচুম্বী গাছগুলোর অবস্থা একেবারে শোচনীয়। সেগুলো হয় উপড়ে পড়েছে অথবা ভেঙে চুরে শেষ হয়ে গেছে। সারা বনের মধ্যে যেন গাছপালার কঙ্কাল ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে শুধু একটি ব্যতিক্রম সবার নজর কাড়ে। তা হলো হলদি গাছ। সেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল ঝাপটার শিকার হয়ে এদিক ওদিক হেলে পড়েছে কিংবা মাটিতেও লুটিয়ে পড়েছে। ঝড় শেষ হয়ে যাবার পর সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ও আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তার বিরাট প্রতিবেশী গাছটির কোনো চিহ্নও দেখা গেল না।
    0 Comments 0 Shares 68 Views 0 Reviews
  • রাজা তার আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন-
    : আমি মৎস শিকারে যেতে চাই, আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে বলে জানা গেছে ?

    সে বল্লো -
    : আজকে অতীব সুন্দর, রৌদ্রোজ্জ্বল এবং চমৎকার আবহাওয়া থাকবে জাহাপনা ! আপনি নিঃসংকচিত্তে যেতে পারেন ।

    রাজা বের হলেন। রাজা যখন সাগর পাড়ে গেলেন, সাগর পাড়ে এক জেলে ছাগল চড়াচ্ছিলো, সে বললো-

    : মহারাজ আজকে কেন আপনি সাগরে যাচ্ছেন ? একটু পরেই তাে ঝুম বৃষ্টি হবে !

    রাজা রেগে বললেন -
    : বেটা জেলের বাচ্চা ! তুই কী জানিস আবহাওয়ার খবর ? আর আমাকে কি মূর্খ পেয়েছিস?! আমি খবর জেনে তবেই এসেছি।

    রাজা সাগরে গেলেন, কিছুক্ষণ পর শুরু হলাে ঝুম বৃষ্টি ! রাজা প্রাসাদে ফিরে এসে আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন, তারপর ঐ জেলেকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! জেলে তো পড়লাে মহা বিপদে! সে তাে আবহাওয়ার কিছুই জানে না!

    রাজ দরবারে গিয়ে জেলে কেঁদে বললো-
    : মহারাজ আমাকে যেতে দিন! আমি আসলে আবহাওয়ার কিছুই জানি না।

    রাজা বললেন -
    : তাহলে ঐ দিন আমার আবহাওয়া বিভাগের চেয়েও সঠিক খবর তুই কি করে দিলি !

    জেলে উত্তর দিল,
    : মহারাজ সেখানে আমার কোন কৃতিত্ব ছিল না ! সব কৃতিত্ব আমার ছাগলের ! বৃষ্টি আসার আধাঘন্টা আগে থেকে ছাগলটা ঘনঘন মুতে ! এর থেকে আমি বুঝতে পারি একটু পর বৃষ্টি হবে !

    তারপর রাজা জেলেকে ছেড়ে দিয়ে তার ছাগলটাকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! সম্ভবত সেই থেকেই কোনো কোনো অঞ্চলের বড় বড় পদগুলােতে ছাগল নিয়ােগ দেওয়ার রীতি চালু হয়।

    রম্যগল্প
    © Collected
    রাজা তার আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন- : আমি মৎস শিকারে যেতে চাই, আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে বলে জানা গেছে ? সে বল্লো - : আজকে অতীব সুন্দর, রৌদ্রোজ্জ্বল এবং চমৎকার আবহাওয়া থাকবে জাহাপনা ! আপনি নিঃসংকচিত্তে যেতে পারেন । রাজা বের হলেন। রাজা যখন সাগর পাড়ে গেলেন, সাগর পাড়ে এক জেলে ছাগল চড়াচ্ছিলো, সে বললো- : মহারাজ আজকে কেন আপনি সাগরে যাচ্ছেন ? একটু পরেই তাে ঝুম বৃষ্টি হবে ! রাজা রেগে বললেন - : বেটা জেলের বাচ্চা ! তুই কী জানিস আবহাওয়ার খবর ? আর আমাকে কি মূর্খ পেয়েছিস?! আমি খবর জেনে তবেই এসেছি। রাজা সাগরে গেলেন, কিছুক্ষণ পর শুরু হলাে ঝুম বৃষ্টি ! রাজা প্রাসাদে ফিরে এসে আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন, তারপর ঐ জেলেকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! জেলে তো পড়লাে মহা বিপদে! সে তাে আবহাওয়ার কিছুই জানে না! রাজ দরবারে গিয়ে জেলে কেঁদে বললো- : মহারাজ আমাকে যেতে দিন! আমি আসলে আবহাওয়ার কিছুই জানি না। রাজা বললেন - : তাহলে ঐ দিন আমার আবহাওয়া বিভাগের চেয়েও সঠিক খবর তুই কি করে দিলি ! জেলে উত্তর দিল, : মহারাজ সেখানে আমার কোন কৃতিত্ব ছিল না ! সব কৃতিত্ব আমার ছাগলের ! বৃষ্টি আসার আধাঘন্টা আগে থেকে ছাগলটা ঘনঘন মুতে ! এর থেকে আমি বুঝতে পারি একটু পর বৃষ্টি হবে ! তারপর রাজা জেলেকে ছেড়ে দিয়ে তার ছাগলটাকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! সম্ভবত সেই থেকেই কোনো কোনো অঞ্চলের বড় বড় পদগুলােতে ছাগল নিয়ােগ দেওয়ার রীতি চালু হয়। রম্যগল্প © Collected
    0 Comments 0 Shares 69 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 152 Views 0 Reviews
  • মানবজীবনে সাফল্য যেন এক উজ্জ্বল সূর্য, যার আলো সবাই দেখতে চায়। কিন্তু এই সূর্য পর্যন্ত পৌঁছাতে গেলে অন্ধকার, কাঁটা, ঝড় আর হতাশার পথ পেরোতে হয়। অনেকেই ভাবেন, সাফল্য মানেই সোজা পথে চলা, ভুল না করা, সবসময় জেতা। অথচ বাস্তবতা হলো—সফলতার সবচেয়ে বড় পাঠশালা হলো ব্যর্থতা। তাই বলা হয়, “যে ব্যর্থ হয় না, সে কখনোই সফল হয় না।”

    জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে আমরা ব্যর্থতা অনুভব করি। পরীক্ষায় ফেল, চাকরির ইন্টারভিউয়ে না হওয়া, ব্যবসায়ে লোকসান—এসবই তো ব্যর্থতা। কিন্তু যে মানুষগুলো এসব ব্যর্থতার পর থেমে না গিয়ে বারবার উঠে দাঁড়িয়েছে, চেষ্টা করে গেছে, ইতিহাসে তাদের নামই লেখা হয়েছে। থমাস এডিসন যদি ১০০০ বার ব্যর্থ হয়ে লজ্জায় পিছিয়ে যেতেন, তাহলে হয়তো আজ পৃথিবী আলোয় আলোকিত হতো না। তিনিই বলেছিলেন, “আমি ব্যর্থ হইনি, আমি ১০০০টি পদ্ধতি শিখেছি যা কাজ করেনি।”

    ব্যর্থতা আমাদের শেখায় ধৈর্য, অধ্যবসায়, নম্রতা এবং নিজের ভুলগুলো বোঝার মানসিকতা। এটি আমাদের আত্মসমালোচনার সুযোগ দেয়, নিজেকে গড়ার সময় দেয়। যিনি কখনো ব্যর্থ হননি, তিনি হয়তো কখনোই নিজের সীমাবদ্ধতাগুলো জানতে পারেননি, নিজেকে পরিবর্তন করার সুযোগও পাননি। তাই যাঁরা সত্যিকারের বড় কিছু অর্জন করতে চান, তাঁদের ব্যর্থতার কষ্টটুকু সাগ্রহে বরণ করে নিতে হবে।

    সফলতা যদি হয় এক সুউচ্চ পাহাড়, তাহলে ব্যর্থতা হলো তার প্রতিটি ধাপে ওঠার সিঁড়ি। প্রতিটি ব্যর্থতা একেকটি শিক্ষা, যা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপকে আরও মজবুত করে তোলে।

