Recent Updates
All Countries
  • একদিন সকালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এক বন্ধু তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন,
    “তুমি এত বেশি ঘুমাও কেন?”
    শরৎচন্দ্র মজা করে বললেন,
    “ঘুমের মধ্যেই সেরা গল্পের ভাবনা মাথায় আসে। তাই ঘুমানোও আমার কাজের অংশ!”
    বন্ধু অবাক হয়ে বললেন,
    “তাহলে তুমি আসলে সবচেয়ে বেশি কাজ করো!”

    একবার তাঁর বাড়ির কাছে একজন লোক একটি কুকুরকে লাঠি দিয়ে তাড়াচ্ছিল। শরৎচন্দ্র এগিয়ে গিয়ে লোকটিকে প্রশ্ন করলেন,
    “তুমি এই কুকুরটাকে লাঠি দিয়ে মারছ কেন?”
    লোকটি বলল, “এটা তো রাস্তার কুকুর!”
    শরৎচন্দ্র হেসে বললেন,
    “তবে জানো, এই রাস্তার কুকুর তার নিজের এলাকায় রাজা। অন্যের রাজ্যে ঢুকে রাজাকে বিরক্ত করা ঠিক নয়।”

    আরেকদিন এক বন্ধু তাঁকে প্রশ্ন করলেন,
    “তুমি এত সুন্দর গল্প লেখো, এত সময় কিভাবে পাও?”
    শরৎচন্দ্র মৃদু হেসে বললেন,
    “আমি কম পড়ি, বেশি দেখি। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই একেকটা বই। জীবনের বই যত বেশি দেখবে, লেখার রসদও তত বেশি পাবে।”

    এই মহৎ কথাসাহিত্যিকের জীবন থেকে পাওয়া এই ছোট ছোট ঘটনার প্রতিটি আমাদের জীবনেও গভীর শিক্ষা দেয়। তাঁর প্রতিভা আর জীবনদর্শন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
    একদিন সকালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এক বন্ধু তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি এত বেশি ঘুমাও কেন?” শরৎচন্দ্র মজা করে বললেন, “ঘুমের মধ্যেই সেরা গল্পের ভাবনা মাথায় আসে। তাই ঘুমানোও আমার কাজের অংশ!” বন্ধু অবাক হয়ে বললেন, “তাহলে তুমি আসলে সবচেয়ে বেশি কাজ করো!” একবার তাঁর বাড়ির কাছে একজন লোক একটি কুকুরকে লাঠি দিয়ে তাড়াচ্ছিল। শরৎচন্দ্র এগিয়ে গিয়ে লোকটিকে প্রশ্ন করলেন, “তুমি এই কুকুরটাকে লাঠি দিয়ে মারছ কেন?” লোকটি বলল, “এটা তো রাস্তার কুকুর!” শরৎচন্দ্র হেসে বললেন, “তবে জানো, এই রাস্তার কুকুর তার নিজের এলাকায় রাজা। অন্যের রাজ্যে ঢুকে রাজাকে বিরক্ত করা ঠিক নয়।” আরেকদিন এক বন্ধু তাঁকে প্রশ্ন করলেন, “তুমি এত সুন্দর গল্প লেখো, এত সময় কিভাবে পাও?” শরৎচন্দ্র মৃদু হেসে বললেন, “আমি কম পড়ি, বেশি দেখি। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই একেকটা বই। জীবনের বই যত বেশি দেখবে, লেখার রসদও তত বেশি পাবে।” এই মহৎ কথাসাহিত্যিকের জীবন থেকে পাওয়া এই ছোট ছোট ঘটনার প্রতিটি আমাদের জীবনেও গভীর শিক্ষা দেয়। তাঁর প্রতিভা আর জীবনদর্শন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
    0 Comments 0 Shares 0 Views 0 Reviews
  • কীভাবে ঠিক হলো এক সেকেন্ডে কতক্ষণ?

    আমরা সময়ের হিসাব রাখি ঘণ্টা ও মিনিটে। এই লেখা যখন লিখছি, তখন দেয়ালঘড়িতে রাত ১০টা ১৫ মিনিট। কেউ জিজ্ঞাসা করলে নিশ্চয়ই বলতাম, এখন সোয়া ১০টা বাজে। ঘড়িতে সব সময় টিকটিক করছে লম্বা একটি কাঁটা। এটাকে আমরা বলি সেকেন্ডের কাঁটা। সময় বলার সময় এই কাঁটা উপেক্ষিত থাকে।

    আমরা জানি ৬০ সেকেন্ডে হয় ১ মিনিট। আর ৬০ মিনিটে হয় ১ ঘণ্টা। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি, এক সেকেন্ড আসলে কতক্ষণ? আমরা প্রায় প্রতিদিন এই শব্দ ব্যবহার করি। কিন্তু এক সেকেন্ডের সঠিক পরিমাপ কীভাবে নির্ধারিত হলো, তা জানতে এই লেখা। এটি জানতে আমাদের সময়ের ইতিহাসে একটু পিছিয়ে যেতে হবে। এখন অনেকে ভাববে, এক সেকেন্ড হলো ঘড়ির কাঁটায় সেকেন্ডের এক দাগ থেকে অন্য দাগে যাওয়ার সময়। প্রশ্ন হলো, কিসের মাধ্যমে এই দাগের সময় নির্ধারণ করা হলো? কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে মাপা হলো সেকেন্ডের ব্যাপ্তি?