    জীবনে ব্যর্থতা এলে ভয় পাবেন না। বরং ভাবুন, এটি একটি সুযোগ—নিজেকে গড়ার, আরও শক্তিশালী হওয়ার, এবং একদিন সেই সফলতার চূড়ায় পৌঁছানোর। মনে রাখবেন, যে ব্যর্থ হয় না, সে কখনোই সফল হয় না। ব্যর্থতা মানেই শেষ নয়, বরং এটি এক নতুন সূচনার নাম।
    ⚡মানবজীবনে সাফল্য যেন এক উজ্জ্বল সূর্য, যার আলো সবাই দেখতে চায়। কিন্তু এই সূর্য পর্যন্ত পৌঁছাতে গেলে অন্ধকার, কাঁটা, ঝড় আর হতাশার পথ পেরোতে হয়। অনেকেই ভাবেন, সাফল্য মানেই সোজা পথে চলা, ভুল না করা, সবসময় জেতা। অথচ বাস্তবতা হলো—সফলতার সবচেয়ে বড় পাঠশালা হলো ব্যর্থতা। তাই বলা হয়, “যে ব্যর্থ হয় না, সে কখনোই সফল হয় না।” জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে আমরা ব্যর্থতা অনুভব করি। পরীক্ষায় ফেল, চাকরির ইন্টারভিউয়ে না হওয়া, ব্যবসায়ে লোকসান—এসবই তো ব্যর্থতা। কিন্তু যে মানুষগুলো এসব ব্যর্থতার পর থেমে না গিয়ে বারবার উঠে দাঁড়িয়েছে, চেষ্টা করে গেছে, ইতিহাসে তাদের নামই লেখা হয়েছে। থমাস এডিসন যদি ১০০০ বার ব্যর্থ হয়ে লজ্জায় পিছিয়ে যেতেন, তাহলে হয়তো আজ পৃথিবী আলোয় আলোকিত হতো না। তিনিই বলেছিলেন, “আমি ব্যর্থ হইনি, আমি ১০০০টি পদ্ধতি শিখেছি যা কাজ করেনি।” ব্যর্থতা আমাদের শেখায় ধৈর্য, অধ্যবসায়, নম্রতা এবং নিজের ভুলগুলো বোঝার মানসিকতা। এটি আমাদের আত্মসমালোচনার সুযোগ দেয়, নিজেকে গড়ার সময় দেয়। যিনি কখনো ব্যর্থ হননি, তিনি হয়তো কখনোই নিজের সীমাবদ্ধতাগুলো জানতে পারেননি, নিজেকে পরিবর্তন করার সুযোগও পাননি। তাই যাঁরা সত্যিকারের বড় কিছু অর্জন করতে চান, তাঁদের ব্যর্থতার কষ্টটুকু সাগ্রহে বরণ করে নিতে হবে। সফলতা যদি হয় এক সুউচ্চ পাহাড়, তাহলে ব্যর্থতা হলো তার প্রতিটি ধাপে ওঠার সিঁড়ি। প্রতিটি ব্যর্থতা একেকটি শিক্ষা, যা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপকে আরও মজবুত করে তোলে। জীবনে ব্যর্থতা এলে ভয় পাবেন না। বরং ভাবুন, এটি একটি সুযোগ—নিজেকে গড়ার, আরও শক্তিশালী হওয়ার, এবং একদিন সেই সফলতার চূড়ায় পৌঁছানোর। মনে রাখবেন, যে ব্যর্থ হয় না, সে কখনোই সফল হয় না। ব্যর্থতা মানেই শেষ নয়, বরং এটি এক নতুন সূচনার নাম।
    0 Comments 0 Shares 359 Views 0 Reviews
  • কুড়িগ্রামের সাতভিটা গ্রামের এক প্রান্তে কৃষিশ্রমিক জয়নাল আবেদিন গড়ে তুলেছেন এক ব্যতিক্রমী পাঠাগার—‘সাতভিটা গ্রন্থনির’। মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা জয়নাল হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অগ্রসর নন, তবে জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসায় তিনি অনন্য।
    জয়নালের বইয়ের প্রতি আগ্রহ জন্ম নেয় গাজীপুরে, একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করার সময়। সেখানকার রাস্তায় সস্তা দামে বই বিক্রি হতে দেখে তিনি কৌতূহলী হয়ে বই কেনা শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে বই পড়ায় আগ্রহ বাড়ে। বইয়ের প্রতি এই গভীর ভালোবাসা থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেন নিজ গ্রামে একটি পাঠাগার গড়ে তোলার—যেখানে গ্রামের মানুষও জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে পারবে।
    সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নানা বাধা, কটাক্ষ ও আর্থিক সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে তিনি নিজ হাতে নির্মাণ করেন টিনের ঘরে সাজানো এক পাঠাগার। পাঠাগারটিতে এখন রয়েছে প্রায় ৩৫০০ বই, আর পাঠকদের জন্য রয়েছে টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চসহ পরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
    ‘সাতভিটা গ্রন্থনির’ শুধু একটি পাঠাগার নয়, এটি একটি প্রেরণার নাম—যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও বইয়ের ভালোবাসা কীভাবে সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছেন জয়নাল আবেদিন।
    ©
    কুড়িগ্রামের সাতভিটা গ্রামের এক প্রান্তে কৃষিশ্রমিক জয়নাল আবেদিন গড়ে তুলেছেন এক ব্যতিক্রমী পাঠাগার—‘সাতভিটা গ্রন্থনির’। মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা জয়নাল হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অগ্রসর নন, তবে জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসায় তিনি অনন্য। জয়নালের বইয়ের প্রতি আগ্রহ জন্ম নেয় গাজীপুরে, একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করার সময়। সেখানকার রাস্তায় সস্তা দামে বই বিক্রি হতে দেখে তিনি কৌতূহলী হয়ে বই কেনা শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে বই পড়ায় আগ্রহ বাড়ে। বইয়ের প্রতি এই গভীর ভালোবাসা থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেন নিজ গ্রামে একটি পাঠাগার গড়ে তোলার—যেখানে গ্রামের মানুষও জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে পারবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নানা বাধা, কটাক্ষ ও আর্থিক সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে তিনি নিজ হাতে নির্মাণ করেন টিনের ঘরে সাজানো এক পাঠাগার। পাঠাগারটিতে এখন রয়েছে প্রায় ৩৫০০ বই, আর পাঠকদের জন্য রয়েছে টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চসহ পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। ‘সাতভিটা গ্রন্থনির’ শুধু একটি পাঠাগার নয়, এটি একটি প্রেরণার নাম—যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও বইয়ের ভালোবাসা কীভাবে সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছেন জয়নাল আবেদিন। ©
    0 Comments 0 Shares 363 Views 0 Reviews
  • একটি বাসে পাশাপাশি সিটে বসেছে এক বৃদ্ধা এবং এক তরুণী। তরুণীটি সুন্দরী এবং অহংকারী, তার হাতে একটি ব্যাগ। ব্যাগটি সিটের পাশে রাখতে গিয়ে সে দৃষ্টিকটুভাবে বৃদ্ধাকে ধাক্কা মারল। বৃদ্ধা কোনো অভিযোগ করলেন না, তিনি আগের মতোই চুপচাপ বসে রইলেন।
    পাশ থেকে এক যুবক ঘটনাটি লক্ষ্য করে বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করল, “আপনাকে এভাবে ধাক্কা দিল, তারপরও আপনি কিছু বললেন না কেন?"
    বৃদ্ধা মৃদু হেসে উত্তর দিলেন, "এটি নিয়ে রাগারাগি বা কথা কাটাকাটি করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, আমার এই যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত! আমি পরের স্টপেজই নেমে যাব।"
    বৃদ্ধার কথা যুবককে ভীষণভাবে আন্দোলিত করল। আসলেই তো! আমাদের একসঙ্গে পথচলা খুব সংক্ষিপ্ত, তাই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া করা বৃথা।
    আমাদের সবার বোঝা উচিত যে, এই পৃথিবীতে আমাদের সময় খুবই সীমিত। রাগ, ক্ষোভ, হিংসা, বিদ্বেষ, অপমান এগুলো নিয়ে সময় নষ্ট করাটা তাই নিরর্থক।
    কেউ আপনার হৃদয় ভেঙেছে? শান্ত থাকুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত।
    কেউ আপনাকে অপমান করেছে? উপেক্ষা করুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত।
    কোনো বন্ধু আপনার সাথে প্রতারণা করেছে? ধীরস্থির থাকুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত।
    কোনো প্রতিবেশী আপনার নামে কুৎসা রটাচ্ছে? ধৈর্য ধরুন, ক্ষমা করুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত।
    আমরা কেউ জানি না, এই যাত্রা কতক্ষণ চলবে, কখনইবা থামবে। তাই আসুন একে অপরকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি, দয়া দেখাই এবং ক্ষমাশীল হই। সবার সঙ্গে সুখদুঃখ ভাগাভাগি করে নিই। কারণ, শেষ পর্যন্ত আমাদের যাত্রা সত্যিই খুব সংক্ষিপ্ত!
    ⚡একটি বাসে পাশাপাশি সিটে বসেছে এক বৃদ্ধা এবং এক তরুণী। তরুণীটি সুন্দরী এবং অহংকারী, তার হাতে একটি ব্যাগ। ব্যাগটি সিটের পাশে রাখতে গিয়ে সে দৃষ্টিকটুভাবে বৃদ্ধাকে ধাক্কা মারল। বৃদ্ধা কোনো অভিযোগ করলেন না, তিনি আগের মতোই চুপচাপ বসে রইলেন। পাশ থেকে এক যুবক ঘটনাটি লক্ষ্য করে বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করল, “আপনাকে এভাবে ধাক্কা দিল, তারপরও আপনি কিছু বললেন না কেন?" বৃদ্ধা মৃদু হেসে উত্তর দিলেন, "এটি নিয়ে রাগারাগি বা কথা কাটাকাটি করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, আমার এই যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত! আমি পরের স্টপেজই নেমে যাব।" বৃদ্ধার কথা যুবককে ভীষণভাবে আন্দোলিত করল। আসলেই তো! আমাদের একসঙ্গে পথচলা খুব সংক্ষিপ্ত, তাই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া করা বৃথা। আমাদের সবার বোঝা উচিত যে, এই পৃথিবীতে আমাদের সময় খুবই সীমিত। রাগ, ক্ষোভ, হিংসা, বিদ্বেষ, অপমান এগুলো নিয়ে সময় নষ্ট করাটা তাই নিরর্থক। কেউ আপনার হৃদয় ভেঙেছে? শান্ত থাকুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত। কেউ আপনাকে অপমান করেছে? উপেক্ষা করুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত। কোনো বন্ধু আপনার সাথে প্রতারণা করেছে? ধীরস্থির থাকুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত। কোনো প্রতিবেশী আপনার নামে কুৎসা রটাচ্ছে? ধৈর্য ধরুন, ক্ষমা করুন। যাত্রা খুবই সংক্ষিপ্ত। আমরা কেউ জানি না, এই যাত্রা কতক্ষণ চলবে, কখনইবা থামবে। তাই আসুন একে অপরকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি, দয়া দেখাই এবং ক্ষমাশীল হই। সবার সঙ্গে সুখদুঃখ ভাগাভাগি করে নিই। কারণ, শেষ পর্যন্ত আমাদের যাত্রা সত্যিই খুব সংক্ষিপ্ত!
    0 Comments 0 Shares 343 Views 0 Reviews
  • একদিন এক শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বললেন, ”আজ আমি তোমাদের একটা প্রশ্ন করব। যার উত্তর হৃদয় ছুঁয়ে যাবে, তাকে আমি দেব আমার প্রিয় একটি জিনিস — এই সোনালী রঙের কলমটা। এটা আমাকে আমার প্রিয় শিক্ষক দিয়েছিলেন, ক্লাস এইটে বৃত্তি পাবার পর। আমি এটাকে অনেক ভালোবাসি।”

    সবার চোখ চকচক করছিল, কারণ কলমটা খুব সুন্দর ছিল — অনেক দামি, আর এর পেছনে ছিল এক আবেগঘন গল্প।

    শিক্ষক প্রশ্ন করলেন, “তোমরা কাকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করো? এবং কেন?”

    সবাই ব্যস্ত হয়ে লিখতে শুরু করল।

    কেউ লিখল, “আমার মা, কারণ উনি সবকিছু ত্যাগ করে আমাদের বড় করেছেন।”
    কেউ লিখল, “আমার বাবা, কারণ তিনি সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন।”
    কেউবা লিখল, “আমার শিক্ষক, কারণ তিনি অন্ধকারে আলো দেখান।”

    সবশেষে শিক্ষক হাতে তুলে নিলেন একটি খাতা। জীর্ণ মলিন কাগজ, অক্ষরগুলো কাঁপা কাঁপা। সেখানে লেখা ছিল:

    “আমি সবচেয়ে বেশি সম্মান করি আমার ছোট ভাইকে। ও প্রতিদিন আধপেটা খেয়ে কাজে যায়, শুধু আমাকে পেট ভরে খেতে দেবে বলে। ওর জামা ছেঁড়া, কিন্তু আমাকে নতুন জামা কিনে দেবার জন্য বাবার কাছে জোরাজুরি করে। আমি জানি, ওর ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া করার, কিন্তু আমাকে পড়াশুনা করানোর জন্য ও নিজে স্কুলে যায় না। একসাথে দুই সন্তানের পড়ালেখার খরচ যোগানোর মতো সামর্থ্য আমাদের বাবা-মায়ের নেই। তাই, আমি পড়ি আর ও বাবার সাথে ক্ষেতে কাজ করে। আমি আজ যেখানে তা ওর কারণেই, তাই ওই আমার চোখে সবচেয়ে শ্রদ্ধার মানুষ।

    পুরো ক্লাস নিস্তব্ধ।

    শিক্ষক চোখের চশমা খুললেন। তার চোখে জল।

    তিনি ধীরে ধীরে গিয়ে সেই ছাত্রকে ডেকে বললেন, “তুমি কলমটা রাখো। কারণ তুমি উপলব্ধি করেছ একজন মানুষের সম্মান বয়সে নয়, ত্যাগে তৈরি হয়।”

    ছাত্র কলমটা হাতে নিল। তার হাত কাঁপছিল।

    শিক্ষক চোখের জল মুছে বললেন, “আজ আমি শিখালাম সবচেয়ে সুন্দর উত্তর শব্দে নয়, আসে হৃদয় থেকে। সম্মান বয়স বা পদে নয়, আসে ত্যাগ থেকে। আমরা যখন অন্যের প্রয়োজনকে নিজের চাওয়ার চেয়ে বড় করে দেখি, তখনই আমরা সত্যিকার অর্থে মানুষ হয়ে উঠি।
    📌একদিন এক শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বললেন, ”আজ আমি তোমাদের একটা প্রশ্ন করব। যার উত্তর হৃদয় ছুঁয়ে যাবে, তাকে আমি দেব আমার প্রিয় একটি জিনিস — এই সোনালী রঙের কলমটা। এটা আমাকে আমার প্রিয় শিক্ষক দিয়েছিলেন, ক্লাস এইটে বৃত্তি পাবার পর। আমি এটাকে অনেক ভালোবাসি।” সবার চোখ চকচক করছিল, কারণ কলমটা খুব সুন্দর ছিল — অনেক দামি, আর এর পেছনে ছিল এক আবেগঘন গল্প। শিক্ষক প্রশ্ন করলেন, “তোমরা কাকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করো? এবং কেন?” সবাই ব্যস্ত হয়ে লিখতে শুরু করল। কেউ লিখল, “আমার মা, কারণ উনি সবকিছু ত্যাগ করে আমাদের বড় করেছেন।” কেউ লিখল, “আমার বাবা, কারণ তিনি সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন।” কেউবা লিখল, “আমার শিক্ষক, কারণ তিনি অন্ধকারে আলো দেখান।” সবশেষে শিক্ষক হাতে তুলে নিলেন একটি খাতা। জীর্ণ মলিন কাগজ, অক্ষরগুলো কাঁপা কাঁপা। সেখানে লেখা ছিল: “আমি সবচেয়ে বেশি সম্মান করি আমার ছোট ভাইকে। ও প্রতিদিন আধপেটা খেয়ে কাজে যায়, শুধু আমাকে পেট ভরে খেতে দেবে বলে। ওর জামা ছেঁড়া, কিন্তু আমাকে নতুন জামা কিনে দেবার জন্য বাবার কাছে জোরাজুরি করে। আমি জানি, ওর ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া করার, কিন্তু আমাকে পড়াশুনা করানোর জন্য ও নিজে স্কুলে যায় না। একসাথে দুই সন্তানের পড়ালেখার খরচ যোগানোর মতো সামর্থ্য আমাদের বাবা-মায়ের নেই। তাই, আমি পড়ি আর ও বাবার সাথে ক্ষেতে কাজ করে। আমি আজ যেখানে তা ওর কারণেই, তাই ওই আমার চোখে সবচেয়ে শ্রদ্ধার মানুষ। পুরো ক্লাস নিস্তব্ধ। শিক্ষক চোখের চশমা খুললেন। তার চোখে জল। তিনি ধীরে ধীরে গিয়ে সেই ছাত্রকে ডেকে বললেন, “তুমি কলমটা রাখো। কারণ তুমি উপলব্ধি করেছ একজন মানুষের সম্মান বয়সে নয়, ত্যাগে তৈরি হয়।” ছাত্র কলমটা হাতে নিল। তার হাত কাঁপছিল। শিক্ষক চোখের জল মুছে বললেন, “আজ আমি শিখালাম সবচেয়ে সুন্দর উত্তর শব্দে নয়, আসে হৃদয় থেকে। সম্মান বয়স বা পদে নয়, আসে ত্যাগ থেকে। আমরা যখন অন্যের প্রয়োজনকে নিজের চাওয়ার চেয়ে বড় করে দেখি, তখনই আমরা সত্যিকার অর্থে মানুষ হয়ে উঠি।
    0 Comments 0 Shares 353 Views 0 Reviews
  • সন্তান মিথ্যা বললে কী করবেন? জেনে নিন ৮টি সঠিক উপায়:
    সন্তানকে মিথ্যা বলতে দেখা একজন বাবা-মায়ের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, শিশুদের বেড়ে ওঠার পথে মিথ্যা বলা অনেক সময়ই এক ধরনের স্বাভাবিক আচরণ। এটি হতে পারে শাস্তির ভয়, মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টা কিংবা বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য। তাই বিষয়টিকে সঠিকভাবে বোঝা এবং সামলানো জরুরি।
    চলুন জেনে নেই, কীভাবে আপনি সন্তানের মিথ্যা বলার প্রতিক্রিয়ায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারেন:

    ১.কেন মিথ্যা বলছে, সেটা আগে বোঝার চেষ্টা করুন
    শিশুরা জন্মগতভাবে মিথ্যাবাদী নয়। তাই তারা কেন মিথ্যা বলেছে, সেই কারণ খুঁজে বের করা দরকার। অনেক সময় তারা ভয় বা চাপ থেকে মিথ্যা বলে।

    ২.খোলামেলা কথা বলার পরিবেশ তৈরি করুন
    আপনার সন্তান যেন জানে, সে তার কথা ভুল হলেও আপনার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবে। বিশ্বাস ও ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুললে শিশুরা সত্য বলার সাহস পায়।

    ৩.রাগ না করে শান্তভাবে প্রতিক্রিয়া দিন
    সন্তানকে মিথ্যা বলতে ধরলে হঠাৎ রেগে না গিয়ে শান্ত থেকে কথা বলুন। এতে সে ভয় না পেয়ে নিজের ভুল বুঝতে পারবে।

    ৪.কল্পনা আর মিথ্যার পার্থক্য শেখান
    শিশুরা অনেক সময় কল্পনার জগতে ডুবে যায়। গল্প বানানো আর ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলার মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে সাহায্য করুন।

    ৫.সত্য বলার গুরুত্ব বুঝিয়ে দিন
    পরিবারে কিছু সহজ নিয়ম তৈরি করুন। যেমন, “আমরা সবসময় সত্য বলি, কারণ এতে সবার উপর বিশ্বাস থাকে।” নিয়মগুলো স্পষ্ট ও সহজভাবে বলুন।

    ৬.নিজের আচরণে সততার উদাহরণ দিন
    আপনি নিজে যেমন আচরণ করবেন, সন্তান তা-ই শিখবে। তাই নিজের কথাবার্তায় ও কাজের মাধ্যমে সততা দেখান।

    ৭.সততা উদযাপন করুন
    সন্তান যখন সত্য কথা বলবে। এমনকি যদি সেটা কোনো ভুলের কথা হয়,তখন তাকে প্রশংসা করুন। এতে সে বুঝবে, সত্য বলা ভালো কিছু।

    ৮.প্রতিটি ভুল থেকে শেখানোর সুযোগ নিন
    শাস্তি না দিয়ে বুঝিয়ে বলুন, মিথ্যার কী পরিণাম হতে পারে। এতে শিশুর দায়িত্ববোধ বাড়ে।

    শিশুর মিথ্যা বলা মানেই সে খারাপ হয়ে যাচ্ছে এমন ভাবার দরকার নেই। ধৈর্য, ভালোবাসা ও বোঝাপড়া দিয়ে তাকে সত্যের পথে নিয়ে আসা সম্ভব। মনে রাখবেন, সন্তান মানুষ করার পথটা দীর্ঘ কিন্তু সুন্দর। যেখানে ছোট ছোট প্রতিক্রিয়াও বড় প্রভাব ফেলে।

    আপনার ভালোবাসা আর সচেতনতাই তাকে সত্যবাদী মানুষ করে তুলবে।
    📌সন্তান মিথ্যা বললে কী করবেন? জেনে নিন ৮টি সঠিক উপায়: সন্তানকে মিথ্যা বলতে দেখা একজন বাবা-মায়ের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, শিশুদের বেড়ে ওঠার পথে মিথ্যা বলা অনেক সময়ই এক ধরনের স্বাভাবিক আচরণ। এটি হতে পারে শাস্তির ভয়, মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টা কিংবা বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য। তাই বিষয়টিকে সঠিকভাবে বোঝা এবং সামলানো জরুরি। চলুন জেনে নেই, কীভাবে আপনি সন্তানের মিথ্যা বলার প্রতিক্রিয়ায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারেন: ১.কেন মিথ্যা বলছে, সেটা আগে বোঝার চেষ্টা করুন শিশুরা জন্মগতভাবে মিথ্যাবাদী নয়। তাই তারা কেন মিথ্যা বলেছে, সেই কারণ খুঁজে বের করা দরকার। অনেক সময় তারা ভয় বা চাপ থেকে মিথ্যা বলে। ২.খোলামেলা কথা বলার পরিবেশ তৈরি করুন আপনার সন্তান যেন জানে, সে তার কথা ভুল হলেও আপনার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবে। বিশ্বাস ও ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুললে শিশুরা সত্য বলার সাহস পায়। ৩.রাগ না করে শান্তভাবে প্রতিক্রিয়া দিন সন্তানকে মিথ্যা বলতে ধরলে হঠাৎ রেগে না গিয়ে শান্ত থেকে কথা বলুন। এতে সে ভয় না পেয়ে নিজের ভুল বুঝতে পারবে। ৪.কল্পনা আর মিথ্যার পার্থক্য শেখান শিশুরা অনেক সময় কল্পনার জগতে ডুবে যায়। গল্প বানানো আর ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলার মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে সাহায্য করুন। ৫.সত্য বলার গুরুত্ব বুঝিয়ে দিন পরিবারে কিছু সহজ নিয়ম তৈরি করুন। যেমন, “আমরা সবসময় সত্য বলি, কারণ এতে সবার উপর বিশ্বাস থাকে।” নিয়মগুলো স্পষ্ট ও সহজভাবে বলুন। ৬.নিজের আচরণে সততার উদাহরণ দিন আপনি নিজে যেমন আচরণ করবেন, সন্তান তা-ই শিখবে। তাই নিজের কথাবার্তায় ও কাজের মাধ্যমে সততা দেখান। ৭.সততা উদযাপন করুন সন্তান যখন সত্য কথা বলবে। এমনকি যদি সেটা কোনো ভুলের কথা হয়,তখন তাকে প্রশংসা করুন। এতে সে বুঝবে, সত্য বলা ভালো কিছু। ৮.প্রতিটি ভুল থেকে শেখানোর সুযোগ নিন শাস্তি না দিয়ে বুঝিয়ে বলুন, মিথ্যার কী পরিণাম হতে পারে। এতে শিশুর দায়িত্ববোধ বাড়ে। শিশুর মিথ্যা বলা মানেই সে খারাপ হয়ে যাচ্ছে এমন ভাবার দরকার নেই। ধৈর্য, ভালোবাসা ও বোঝাপড়া দিয়ে তাকে সত্যের পথে নিয়ে আসা সম্ভব। মনে রাখবেন, সন্তান মানুষ করার পথটা দীর্ঘ কিন্তু সুন্দর। যেখানে ছোট ছোট প্রতিক্রিয়াও বড় প্রভাব ফেলে। আপনার ভালোবাসা আর সচেতনতাই তাকে সত্যবাদী মানুষ করে তুলবে।
    0 Comments 0 Shares 317 Views 0 Reviews
  • পৃথিবীর নিদারুন নিয়তি হয়ত এমনি যে নিঃস্বার্থভাবে মানুষকে বিলিয়ে যায় তিনিই সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হন।
    বলছি কাজী নজরুল ইসলামের কথা। সারাটি জীবন যিনি বাংলা সাহিত্যকে, ইসলামী গজলকে, কবিতা, শ্যামা সঙ্গীত কিংবা নজরুল সঙ্গীত নামে অনবদ্য এক সঙ্গীত সৃষ্টি করে গিয়েছেন তিনি সারাটি জীবন করে গিয়েছেন নিদারুন অর্থকষ্ট। আজ তাঁর রচিত সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা বিদ্রোহী, ধুমকেতু, প্রলয়োল্লাস, তাঁর রচিত সঙ্গীত নিয়ে গবেষনা করে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সন্মানিত আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন বহু মানুষ। উপার্জন করছেন অঢেল অর্থ বিত্ত। চড়ছেন দামী মোটরগাড়িতে।
    কিন্তু এই বিদ্রোহী কবিতাটি যিনি লিখেছিলেন তিনি তাঁর পুত্র বুলবুলের অসূস্থ্যতার সময় তাকে ওষুধ কিনে দিতে পারেননি অর্থকষ্টে। দীর্ঘদিন রোগে ভুগে যখন বুলবুল মারা যায় তখন তাকে দাফন করার মত অর্থও কবির ছিলনা। সেই দাফনের টাকা যোগাড় করতে বহু গ্রামোফোন কোম্পানী, রেডিও কোম্পানির দারে দারে ঘুরেছেন।
    পুত্রশোকে পাথর হৃদয় কবির কাছে তখন গ্রামোফোন কোম্পানী গান লিখার মাধ্যমে সামান্য কিছু টাকা দিতে রাজী হয়। সেই পুত্রের মৃতদেহকে পাশে নিয়ে কবি রচনা করেন হৃদয় বিদীর্ন করা একটি সঙ্গীতঃ
    "শূন্য এ বুকে পাখি মোর আয়,
    ফিরে আয় ফিরে আয়।
    তোরে না হেরিয়া সকালের ফুল
    অকালে ঝরিয়া যায়"
    রচনা করেন আরো একটি গানঃ
    "ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি,
    করুন চোখে চেয়ে আছে সাঁঝের ঝরা ফুলগুলি।
    কাল হতে আর ফুটবে না হায় লতার বুকে মঞ্জুরী,
    উঠছে পাতায় পাতায় কাহার করুন নিশাস মর্মরী"
    সেই গান লিখা অর্থে দাফন হয় বুলবুলের। কবির জায়গায় এবার নিজেকে কল্পনা করে ভাবুন তো। দেখুন তো শুধু একবার কেমন অনুভূতি হয়? আমার বিশ্বাস কেউ, কোন সন্তানের পিতা নিজেকে ঠিক রাখতে পারবেন না।
    এই কঠিন পরিস্থিতির মাঝে দিয়ে যেতে হয়েছিল কবির। ব্যক্তি মানুষ হিসাবে, জাতি হিসাবে নিজেকে খুব লজ্জা বোধ হয়, অপমানিত লাগে যখন কবির এক একটি গান, কবিতা টিভি কিংবা রেডিওতে শুনি। নিজেকে খুব স্বার্থপর মনে হয়। যিনি এত মহামূল্যবান কবিতা, সঙ্গীত, বানী রেখে গিয়েছেন আমাদের জন্য আর আমরা কি দিতে পেরেছি তাঁকে। কবিপুত্র বুলবুলের মোটরগাড়ির অনেক প্রিয় ছিল। সেই খেলনা মোটরগাড়ি কিনে দেবার সাধ্যও ছিলনা কবির।
    অথচ কবির শুধু একটা বিদ্রোহী কবিতা নিয়ে গবেষনা করে কত মানুষ আজ মোটরগাড়ীতে চড়ছেন তার হিসেব নেই।
    পৃথিবীর নিদারুন নিয়তি হয়ত এমনি যে নিঃস্বার্থভাবে মানুষকে বিলিয়ে যায় তিনিই সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হন। বলছি কাজী নজরুল ইসলামের কথা। সারাটি জীবন যিনি বাংলা সাহিত্যকে, ইসলামী গজলকে, কবিতা, শ্যামা সঙ্গীত কিংবা নজরুল সঙ্গীত নামে অনবদ্য এক সঙ্গীত সৃষ্টি করে গিয়েছেন তিনি সারাটি জীবন করে গিয়েছেন নিদারুন অর্থকষ্ট। আজ তাঁর রচিত সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা বিদ্রোহী, ধুমকেতু, প্রলয়োল্লাস, তাঁর রচিত সঙ্গীত নিয়ে গবেষনা করে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সন্মানিত আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন বহু মানুষ। উপার্জন করছেন অঢেল অর্থ বিত্ত। চড়ছেন দামী মোটরগাড়িতে। কিন্তু এই বিদ্রোহী কবিতাটি যিনি লিখেছিলেন তিনি তাঁর পুত্র বুলবুলের অসূস্থ্যতার সময় তাকে ওষুধ কিনে দিতে পারেননি অর্থকষ্টে। দীর্ঘদিন রোগে ভুগে যখন বুলবুল মারা যায় তখন তাকে দাফন করার মত অর্থও কবির ছিলনা। সেই দাফনের টাকা যোগাড় করতে বহু গ্রামোফোন কোম্পানী, রেডিও কোম্পানির দারে দারে ঘুরেছেন। পুত্রশোকে পাথর হৃদয় কবির কাছে তখন গ্রামোফোন কোম্পানী গান লিখার মাধ্যমে সামান্য কিছু টাকা দিতে রাজী হয়। সেই পুত্রের মৃতদেহকে পাশে নিয়ে কবি রচনা করেন হৃদয় বিদীর্ন করা একটি সঙ্গীতঃ "শূন্য এ বুকে পাখি মোর আয়, ফিরে আয় ফিরে আয়। তোরে না হেরিয়া সকালের ফুল অকালে ঝরিয়া যায়" রচনা করেন আরো একটি গানঃ "ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি, করুন চোখে চেয়ে আছে সাঁঝের ঝরা ফুলগুলি। কাল হতে আর ফুটবে না হায় লতার বুকে মঞ্জুরী, উঠছে পাতায় পাতায় কাহার করুন নিশাস মর্মরী" সেই গান লিখা অর্থে দাফন হয় বুলবুলের। কবির জায়গায় এবার নিজেকে কল্পনা করে ভাবুন তো। দেখুন তো শুধু একবার কেমন অনুভূতি হয়? আমার বিশ্বাস কেউ, কোন সন্তানের পিতা নিজেকে ঠিক রাখতে পারবেন না। এই কঠিন পরিস্থিতির মাঝে দিয়ে যেতে হয়েছিল কবির। ব্যক্তি মানুষ হিসাবে, জাতি হিসাবে নিজেকে খুব লজ্জা বোধ হয়, অপমানিত লাগে যখন কবির এক একটি গান, কবিতা টিভি কিংবা রেডিওতে শুনি। নিজেকে খুব স্বার্থপর মনে হয়। যিনি এত মহামূল্যবান কবিতা, সঙ্গীত, বানী রেখে গিয়েছেন আমাদের জন্য আর আমরা কি দিতে পেরেছি তাঁকে। কবিপুত্র বুলবুলের মোটরগাড়ির অনেক প্রিয় ছিল। সেই খেলনা মোটরগাড়ি কিনে দেবার সাধ্যও ছিলনা কবির। অথচ কবির শুধু একটা বিদ্রোহী কবিতা নিয়ে গবেষনা করে কত মানুষ আজ মোটরগাড়ীতে চড়ছেন তার হিসেব নেই।🖤
    0 Comments 0 Shares 395 Views 0 Reviews
  • আইনস্টাইনের এক সহকর্মী একদিন তাঁর কাছে তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন।
    তখন আইনস্টাইন একটি টেলিফোন বই খুঁজে বের করলেন এবং সেই বই থেকে তাঁর নম্বরটা খুঁজতে লাগলেন। তখন সহকর্মী তাকে বললেন, ‘কী ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নম্বরটাও মনে নেই আপনার।’ আইনস্টাইন বললেন, ‘না, তার দরকারই বা কী? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্ত করে খরচ করবেন কেন ?’
    আইনস্টাইন ছোটবেলায় তুলনামূলক অনেক দেরীতে কথা বলতে শেখেন। একারণে তাঁর বাবা মা অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। একদিন রাতে খাবার টেবিলে বসে সকলে খাচ্ছেন এমন সময় বালক আইনস্টাইন চিৎকার করে বললেন, ‘এই স্যুপটা বড্ড গরম। তাঁর বাবা-মা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ছেলের মুখে প্রথম কথা!
    শুনে বাবা-মা বেশ অবাক হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আগে তুমি কথা বলোনি কেন?’ উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘কারণ এর আগে
    তো সব ঠিকই ছিল।’
    1931 সালে কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানান তার একটি শো দেখার জন্য। তখন চ্যাপলিনের সিটি লাইটস্ সিনেমার স্কিনিং চলছিল। পরে তারা শহরের পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবাই আমাকে সহজেই বোঝে, এজন্যই আমার এতো জনপ্রিয়তা। কিন্তু মানুষ আপনাকে কেন এতো পছন্দ করে বুঝলাম না।’ আইনস্টাইন সহাস্যে প্রত্যুত্তরে জানালেন, ‘কেউ আমাকে সহজে বুঝতে পারে না বলেই আমার এই জনপ্রিয়তা’।
    একবার আইনস্টাইন ট্রেনে চেপে যাচ্ছিলেন। চেকার সকলের টিকিট চেক করার এক পর্যায়ে আইনস্টাইনের কাছে এসে টিকিট দেখতে চাইলেন। কিন্তু আইনস্টাইন তাঁর টিকিটটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। চেকার আইনস্টাইনকে চিনতে পেরে বললেন, ‘স্যার আপনাকে আমি চিনতে পেরেছি। আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটে উঠেছেন। আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে না।’ আইনস্টাইন কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন, ‘না, না, ওটা আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে। না পেলে আমি জানব কি করে যে আমি কোথায় যাচ্ছিলাম।’
    আইনস্টাইনের কাছে একবার আপেক্ষিকতার সহজ ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলো। উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘আপনার হাত একটা জ্বলন্ত চুল্লীর উপর ধরে রাখুন, মনে হবে এক ঘন্টা পার হয়ে গেছে। কিন্তু একজন সুন্দরী মেয়ের পাশে একঘন্টা বসে থাকুন, আপনার কাছে মনে হবে মাত্র এক মিনিট পার হলো, এটাই আপেক্ষিকতা।’
    একবার আইনস্টাইন বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে দরজায় কড়া নাড়লেন। ভেতর থেকে তাঁর স্ত্রী ভাবলেন অন্য কেউ হয়তো আইনস্টাইনকে খুঁজতে এসেছেন, তাই তিনি বেশ বিরক্ত হয়ে চেচিয়ে বললেন, আইনস্টাইন বাড়িতে নেই।
    ব্যস, চিন্তিত আইনস্টাইন কোন কথা না বলে উল্টো হাঁটা ধরলেন। আরো_একটি_ঘটনা:-
    আইনস্টাইনের যিনি ড্রাইভার ছিলেন, তিনি একদিন আইনস্টাইনকে বললেন - আপনি প্রতিটি সভায় যে ভাষণ দেন সেইগুলো শুনে শুনে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে ।" -আইনস্টাইন তো অবাক!
    উনি তখন বললেন "বেশ তাহলে এর পরের মিটিংয়ে যেখানে যাবো তারা আমাকে চেনেন না, তুমি আমার হয়ে ভাষণ দিও আর আমি ড্রাইভার হয়ে বসে থাকবো।"
    -এরপরে সেই সভায় তো ড্রাইভার হুবহু আইনস্টাইন-এর ভাষণ গড় গড় করে বলে গেলেন, উপস্থিত বিদ্বজ্জনেরা তুমুল করতালি দিলেন। এরপর তাঁরা ড্রাইভারকে আইনস্টাইন ভেবে গাড়িতে পৌঁছে দিতে এলেন।
    -সেই সময়ে একজন অধ্যাপক ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলেন "স্যার, ঐ আপেক্ষিক এর যে সংজ্ঞাটা বললেন, আর একবার সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেবেন ?"-আসল আইনস্টাইন দেখলেন বিপদ, এবার তো ড্রাইভার ধরা পড়ে যাবে।কিন্তু তিনি ড্রাইভার-এর উত্তর শুনে তাজ্জব হয়ে গেলেন। ড্রাইভার উত্তর দিল।।
    -"এই সহজ জিনিসটা আপনার মাথায় ঢোকেনি ? আমার ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করুন সে বুঝিয়ে দেবে।"
    বিঃদ্রঃ- জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করলে আপনিও জ্ঞানী হবেন। আপনি যেমন মানুষের সাথে ঘুরবেন তেমনই হবেন।
    এই জন্যে কথায় আছে–
    "সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস,
    অসৎ সঙ্গে সর্ব'না'শ
    📌আইনস্টাইনের এক সহকর্মী একদিন তাঁর কাছে তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন। তখন আইনস্টাইন একটি টেলিফোন বই খুঁজে বের করলেন এবং সেই বই থেকে তাঁর নম্বরটা খুঁজতে লাগলেন। তখন সহকর্মী তাকে বললেন, ‘কী ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নম্বরটাও মনে নেই আপনার।’ আইনস্টাইন বললেন, ‘না, তার দরকারই বা কী? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্ত করে খরচ করবেন কেন ?’ আইনস্টাইন ছোটবেলায় তুলনামূলক অনেক দেরীতে কথা বলতে শেখেন। একারণে তাঁর বাবা মা অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। একদিন রাতে খাবার টেবিলে বসে সকলে খাচ্ছেন এমন সময় বালক আইনস্টাইন চিৎকার করে বললেন, ‘এই স্যুপটা বড্ড গরম। তাঁর বাবা-মা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ছেলের মুখে প্রথম কথা! শুনে বাবা-মা বেশ অবাক হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আগে তুমি কথা বলোনি কেন?’ উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘কারণ এর আগে তো সব ঠিকই ছিল।’ 1931 সালে কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানান তার একটি শো দেখার জন্য। তখন চ্যাপলিনের সিটি লাইটস্ সিনেমার স্কিনিং চলছিল। পরে তারা শহরের পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবাই আমাকে সহজেই বোঝে, এজন্যই আমার এতো জনপ্রিয়তা। কিন্তু মানুষ আপনাকে কেন এতো পছন্দ করে বুঝলাম না।’ আইনস্টাইন সহাস্যে প্রত্যুত্তরে জানালেন, ‘কেউ আমাকে সহজে বুঝতে পারে না বলেই আমার এই জনপ্রিয়তা’। একবার আইনস্টাইন ট্রেনে চেপে যাচ্ছিলেন। চেকার সকলের টিকিট চেক করার এক পর্যায়ে আইনস্টাইনের কাছে এসে টিকিট দেখতে চাইলেন। কিন্তু আইনস্টাইন তাঁর টিকিটটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। চেকার আইনস্টাইনকে চিনতে পেরে বললেন, ‘স্যার আপনাকে আমি চিনতে পেরেছি। আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটে উঠেছেন। আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে না।’ আইনস্টাইন কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন, ‘না, না, ওটা আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে। না পেলে আমি জানব কি করে যে আমি কোথায় যাচ্ছিলাম।’ আইনস্টাইনের কাছে একবার আপেক্ষিকতার সহজ ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলো। উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘আপনার হাত একটা জ্বলন্ত চুল্লীর উপর ধরে রাখুন, মনে হবে এক ঘন্টা পার হয়ে গেছে। কিন্তু একজন সুন্দরী মেয়ের পাশে একঘন্টা বসে থাকুন, আপনার কাছে মনে হবে মাত্র এক মিনিট পার হলো, এটাই আপেক্ষিকতা।’ একবার আইনস্টাইন বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে দরজায় কড়া নাড়লেন। ভেতর থেকে তাঁর স্ত্রী ভাবলেন অন্য কেউ হয়তো আইনস্টাইনকে খুঁজতে এসেছেন, তাই তিনি বেশ বিরক্ত হয়ে চেচিয়ে বললেন, আইনস্টাইন বাড়িতে নেই। ব্যস, চিন্তিত আইনস্টাইন কোন কথা না বলে উল্টো হাঁটা ধরলেন। আরো_একটি_ঘটনা:- আইনস্টাইনের যিনি ড্রাইভার ছিলেন, তিনি একদিন আইনস্টাইনকে বললেন - আপনি প্রতিটি সভায় যে ভাষণ দেন সেইগুলো শুনে শুনে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে ।" -আইনস্টাইন তো অবাক! উনি তখন বললেন "বেশ তাহলে এর পরের মিটিংয়ে যেখানে যাবো তারা আমাকে চেনেন না, তুমি আমার হয়ে ভাষণ দিও আর আমি ড্রাইভার হয়ে বসে থাকবো।" -এরপরে সেই সভায় তো ড্রাইভার হুবহু আইনস্টাইন-এর ভাষণ গড় গড় করে বলে গেলেন, উপস্থিত বিদ্বজ্জনেরা তুমুল করতালি দিলেন। এরপর তাঁরা ড্রাইভারকে আইনস্টাইন ভেবে গাড়িতে পৌঁছে দিতে এলেন। -সেই সময়ে একজন অধ্যাপক ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলেন "স্যার, ঐ আপেক্ষিক এর যে সংজ্ঞাটা বললেন, আর একবার সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেবেন ?"-আসল আইনস্টাইন দেখলেন বিপদ, এবার তো ড্রাইভার ধরা পড়ে যাবে।কিন্তু তিনি ড্রাইভার-এর উত্তর শুনে তাজ্জব হয়ে গেলেন। ড্রাইভার উত্তর দিল।। -"এই সহজ জিনিসটা আপনার মাথায় ঢোকেনি ? আমার ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করুন সে বুঝিয়ে দেবে।" বিঃদ্রঃ- জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করলে আপনিও জ্ঞানী হবেন। আপনি যেমন মানুষের সাথে ঘুরবেন তেমনই হবেন। এই জন্যে কথায় আছে– "সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎ সঙ্গে সর্ব'না'শ
    0 Comments 0 Shares 449 Views 0 Reviews
  • বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন পড়ালেখায় খুব দুর্বল ছিলেন। একবার স্কুলের পরীক্ষায় তিনি একেবারেই ভালো করতে পারেননি।
    রেজাল্টের দিন তার হাতে একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়ে হেডমাস্টার বললেন, "চিঠিটা খুলো না। সোজাসুজি বাড়ি গিয়ে মায়ের হাতে দেবে।"
    এডিসন তাই করলেন আর কৌতূহলবশত মায়ের কাছে জানতে চাইলেন, "মা, চিঠিতে কি লেখা আছে?"
    মা মৃদু হেসে ছেলেকে শুনিয়ে জোরে জোরে চিঠিটি পড়লেন, "আপনার পুত্র খুব মেধাবী। এই স্কুলটি তার জন্য অনেক ছোট এবং এখানে তাকে শেখানোর মতো যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেই। অনুগ্রহ করে আপনি নিজেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করুন।"
    তারপর থেকে এডিসন মায়ের কাছেই শিক্ষা গ্রহণ করা শুরু করলেন। কালক্রমে তিনি হয়ে উঠলেন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। আবিষ্কার করলেন পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দেওয়া ইলেকট্রিক বাল্ব। কিন্তু ছেলের এই সাফল্য নিজের চোখে দেখার জন্য তখন তার মা আর বেঁচে নেই।
    হঠাৎ একদিন পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে ভাঁজ করা একটা কাগজের দিকে এডিসনের চোখ আটকে গেল। তিনি কাগজটি হাতে নিয়ে খুলে দেখলেন সেটা সেই ছোটবেলার স্কুলের চিঠি। চিঠিতে লেখা ছিল, "আপনার সন্তান স্থুলবুদ্ধিসম্পন্ন এবং মেধাহীন। সে এই স্কুলের উপযুক্ত নয়। আমরা কোনোভাবেই তাকে আমাদের স্কুলে আর আসতে দিতে পারি না।"
    পড়তে পড়তে এডিসনের চোখ ভিজে গেল। মায়ের কথা ভীষণ মনে পড়তে লাগল তার। তখনই তিনি ডায়েরিতে লিখলেন:
    টমাস আলভা এডিসন ছিল মানসিকভাবে অসুস্থ এবং জড়বুদ্ধিসম্পন্ন শিশু, কিন্তু তার মা তাকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান বিজ্ঞানী হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন।
    📌বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন পড়ালেখায় খুব দুর্বল ছিলেন। একবার স্কুলের পরীক্ষায় তিনি একেবারেই ভালো করতে পারেননি। রেজাল্টের দিন তার হাতে একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়ে হেডমাস্টার বললেন, "চিঠিটা খুলো না। সোজাসুজি বাড়ি গিয়ে মায়ের হাতে দেবে।" এডিসন তাই করলেন আর কৌতূহলবশত মায়ের কাছে জানতে চাইলেন, "মা, চিঠিতে কি লেখা আছে?" মা মৃদু হেসে ছেলেকে শুনিয়ে জোরে জোরে চিঠিটি পড়লেন, "আপনার পুত্র খুব মেধাবী। এই স্কুলটি তার জন্য অনেক ছোট এবং এখানে তাকে শেখানোর মতো যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেই। অনুগ্রহ করে আপনি নিজেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করুন।" তারপর থেকে এডিসন মায়ের কাছেই শিক্ষা গ্রহণ করা শুরু করলেন। কালক্রমে তিনি হয়ে উঠলেন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। আবিষ্কার করলেন পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দেওয়া ইলেকট্রিক বাল্ব। কিন্তু ছেলের এই সাফল্য নিজের চোখে দেখার জন্য তখন তার মা আর বেঁচে নেই। হঠাৎ একদিন পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে ভাঁজ করা একটা কাগজের দিকে এডিসনের চোখ আটকে গেল। তিনি কাগজটি হাতে নিয়ে খুলে দেখলেন সেটা সেই ছোটবেলার স্কুলের চিঠি। চিঠিতে লেখা ছিল, "আপনার সন্তান স্থুলবুদ্ধিসম্পন্ন এবং মেধাহীন। সে এই স্কুলের উপযুক্ত নয়। আমরা কোনোভাবেই তাকে আমাদের স্কুলে আর আসতে দিতে পারি না।" পড়তে পড়তে এডিসনের চোখ ভিজে গেল। মায়ের কথা ভীষণ মনে পড়তে লাগল তার। তখনই তিনি ডায়েরিতে লিখলেন: টমাস আলভা এডিসন ছিল মানসিকভাবে অসুস্থ এবং জড়বুদ্ধিসম্পন্ন শিশু, কিন্তু তার মা তাকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান বিজ্ঞানী হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন।
    0 Comments 0 Shares 381 Views 0 Reviews
  • এই যে নীল জামা, তোমার নাম কী?”
    একটা সাধারণ প্রশ্ন, কিন্তু তার পেছনে লুকিয়ে ছিল একটা বড় শিক্ষা...
    কলেজের প্রথম দিন।
    নতুন একজন শিক্ষক ক্লাসে ঢুকেই একজন ছাত্রীকে লক্ষ্য করে বলেন,
    “এই যে নীল জামা, তোমার নাম কী?”
    মেয়েটি উত্তর দেয়, “রেশমি, স্যার।”
    আর ঠিক তখনই শিক্ষক বলেন,
    “এই মুহূর্তে ক্লাস ছেড়ে বেরিয়ে যাও। তোমার মুখ আর যেন না দেখি!”
    রেশমি হতভম্ব। চোখে জল, কিছু না বুঝেই বেরিয়ে যায়।
    ক্লাস নিস্তব্ধ। কেউ কিছু বলে না।
    তারপর শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, “আইন কেন তৈরি হয়?”
    একজন বলল, “শৃঙ্খলার জন্য।”
    অন্যজন বলল, “ন্যায়বিচারের জন্য।”
    শিক্ষক বললেন,
    “তোমরা সবাই ঠিক বলেছ।
    কিন্তু আমি একটু আগে রেশমির সঙ্গে অন্যায় করলাম,
    তবুও কেউ প্রতিবাদ করোনি কেন?”
    তবু সবাই চুপ।
    তিনি বললেন,
    “কারণ তোমরা ভাবলে, এটা তো আমার সঙ্গে হয়নি!
    এই মানসিকতাই একদিন তোমাদের বিপদের কারণ হবে।
    আজ যে চুপ, কাল তার বিপদেও কেউ পাশে দাঁড়াবে না।”
    শেষে শিক্ষকের হৃদয়ছোঁয়া কথা:
    “চুপ থাকা মানেই সম্মতি দেওয়া।
    যেখানে অন্যায় দেখবে,
    সেইখানেই রুখে দাঁড়াবে—
    কারণ ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবধর্ম।”
    শিক্ষা:
    অন্যায়ের প্রতিবাদ না করা মানেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া।
    সাহস করে প্রতিবাদ করো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।
    ⚡এই যে নীল জামা, তোমার নাম কী?” একটা সাধারণ প্রশ্ন, কিন্তু তার পেছনে লুকিয়ে ছিল একটা বড় শিক্ষা... কলেজের প্রথম দিন। নতুন একজন শিক্ষক ক্লাসে ঢুকেই একজন ছাত্রীকে লক্ষ্য করে বলেন, “এই যে নীল জামা, তোমার নাম কী?” মেয়েটি উত্তর দেয়, “রেশমি, স্যার।” আর ঠিক তখনই শিক্ষক বলেন, “এই মুহূর্তে ক্লাস ছেড়ে বেরিয়ে যাও। তোমার মুখ আর যেন না দেখি!” রেশমি হতভম্ব। চোখে জল, কিছু না বুঝেই বেরিয়ে যায়। ক্লাস নিস্তব্ধ। কেউ কিছু বলে না। তারপর শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, “আইন কেন তৈরি হয়?” একজন বলল, “শৃঙ্খলার জন্য।” অন্যজন বলল, “ন্যায়বিচারের জন্য।” শিক্ষক বললেন, “তোমরা সবাই ঠিক বলেছ। কিন্তু আমি একটু আগে রেশমির সঙ্গে অন্যায় করলাম, তবুও কেউ প্রতিবাদ করোনি কেন?” তবু সবাই চুপ। তিনি বললেন, “কারণ তোমরা ভাবলে, এটা তো আমার সঙ্গে হয়নি! এই মানসিকতাই একদিন তোমাদের বিপদের কারণ হবে। আজ যে চুপ, কাল তার বিপদেও কেউ পাশে দাঁড়াবে না।” শেষে শিক্ষকের হৃদয়ছোঁয়া কথা: “চুপ থাকা মানেই সম্মতি দেওয়া। যেখানে অন্যায় দেখবে, সেইখানেই রুখে দাঁড়াবে— কারণ ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবধর্ম।” শিক্ষা: অন্যায়ের প্রতিবাদ না করা মানেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া। সাহস করে প্রতিবাদ করো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।
    0 Comments 0 Shares 430 Views 0 Reviews
  • "মিশরীয় সভ্যতার প্রযুক্তি কি ৪ হাজার বছর আগেই আমাদের ছাড়িয়ে গিয়েছিল?"
    পিরামিড নির্মাণ, হেলিওগ্রাফি, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিদ্যার বিস্ময়
    প্রাচীন সময়, আধুনিক প্রযুক্তি?
    মনে করুন, আপনি টাইম মেশিনে করে চলে গেলেন খ্রিস্টপূর্ব ২৫৬০ সালে।
    আপনার সামনে বিশাল মরুভূমির মধ্যে গিজা অঞ্চলে হাজারো শ্রমিক, প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক ব্যস্ত হয়ে রয়েছে এক দৈত্যাকার প্রজেক্টে —
    গ্রেট পিরামিড অফ গিজা।
    আজকের দৃষ্টিতে সেটি শুধুই এক প্রাচীন রাজপ্রাসাদ বা সমাধি নয় — বরং
    একটি বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশল বিস্ময়, যা আজকের আধুনিক যুগকেও চ্যালেঞ্জ করে। পিরামিড নির্মাণ – কেবল স্থাপত্য না, এক প্রযুক্তি।
    কতটা বিশাল ছিল মিশরীয় পিরামিডগুলো?
    গ্রেট পিরামিড নির্মিত হয়েছে ২৩ লক্ষ চুনাপাথরের ব্লক দিয়ে। প্রতিটি ব্লকের ওজন প্রায় ২.৫ থেকে ১৫ টন পর্যন্ত।
    পিরামিডের মোট ওজন প্রায় ৬০ লক্ষ টন।
    গড় উচ্চতা ছিল ১৪৬.৭ মিটার, বর্তমানে কিছুটা ক্ষয়ে ১৩৮ মিটার হয়ে দাড়িয়েছে।
    কোন যন্ত্রে তোলা হয়েছিল এত ভারী পাথর?
    এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নন। তবে কিছু গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা হলো:
    ১. র‍্যাম্প থিওরি:
    পাথরগুলো পিরামিডের পাশ ঘেঁষে বানানো হেলানো মাটির ঢাল বা র‍্যাম্প বেয়ে ওপরে তোলা হতো। একে বলে Linear Ramp Theory।
    ২. স্পাইরাল র‍্যাম্প (Houdin Model):
    Jean-Pierre Houdin নামক এক ফরাসি স্থপতির মতে,
    পিরামিডের ভেতরে সর্পিল পথে একটি অভ্যন্তরীণ র‍্যাম্প ছিল, যেটা দিয়ে ব্লকগুলো ওপরে তোলা হতো।
    ৩. ভাসমান বা গ্যাস-ব্যালন থিওরি, এলিয়েন থিওরি:
    কিছু fringe researcher দাবি করেন হয়তো অজানা প্রযুক্তি, এমনকি ভিনগ্রহের সহায়তা ছিল।
    তবে যেটাই হোক, এর ইঞ্জিনিয়ারিং ছিল অস্বাভাবিক নিখুঁত। পিরামিডের নিখুঁততা – মডার্ন টেকনোলজিকেও হার মানায়। উত্তর-দক্ষিণে মুখ করা পিরামিডের দিকভিত্তিক বিচ্যুতি মাত্র ৩/৬০ ডিগ্রি। প্রতিটি পাথর এত নিখুঁতভাবে বসানো যে একটি ব্লেড পর্যন্ত ঢোকানো যায় না ফাঁকে!
    কীভাবে এত নিখুঁত?
    তাদের ছিল:
    অ্যাস্ট্রোনমিকাল কম্পাস – যা দিয়ে তারা সূর্য বা নক্ষত্র দেখে দিক নির্ধারণ করত।
    লিভার, রোলার ও কাঠের চাকার ব্যবহার। যদিও চাকা আবিষ্কারের সময় নিয়েও বিতর্ক আছে।
    প্রাচীন মিশরীয়রা গণনার জন্য ব্যবহার করত হিয়ারোগ্লিফিকস পদ্ধতি। যেটি নিজেদের সংখ্যাপদ্ধতি ছিল
    হেলিওগ্রাফি – সূর্যের আলো নিয়ন্ত্রণ
    সূর্যের উপর ভিত্তি করে মিশরীয়রা স্থাপনা নির্মাণ করত। অনেক গবেষকের মতে, কিছু ঘর এমনভাবে তৈরি করা হতো যাতে সৌর আলোর প্রতিবিম্ব কাজে লাগে।
    সানডায়াল দিয়ে সময় নির্ধারণ করা হতো। এই পদ্ধতি আজকের ঘড়ির প্রাচীন সংস্করণ।
    জ্যোতির্বিদ্যা – মিশরীয়রা কি মহাকাশ বুঝত?
    ওরিয়ন বেল্ট থিওরি: মিশরের তিনটি বড় পিরামিডের অবস্থান, তিনটি প্রধান তারা (Orion’s Belt) এর অবস্থানের সঙ্গে মিলে যায়।
    এর মাধ্যমে বোঝা যায়, তারা রাত্রির আকাশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করত।
    সিরিয়াস তারা: মিশরীয় বর্ষপঞ্জির সূচনা হতো যখন সিরিয়াস তারা প্রথমবার উদিত হতো – এটি ছিল নাইল নদীর বন্যা পূর্বাভাসের সংকেত।
    চিকিৎসা – অজানা কিন্তু অবাক করা জ্ঞান
    Edwin Smith Papyrus (1600 BCE):
    বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো সার্জারির টেক্সট পাওয়া গেছে মিশরে। এছাড়াও কাটা ও পোড়ার চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি
    মাথার আঘাত চিহ্নিত করে কি ব্যবস্থা নিতে হবে, তার-ও বর্ণনা রয়েছে্
    চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো:
    প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক মধু ও মোলাসেস লাগনো হতো।
    পেটের সমস্যা বা সংক্রমণের জন্য কাসকরা, গুলঞ্চ জাতীয় গাছ সেবন করানো হতো।
    ইনফেকশন রোধে ব্যবহৃত হতো ক্লে ও খনিজ পদার্থ।
    প্রাচীন মিশরে দাঁতের চিকিৎসাও ছিল
    তারা দাঁত তুলতে জানত। নকল দাঁত বসানোর চেষ্টারও নিদর্শন পাওয়া গেছে
    রেফারেন্স
    Lehner, M. (1997). The Complete Pyramids
    Breasted, J.H. (1930). The Edwin Smith Surgical Papyrus
    Jean-Pierre Houdin (2006). Khufu: The Secrets Behind the Building of the Great Pyramid
    Bauval & Gilbert (1994). The Orion Mystery
    Nunn, J.F. (1996). Ancient Egyptian Medicine
    তাহলে কি ৪ হাজার বছর আগেই আমরা হেরে গিয়েছিলাম?
    না, বরং প্রাচীন মানুষ আজকের মতোই বুদ্ধিমান ছিল — তাদের কাছে আধুনিক যন্ত্র না থাকলেও
    তাদের পরিকল্পনা, দলবদ্ধতা, বৈজ্ঞানিক যুক্তি ও কল্পনা শক্তি ছিল অনন্য।
    আমরা আজকে যেসব “অ্যাডভান্সড” জিনিস নিয়ে গর্ব করি — যেমন জ্যোতির্বিদ্যা, সময় গণনা, স্থাপত্য, চিকিৎসা —
    তার বীজ তারা বহু আগেই বপন করে গিয়েছিল।
    প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা কেবল সমাধি নির্মাণ করেনি, তারা জ্ঞান, বিজ্ঞান, স্থাপত্য ও চিকিৎসায় এক সোনালি যুগ সৃষ্টি করেছিল।
    তাদের কাজ আজও গবেষণার বিষয়, তাদের নিখুঁততা আজও বিস্ময়ের।
    লেখক: M Shawon Hossain
    🏺 "মিশরীয় সভ্যতার প্রযুক্তি কি ৪ হাজার বছর আগেই আমাদের ছাড়িয়ে গিয়েছিল?" 📌 পিরামিড নির্মাণ, হেলিওগ্রাফি, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিদ্যার বিস্ময় 🕰️ প্রাচীন সময়, আধুনিক প্রযুক্তি? মনে করুন, আপনি টাইম মেশিনে করে চলে গেলেন খ্রিস্টপূর্ব ২৫৬০ সালে। আপনার সামনে বিশাল মরুভূমির মধ্যে গিজা অঞ্চলে হাজারো শ্রমিক, প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক ব্যস্ত হয়ে রয়েছে এক দৈত্যাকার প্রজেক্টে — গ্রেট পিরামিড অফ গিজা। আজকের দৃষ্টিতে সেটি শুধুই এক প্রাচীন রাজপ্রাসাদ বা সমাধি নয় — বরং একটি বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশল বিস্ময়, যা আজকের আধুনিক যুগকেও চ্যালেঞ্জ করে। পিরামিড নির্মাণ – কেবল স্থাপত্য না, এক প্রযুক্তি। 🔵 কতটা বিশাল ছিল মিশরীয় পিরামিডগুলো? 🔻গ্রেট পিরামিড নির্মিত হয়েছে ২৩ লক্ষ চুনাপাথরের ব্লক দিয়ে। প্রতিটি ব্লকের ওজন প্রায় ২.৫ থেকে ১৫ টন পর্যন্ত। পিরামিডের মোট ওজন প্রায় ৬০ লক্ষ টন। গড় উচ্চতা ছিল ১৪৬.৭ মিটার, বর্তমানে কিছুটা ক্ষয়ে ১৩৮ মিটার হয়ে দাড়িয়েছে। ♦️ কোন যন্ত্রে তোলা হয়েছিল এত ভারী পাথর? এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নন। তবে কিছু গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা হলো: ১. র‍্যাম্প থিওরি: পাথরগুলো পিরামিডের পাশ ঘেঁষে বানানো হেলানো মাটির ঢাল বা র‍্যাম্প বেয়ে ওপরে তোলা হতো। একে বলে Linear Ramp Theory। ২. স্পাইরাল র‍্যাম্প (Houdin Model): Jean-Pierre Houdin নামক এক ফরাসি স্থপতির মতে, পিরামিডের ভেতরে সর্পিল পথে একটি অভ্যন্তরীণ র‍্যাম্প ছিল, যেটা দিয়ে ব্লকগুলো ওপরে তোলা হতো। ৩. ভাসমান বা গ্যাস-ব্যালন থিওরি, এলিয়েন থিওরি: কিছু fringe researcher দাবি করেন হয়তো অজানা প্রযুক্তি, এমনকি ভিনগ্রহের সহায়তা ছিল। 🔬 তবে যেটাই হোক, এর ইঞ্জিনিয়ারিং ছিল অস্বাভাবিক নিখুঁত। পিরামিডের নিখুঁততা – মডার্ন টেকনোলজিকেও হার মানায়। উত্তর-দক্ষিণে মুখ করা পিরামিডের দিকভিত্তিক বিচ্যুতি মাত্র ৩/৬০ ডিগ্রি। প্রতিটি পাথর এত নিখুঁতভাবে বসানো যে একটি ব্লেড পর্যন্ত ঢোকানো যায় না ফাঁকে! 🔍 কীভাবে এত নিখুঁত? তাদের ছিল: অ্যাস্ট্রোনমিকাল কম্পাস – যা দিয়ে তারা সূর্য বা নক্ষত্র দেখে দিক নির্ধারণ করত। লিভার, রোলার ও কাঠের চাকার ব্যবহার। যদিও চাকা আবিষ্কারের সময় নিয়েও বিতর্ক আছে। প্রাচীন মিশরীয়রা গণনার জন্য ব্যবহার করত হিয়ারোগ্লিফিকস পদ্ধতি। যেটি নিজেদের সংখ্যাপদ্ধতি ছিল 🌞 হেলিওগ্রাফি – সূর্যের আলো নিয়ন্ত্রণ সূর্যের উপর ভিত্তি করে মিশরীয়রা স্থাপনা নির্মাণ করত। অনেক গবেষকের মতে, কিছু ঘর এমনভাবে তৈরি করা হতো যাতে সৌর আলোর প্রতিবিম্ব কাজে লাগে। সানডায়াল দিয়ে সময় নির্ধারণ করা হতো। এই পদ্ধতি আজকের ঘড়ির প্রাচীন সংস্করণ। 🌠 জ্যোতির্বিদ্যা – মিশরীয়রা কি মহাকাশ বুঝত? 🔹 ওরিয়ন বেল্ট থিওরি: মিশরের তিনটি বড় পিরামিডের অবস্থান, তিনটি প্রধান তারা (Orion’s Belt) এর অবস্থানের সঙ্গে মিলে যায়। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, তারা রাত্রির আকাশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করত। 🔹 সিরিয়াস তারা: মিশরীয় বর্ষপঞ্জির সূচনা হতো যখন সিরিয়াস তারা প্রথমবার উদিত হতো – এটি ছিল নাইল নদীর বন্যা পূর্বাভাসের সংকেত। ⚕️ চিকিৎসা – অজানা কিন্তু অবাক করা জ্ঞান 📜 Edwin Smith Papyrus (1600 BCE): বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো সার্জারির টেক্সট পাওয়া গেছে মিশরে। এছাড়াও কাটা ও পোড়ার চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি মাথার আঘাত চিহ্নিত করে কি ব্যবস্থা নিতে হবে, তার-ও বর্ণনা রয়েছে্ 🧴 চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো: 🔻প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক মধু ও মোলাসেস লাগনো হতো। 🔻 পেটের সমস্যা বা সংক্রমণের জন্য কাসকরা, গুলঞ্চ জাতীয় গাছ সেবন করানো হতো। ইনফেকশন রোধে ব্যবহৃত হতো ক্লে ও খনিজ পদার্থ। 🦷প্রাচীন মিশরে দাঁতের চিকিৎসাও ছিল তারা দাঁত তুলতে জানত। নকল দাঁত বসানোর চেষ্টারও নিদর্শন পাওয়া গেছে 📚 রেফারেন্স Lehner, M. (1997). The Complete Pyramids Breasted, J.H. (1930). The Edwin Smith Surgical Papyrus Jean-Pierre Houdin (2006). Khufu: The Secrets Behind the Building of the Great Pyramid Bauval & Gilbert (1994). The Orion Mystery Nunn, J.F. (1996). Ancient Egyptian Medicine ❓ তাহলে কি ৪ হাজার বছর আগেই আমরা হেরে গিয়েছিলাম? না, বরং প্রাচীন মানুষ আজকের মতোই বুদ্ধিমান ছিল — তাদের কাছে আধুনিক যন্ত্র না থাকলেও তাদের পরিকল্পনা, দলবদ্ধতা, বৈজ্ঞানিক যুক্তি ও কল্পনা শক্তি ছিল অনন্য। আমরা আজকে যেসব “অ্যাডভান্সড” জিনিস নিয়ে গর্ব করি — যেমন জ্যোতির্বিদ্যা, সময় গণনা, স্থাপত্য, চিকিৎসা — তার বীজ তারা বহু আগেই বপন করে গিয়েছিল। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা কেবল সমাধি নির্মাণ করেনি, তারা জ্ঞান, বিজ্ঞান, স্থাপত্য ও চিকিৎসায় এক সোনালি যুগ সৃষ্টি করেছিল। তাদের কাজ আজও গবেষণার বিষয়, তাদের নিখুঁততা আজও বিস্ময়ের। ✍️ লেখক: M Shawon Hossain
    0 Comments 0 Shares 404 Views 0 Reviews
  • কথায় আছে অতি লোভে তাতী নষ্ট। জীবনে সফল হতে হলে লোভ ত্যাগ করে,সৎ ও সুন্দর ভাবে ধৈর্যের সাথে কাজ করতে হবে।
    এক গ্রামে ছিল তিন বন্ধু প্রাণী—হাঁস, বানর আর কচ্ছপ। তারা একসাথে থাকত, খেত-খামার করত, আর বিকেলে পুকুর পাড়ে বসে গল্প করত।
    হাঁস ছিল একটু চঞ্চল, সব কিছুতেই খুঁতখুঁত করত।
    বানর ছিল দুষ্টু, সবসময় খেলাধুলা আর লাফঝাঁপে মেতে থাকত।
    আর কচ্ছপ ছিল ধীর, কিন্তু খুবই বুদ্ধিমান।
    একদিন খবর ছড়ালো—গ্রামের পুরনো বটগাছের নিচে লুকানো আছে এক গুপ্তধনের সিন্দুক!
    গ্রামের মানুষ উত্তেজনায় কাঁপতে লাগল। সবাই দৌড়ে গেল বটগাছের দিকে, কিন্তু তখন দেখা গেল—সিন্দুকটা গায়েব! শুধু পড়ে আছে মাটির উপর কিছু আঁচড়ের দাগ আর একটা কলার খোসা।
    সবাই তাকাল বানরের দিকে।
    কেউ বলল, “এই কলার খোসা তো তার প্রিয়।”
    হাঁস বলল, “আমি দেখেছি, সেদিন বিকেলে বানরই গাছে ঝাঁপাচ্ছিল।”
    বানর বলল, “না না! আমি শুধু খেলছিলাম। আমি কিছু জানি না।”
    তখন সবাই কচ্ছপের কাছে যায়। কচ্ছপ বলে, “গুপ্তধন লুকানো, কিন্তু সত্যকে কেউ লুকাতে পারে না। চলো, একটু চারপাশ খুঁজি।”
    কচ্ছপ সবাইকে নিয়ে বটগাছের পেছনে যায়। মাটিতে খোঁড়াখুঁড়ির চিহ্ন—আর সেইখানে লুকানো ছিল সেই সিন্দুক!
    কিন্তু... ভেতরে কিছুই নেই!
    হাঁস এবার চেঁচিয়ে বলে, “দেখো, কচ্ছপই দোষী! ও-ই তো বলেছিল খুঁজে বের করতে।”
    কিন্তু ঠিক তখন বানর হঠাৎ চিৎকার করে, “ওই দ্যাখ! হাঁসের ঠোঁটে চকচকে কিছু ঝলমল করছে!”
    সবাই হাঁসের পেছনে দৌড় দেয়, আর তার গর্তে গিয়ে দেখে—সিন্দুকের কয়েনগুলো গর্তে গচ্ছিত! আসলে হাঁস-ই রাতে লোভে পড়ে চুরি করেছিল, কিন্তু বানরের কলা খাওয়া দেখে দোষ তার ঘাড়ে দিয়ে দিয়েছিল।
    শেষে:
    হাঁস লজ্জায় মাথা নিচু করে।
    বানর বলে, “মজা আলাদা, কিন্তু দোষ দেওয়া ঠিক নয়।”
    আর কচ্ছপ ধীরে বলে, “যে ধৈর্য ধরে, সেই সত্য খুঁজে পায়।”
    ---
    শিক্ষণীয় বার্তা:
    লোভের ফল খারাপ, মিথ্যা বলেও রক্ষা মেলে না। আর ধৈর্য আর সততা সব সময় জয় পায়।
    কথায় আছে অতি লোভে তাতী নষ্ট। জীবনে সফল হতে হলে লোভ ত্যাগ করে,সৎ ও সুন্দর ভাবে ধৈর্যের সাথে কাজ করতে হবে। এক গ্রামে ছিল তিন বন্ধু প্রাণী—হাঁস, বানর আর কচ্ছপ। তারা একসাথে থাকত, খেত-খামার করত, আর বিকেলে পুকুর পাড়ে বসে গল্প করত। হাঁস ছিল একটু চঞ্চল, সব কিছুতেই খুঁতখুঁত করত। বানর ছিল দুষ্টু, সবসময় খেলাধুলা আর লাফঝাঁপে মেতে থাকত। আর কচ্ছপ ছিল ধীর, কিন্তু খুবই বুদ্ধিমান। একদিন খবর ছড়ালো—গ্রামের পুরনো বটগাছের নিচে লুকানো আছে এক গুপ্তধনের সিন্দুক! গ্রামের মানুষ উত্তেজনায় কাঁপতে লাগল। সবাই দৌড়ে গেল বটগাছের দিকে, কিন্তু তখন দেখা গেল—সিন্দুকটা গায়েব! শুধু পড়ে আছে মাটির উপর কিছু আঁচড়ের দাগ আর একটা কলার খোসা। সবাই তাকাল বানরের দিকে। কেউ বলল, “এই কলার খোসা তো তার প্রিয়।” হাঁস বলল, “আমি দেখেছি, সেদিন বিকেলে বানরই গাছে ঝাঁপাচ্ছিল।” বানর বলল, “না না! আমি শুধু খেলছিলাম। আমি কিছু জানি না।” তখন সবাই কচ্ছপের কাছে যায়। কচ্ছপ বলে, “গুপ্তধন লুকানো, কিন্তু সত্যকে কেউ লুকাতে পারে না। চলো, একটু চারপাশ খুঁজি।” কচ্ছপ সবাইকে নিয়ে বটগাছের পেছনে যায়। মাটিতে খোঁড়াখুঁড়ির চিহ্ন—আর সেইখানে লুকানো ছিল সেই সিন্দুক! কিন্তু... ভেতরে কিছুই নেই! হাঁস এবার চেঁচিয়ে বলে, “দেখো, কচ্ছপই দোষী! ও-ই তো বলেছিল খুঁজে বের করতে।” কিন্তু ঠিক তখন বানর হঠাৎ চিৎকার করে, “ওই দ্যাখ! হাঁসের ঠোঁটে চকচকে কিছু ঝলমল করছে!” সবাই হাঁসের পেছনে দৌড় দেয়, আর তার গর্তে গিয়ে দেখে—সিন্দুকের কয়েনগুলো গর্তে গচ্ছিত! আসলে হাঁস-ই রাতে লোভে পড়ে চুরি করেছিল, কিন্তু বানরের কলা খাওয়া দেখে দোষ তার ঘাড়ে দিয়ে দিয়েছিল। শেষে: হাঁস লজ্জায় মাথা নিচু করে। বানর বলে, “মজা আলাদা, কিন্তু দোষ দেওয়া ঠিক নয়।” আর কচ্ছপ ধীরে বলে, “যে ধৈর্য ধরে, সেই সত্য খুঁজে পায়।” --- শিক্ষণীয় বার্তা: লোভের ফল খারাপ, মিথ্যা বলেও রক্ষা মেলে না। আর ধৈর্য আর সততা সব সময় জয় পায়।
    0 Comments 0 Shares 468 Views 0 Reviews
  • Your leadership isn't defined by titles.

    It's in how you make others feel.

    The way you treat people makes you a leader:

    ➟ When you choose humility over ego.
    ➟ When you lead with heart, not power.
    ➟ When you stay kind, even when it's tough.

    Because people never forget how you made them feel,
    long after your words are gone.

    It's the values that shine through your actions:
    (consistently, always from the heart)

    1. You're easy to change your mind when you're wrong
    ↳ You value truth over ego.
    ↳ Ask: “What if I’m wrong?” before defending your view.

    2. You treat everyone with equal respect, especially those less seen.
    ↳ You choose fairness over status.
    ↳ Seek moments to lift someone who’s often overlooked.

    3. You don't gossip or even tolerate it
    ↳ You value integrity more than drama.
    ↳ Change the subject or walk away when gossip starts.

    4. You don’t need to be the smartest in the room
    ↳ You champion collaboration over rivalry.
    ↳ Highlight others’ good ideas, especially in front of others.

    5. You notice when someone’s not okay, then quietly reach out
    ↳ You see the person, not just the role.
    ↳ Say: “I noticed you seemed off today - want to talk?”

    6. You stay kind when others get difficult
    ↳ You choose composure over conflict.
    ↳ Take a breath before responding - don’t mirror their energy.

    7. You give credit in rooms where people are forgotten
    ↳ You elevate others over spotlighting yourself.
    ↳ Mention someone’s contribution when they’re not in the room.

    8. You say “thank you” a lot, and always mean it
    ↳ You lead with gratitude, not obligation.
    ↳ Thank someone today for something small, but meaningful.

    9. You forgive and move on
    ↳ You let go to move forward, not cling to being right.
    ↳ Separate the mistake from the person - let go, don’t replay.

    10. You make people feel important, never small
    ↳ You lift others up instead of standing above them.
    ↳ Ask: “How can I help this person feel more confident today?”

    True leadership is a choice you make every day.

    You don’t need a title
    to be someone people trust,
    follow, and remember.
    -----
    Grow your professional skills with daily visual wisdom.
    Follow Infographic Insights for the best posts on:
    Business
    Leadership
    Self-improvement
    Your leadership isn't defined by titles. It's in how you make others feel. The way you treat people makes you a leader: ➟ When you choose humility over ego. ➟ When you lead with heart, not power. ➟ When you stay kind, even when it's tough. Because people never forget how you made them feel, long after your words are gone. It's the values that shine through your actions: (consistently, always from the heart) 1. You're easy to change your mind when you're wrong ↳ You value truth over ego. ↳ Ask: “What if I’m wrong?” before defending your view. 2. You treat everyone with equal respect, especially those less seen. ↳ You choose fairness over status. ↳ Seek moments to lift someone who’s often overlooked. 3. You don't gossip or even tolerate it ↳ You value integrity more than drama. ↳ Change the subject or walk away when gossip starts. 4. You don’t need to be the smartest in the room ↳ You champion collaboration over rivalry. ↳ Highlight others’ good ideas, especially in front of others. 5. You notice when someone’s not okay, then quietly reach out ↳ You see the person, not just the role. ↳ Say: “I noticed you seemed off today - want to talk?” 6. You stay kind when others get difficult ↳ You choose composure over conflict. ↳ Take a breath before responding - don’t mirror their energy. 7. You give credit in rooms where people are forgotten ↳ You elevate others over spotlighting yourself. ↳ Mention someone’s contribution when they’re not in the room. 8. You say “thank you” a lot, and always mean it ↳ You lead with gratitude, not obligation. ↳ Thank someone today for something small, but meaningful. 9. You forgive and move on ↳ You let go to move forward, not cling to being right. ↳ Separate the mistake from the person - let go, don’t replay. 10. You make people feel important, never small ↳ You lift others up instead of standing above them. ↳ Ask: “How can I help this person feel more confident today?” True leadership is a choice you make every day. You don’t need a title to be someone people trust, follow, and remember. ----- Grow your professional skills with daily visual wisdom. Follow Infographic Insights for the best posts on: 📊 Business 🌟 Leadership 💡 Self-improvement
    0 Comments 0 Shares 630 Views 0 Reviews
  • "One thing that can make you successful:

    90% of top performers have high Emotional Intelligence.

    Companies no longer seek the smartest.
    They hunt the most emotionally intelligent.

    15 signs you possess high EI (without even knowing it):

    1) You’re self-motivated.
    2) You’re a good listener.
    3) You stay calm under pressure.
    4) You’re honest and transparent.
    5) You articulate your points clearly.
    6) You provide feedback effectively.
    7) You create and maintain networks.
    8) You handle criticism constructively.
    9) You understand other perspectives.
    10) People feel relaxed working with you.
    11) You can share your worries and concerns.
    12) You provide a vision that motivates others.
    13) You effectively manage stress and setbacks.
    14) You can settle disputes and misunderstandings.
    15) You are open-minded and receptive to new ideas.

    Although emotional intelligence is crucial, statistics reveal
    that only 36% of people worldwide are emotionally intelligent.

    So steal this cheat sheet with skills to develop
    to enhance your EI and become one of the top performers."

    "One thing that can make you successful: 90% of top performers have high Emotional Intelligence. Companies no longer seek the smartest. They hunt the most emotionally intelligent. 15 signs you possess high EI (without even knowing it): 1) You’re self-motivated. 2) You’re a good listener. 3) You stay calm under pressure. 4) You’re honest and transparent. 5) You articulate your points clearly. 6) You provide feedback effectively. 7) You create and maintain networks. 8) You handle criticism constructively. 9) You understand other perspectives. 10) People feel relaxed working with you. 11) You can share your worries and concerns. 12) You provide a vision that motivates others. 13) You effectively manage stress and setbacks. 14) You can settle disputes and misunderstandings. 15) You are open-minded and receptive to new ideas. Although emotional intelligence is crucial, statistics reveal that only 36% of people worldwide are emotionally intelligent. ♻️ So steal this cheat sheet with skills to develop to enhance your EI and become one of the top performers."
    0 Comments 0 Shares 490 Views 0 Reviews
  • In my early career, I once disagreed with my boss.

    To my surprise, it made our relationship stronger.

    Disagreement doesn’t mean disloyalty.
    It shows you’re thinking for yourself.

    Here’s how to do it well:

    1. Start with listening
    Let them finish. Then say:
    → “Thanks for sharing. Can I reflect on this before I respond?”

    2. Use “I” language
    Keep it about your view. Not their mistake.
    → “I’ve seen a different result in a similar case. Want to walk through it?”

    3. Acknowledge their input
    Validate their thinking before adding yours.
    → “You’ve considered X and Y. I’d love to share one more angle.”

    4. Bring facts, not feelings
    Support your view with data or past examples.
    → “Here’s the outcome from last quarter when we did it this way.”

    5. Ask for explaination
    Understand before disagreeing.
    → “Can you share the reasoning behind that decision?”

    6. Give them credit
    Show appreciation for what’s working.
    → “The way you led [project] worked well. This idea could build on that.”

    7. Find common ground
    Offer a win-win if you can.
    → “What if we test both ideas for a week and compare outcomes?”

    8. Keep it short and clear
    Don’t overexplain. Stick to impact.
    → “My version saves 12 hours per month. Happy to show how.”

    9. Let timing help you
    Bring it up after the heat passes.
    → “Can we circle back on that topic later today?”

    10. Focus on the goal
    Remind them you’re aligned.
    → “We both care about hitting Q3 goals. That’s why I raised this.”

    Disagreements handled well builds respect.
    So, make sure you don’t create distance with your boss.

    ---------
    In my early career, I once disagreed with my boss. To my surprise, it made our relationship stronger. Disagreement doesn’t mean disloyalty. It shows you’re thinking for yourself. Here’s how to do it well: 1. Start with listening Let them finish. Then say: → “Thanks for sharing. Can I reflect on this before I respond?” 2. Use “I” language Keep it about your view. Not their mistake. → “I’ve seen a different result in a similar case. Want to walk through it?” 3. Acknowledge their input Validate their thinking before adding yours. → “You’ve considered X and Y. I’d love to share one more angle.” 4. Bring facts, not feelings Support your view with data or past examples. → “Here’s the outcome from last quarter when we did it this way.” 5. Ask for explaination Understand before disagreeing. → “Can you share the reasoning behind that decision?” 6. Give them credit Show appreciation for what’s working. → “The way you led [project] worked well. This idea could build on that.” 7. Find common ground Offer a win-win if you can. → “What if we test both ideas for a week and compare outcomes?” 8. Keep it short and clear Don’t overexplain. Stick to impact. → “My version saves 12 hours per month. Happy to show how.” 9. Let timing help you Bring it up after the heat passes. → “Can we circle back on that topic later today?” 10. Focus on the goal Remind them you’re aligned. → “We both care about hitting Q3 goals. That’s why I raised this.” Disagreements handled well builds respect. So, make sure you don’t create distance with your boss. ---------
    0 Comments 0 Shares 459 Views 0 Reviews
  • সিনেস্থেসিয়া: মস্তিষ্কের এক রহস্যময় জগত
    বিশ্বের প্রায় ৪ শতাংশ মানুষ এমন একটি বিশেষ অনুভূতির অভিজ্ঞতা লাভ করেন, যাকে বলা হয় সিনেস্থেসিয়া। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি একটি ইন্দ্রিয়ের উদ্দীপনা অনুভব করে অন্য একটি ইন্দ্রিয়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ শব্দ শুনলে রং দেখতে পান বা কোনো নির্দিষ্ট শব্দ পড়লে তার মনে বিশেষ রঙের ভাবনা আসে।
    প্রখ্যাত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই, কার্টুনিস্ট আহসান হাবীবও এই বিশেষ অনুভূতির অধিকারী ছিলেন। হুমায়ূন আহমেদ তার ‘লীলাবতীর মৃত্যু’ বইয়ে লিখেছেন, “আহসান হাবীব শব্দের রং দেখতে পায়। সে বলে যখনই কোনো শব্দ হয় তখনই সে সেই শব্দের রং দেখে। কখনো নীল, কখনো লাল, সবুজ ও কমলা। মাঝেমধ্যে এমন সব রং দেখে যার অস্তিত্ব বাস্তব পৃথিবীতে নেই।” এই রহস্যময় অভিজ্ঞতা বিজ্ঞানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বহু আগে থেকেই।
    সাম্প্রতিক এক গবেষণা সিনেস্থেসিয়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছে। 'প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস' নামের জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় সিনেস্থেসিয়ার সময় মস্তিষ্কে কী ঘটে তা বোঝার জন্য গবেষকরা কাজ করেছেন। গবেষণার প্রধান লেখক, নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর সাইকোলিঙ্গুইস্টিক্স-এর পরিচালক সাইমন ফিশার জানান, ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (MRI) স্ক্যান ব্যবহার করে দেখা গেছে যে সিনেস্থেসিয়া সত্যিকারের একটি জৈবিক ঘটনা।
    গবেষণায় দেখা গেছে, সিনেস্থেসিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্ক সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশি সংযুক্ত থাকে। যখন কেউ কোনো রং 'শোনেন', তখন তার মস্তিষ্কের এমন অংশ সক্রিয় হয়, যা সাধারণত দেখা বা শোনার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে এটি সবার ক্ষেত্রে একরকম নয়; বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন ভিন্ন ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
    যেহেতু সিনেস্থেসিয়া প্রায়শই পরিবারের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসে, গবেষকরা ধারণা করেন এটি জিনগতভাবে প্রভাবিত হতে পারে। গবেষণায় তিনটি পরিবার বাছাই করা হয়, যেখানে অন্তত তিন প্রজন্ম ধরে একাধিক সদস্য ‘শব্দ-রং সিনেস্থেসিয়া’-তে আক্রান্ত। গবেষকরা ডিএনএ সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিনেস্থেসিয়া থাকা ও না থাকা পরিবারের সদস্যদের জিন পরীক্ষা করেন। তবে তারা এমন কোনো নির্দিষ্ট জিন খুঁজে পাননি, যা এককভাবে এই অবস্থার জন্য দায়ী। বরং তারা ৩৭টি সম্ভাব্য জিনের সন্ধান পান, যা সিনেস্থেসিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
    এই গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, এসব জিনের কয়েকটি বিশেষ কাজের সঙ্গে যুক্ত, যেমন 'অ্যাক্সোনোজেনেসিস'—যা মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর সংযোগ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোতেও দেখা গেছে, সিনেস্থেসিয়ার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের সংযোগ ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের তুলনায় ভিন্ন। অর্থাৎ, এই জিনগুলো মস্তিষ্কের গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এটি সিনেস্থেসিয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
    গবেষকরা ভবিষ্যতে আরও বিশদ গবেষণা চালানোর পরিকল্পনা করছেন, যাতে এই রহস্য আরও গভীরভাবে বোঝা যায়। তারা মনে করেন, সিনেস্থেসিয়া নিয়ে গবেষণা করলে মানুষের মস্তিষ্ক কীভাবে বাহ্যিক বিশ্বের অনুভূতিগুলো তৈরি করে, তা আরও ভালোভাবে বোঝা সম্ভব হবে।
    সিনেস্থেসিয়ার মতো রহস্যময় শারীরবৃত্তীয় ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে মস্তিষ্কের কার্যক্রম এখনো অনেকাংশে রহস্যাবৃত। ভবিষ্যতের গবেষণায় হয়তো এর সম্পর্কে আরও চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসবে, যা আমাদের ইন্দ্রিয় ও মস্তিষ্কের সম্পর্ক নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে।
    এই কলামটি সিনেস্থেসিয়ার রহস্যময় জগৎ ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে। আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট পরিবর্তন বা নতুন সংযোজন চান, জানাতে পারেন!
    সিনেস্থেসিয়া: মস্তিষ্কের এক রহস্যময় জগত বিশ্বের প্রায় ৪ শতাংশ মানুষ এমন একটি বিশেষ অনুভূতির অভিজ্ঞতা লাভ করেন, যাকে বলা হয় সিনেস্থেসিয়া। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি একটি ইন্দ্রিয়ের উদ্দীপনা অনুভব করে অন্য একটি ইন্দ্রিয়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ শব্দ শুনলে রং দেখতে পান বা কোনো নির্দিষ্ট শব্দ পড়লে তার মনে বিশেষ রঙের ভাবনা আসে। প্রখ্যাত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই, কার্টুনিস্ট আহসান হাবীবও এই বিশেষ অনুভূতির অধিকারী ছিলেন। হুমায়ূন আহমেদ তার ‘লীলাবতীর মৃত্যু’ বইয়ে লিখেছেন, “আহসান হাবীব শব্দের রং দেখতে পায়। সে বলে যখনই কোনো শব্দ হয় তখনই সে সেই শব্দের রং দেখে। কখনো নীল, কখনো লাল, সবুজ ও কমলা। মাঝেমধ্যে এমন সব রং দেখে যার অস্তিত্ব বাস্তব পৃথিবীতে নেই।” এই রহস্যময় অভিজ্ঞতা বিজ্ঞানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বহু আগে থেকেই। সাম্প্রতিক এক গবেষণা সিনেস্থেসিয়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছে। 'প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস' নামের জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় সিনেস্থেসিয়ার সময় মস্তিষ্কে কী ঘটে তা বোঝার জন্য গবেষকরা কাজ করেছেন। গবেষণার প্রধান লেখক, নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর সাইকোলিঙ্গুইস্টিক্স-এর পরিচালক সাইমন ফিশার জানান, ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (MRI) স্ক্যান ব্যবহার করে দেখা গেছে যে সিনেস্থেসিয়া সত্যিকারের একটি জৈবিক ঘটনা। গবেষণায় দেখা গেছে, সিনেস্থেসিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্ক সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশি সংযুক্ত থাকে। যখন কেউ কোনো রং 'শোনেন', তখন তার মস্তিষ্কের এমন অংশ সক্রিয় হয়, যা সাধারণত দেখা বা শোনার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে এটি সবার ক্ষেত্রে একরকম নয়; বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন ভিন্ন ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। যেহেতু সিনেস্থেসিয়া প্রায়শই পরিবারের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসে, গবেষকরা ধারণা করেন এটি জিনগতভাবে প্রভাবিত হতে পারে। গবেষণায় তিনটি পরিবার বাছাই করা হয়, যেখানে অন্তত তিন প্রজন্ম ধরে একাধিক সদস্য ‘শব্দ-রং সিনেস্থেসিয়া’-তে আক্রান্ত। গবেষকরা ডিএনএ সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিনেস্থেসিয়া থাকা ও না থাকা পরিবারের সদস্যদের জিন পরীক্ষা করেন। তবে তারা এমন কোনো নির্দিষ্ট জিন খুঁজে পাননি, যা এককভাবে এই অবস্থার জন্য দায়ী। বরং তারা ৩৭টি সম্ভাব্য জিনের সন্ধান পান, যা সিনেস্থেসিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। এই গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, এসব জিনের কয়েকটি বিশেষ কাজের সঙ্গে যুক্ত, যেমন 'অ্যাক্সোনোজেনেসিস'—যা মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর সংযোগ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোতেও দেখা গেছে, সিনেস্থেসিয়ার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের সংযোগ ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের তুলনায় ভিন্ন। অর্থাৎ, এই জিনগুলো মস্তিষ্কের গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এটি সিনেস্থেসিয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। গবেষকরা ভবিষ্যতে আরও বিশদ গবেষণা চালানোর পরিকল্পনা করছেন, যাতে এই রহস্য আরও গভীরভাবে বোঝা যায়। তারা মনে করেন, সিনেস্থেসিয়া নিয়ে গবেষণা করলে মানুষের মস্তিষ্ক কীভাবে বাহ্যিক বিশ্বের অনুভূতিগুলো তৈরি করে, তা আরও ভালোভাবে বোঝা সম্ভব হবে। সিনেস্থেসিয়ার মতো রহস্যময় শারীরবৃত্তীয় ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে মস্তিষ্কের কার্যক্রম এখনো অনেকাংশে রহস্যাবৃত। ভবিষ্যতের গবেষণায় হয়তো এর সম্পর্কে আরও চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসবে, যা আমাদের ইন্দ্রিয় ও মস্তিষ্কের সম্পর্ক নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে। এই কলামটি সিনেস্থেসিয়ার রহস্যময় জগৎ ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে। আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট পরিবর্তন বা নতুন সংযোজন চান, জানাতে পারেন!
    0 Comments 0 Shares 403 Views 0 Reviews
More Stories
Linkheed https://linkheed.com