    প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সভ্যতা চাঁদ, সূর্য ও নক্ষত্রদের চলাচলের ওপর ভিত্তি করে নিজস্ব ক্যালেন্ডার তৈরিতে সময় নির্ধারণ করত। এমনকি আমরা যাকে সেকেন্ড বলে জানি, তা সম্পর্কে ১৫০০ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত কারও কোনো নির্দিষ্ট ধারণা ছিল না। যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্রিটিশদের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন সবার কাছে সময় গণনার ধারণা কিছুটা স্পষ্ট হয়।

    গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে দিনকে ২৪ ঘণ্টায় ভাগ করা হয়। আর প্রতি ঘণ্টাকে ৬০ মিনিটে। প্রতি মিনিটকে আবার ৬০ সেকেন্ডে ভাগ করা হয়। শুরুতে সেকেন্ডকে এভাবে গাণিতিকভাবে ভাগ করা হয়। অর্থাৎ প্রতি মিনিটকে ভাগ করা হয় ৩ হাজার ৬০০ সেকেন্ডে। আর ২৪ ঘণ্টাকে ভাগ করা হয় ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ডে। মানে বছরে ৩১ লাখ ৫৫৬ হাজার ৯২৬ সেকেন্ড। তখন এভাবে প্রতি সেকেন্ড গণনা করা হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সীমানায় টাইম জোন বদলে যাওয়ায় সময়ের হিসাব করতে সমস্যা শুরু হয়। প্রতিটি সেকেন্ড সঠিকভাবে গণনা করা আরও কঠিন হয়ে যায়।
    কীভাবে ঠিক হলো এক সেকেন্ডে কতক্ষণ? আমরা সময়ের হিসাব রাখি ঘণ্টা ও মিনিটে। এই লেখা যখন লিখছি, তখন দেয়ালঘড়িতে রাত ১০টা ১৫ মিনিট। কেউ জিজ্ঞাসা করলে নিশ্চয়ই বলতাম, এখন সোয়া ১০টা বাজে। ঘড়িতে সব সময় টিকটিক করছে লম্বা একটি কাঁটা। এটাকে আমরা বলি সেকেন্ডের কাঁটা। সময় বলার সময় এই কাঁটা উপেক্ষিত থাকে। আমরা জানি ৬০ সেকেন্ডে হয় ১ মিনিট। আর ৬০ মিনিটে হয় ১ ঘণ্টা। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি, এক সেকেন্ড আসলে কতক্ষণ? আমরা প্রায় প্রতিদিন এই শব্দ ব্যবহার করি। কিন্তু এক সেকেন্ডের সঠিক পরিমাপ কীভাবে নির্ধারিত হলো, তা জানতে এই লেখা। এটি জানতে আমাদের সময়ের ইতিহাসে একটু পিছিয়ে যেতে হবে। এখন অনেকে ভাববে, এক সেকেন্ড হলো ঘড়ির কাঁটায় সেকেন্ডের এক দাগ থেকে অন্য দাগে যাওয়ার সময়। প্রশ্ন হলো, কিসের মাধ্যমে এই দাগের সময় নির্ধারণ করা হলো? কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে মাপা হলো সেকেন্ডের ব্যাপ্তি? প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সভ্যতা চাঁদ, সূর্য ও নক্ষত্রদের চলাচলের ওপর ভিত্তি করে নিজস্ব ক্যালেন্ডার তৈরিতে সময় নির্ধারণ করত। এমনকি আমরা যাকে সেকেন্ড বলে জানি, তা সম্পর্কে ১৫০০ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত কারও কোনো নির্দিষ্ট ধারণা ছিল না। যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্রিটিশদের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন সবার কাছে সময় গণনার ধারণা কিছুটা স্পষ্ট হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে দিনকে ২৪ ঘণ্টায় ভাগ করা হয়। আর প্রতি ঘণ্টাকে ৬০ মিনিটে। প্রতি মিনিটকে আবার ৬০ সেকেন্ডে ভাগ করা হয়। শুরুতে সেকেন্ডকে এভাবে গাণিতিকভাবে ভাগ করা হয়। অর্থাৎ প্রতি মিনিটকে ভাগ করা হয় ৩ হাজার ৬০০ সেকেন্ডে। আর ২৪ ঘণ্টাকে ভাগ করা হয় ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ডে। মানে বছরে ৩১ লাখ ৫৫৬ হাজার ৯২৬ সেকেন্ড। তখন এভাবে প্রতি সেকেন্ড গণনা করা হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সীমানায় টাইম জোন বদলে যাওয়ায় সময়ের হিসাব করতে সমস্যা শুরু হয়। প্রতিটি সেকেন্ড সঠিকভাবে গণনা করা আরও কঠিন হয়ে যায়।
    0 Comments 0 Shares 1 Views 0 Reviews
  • অহংকারের পরিণতি
    এক বনের কিনারে ছিল বিরাট একটি গাছ। তার শিকড় যেমন মাটির অনেক গভীরে পৌঁছেছিল তেমনি ডালপালাও চারপাশের অনেকখানি জায়গা জুড়ে ছড়িয়েছিল। গাছটির ঘন পাতার রাশি সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে মানুষকে ছায়া দিত। গাছটিতে অসংখ্য পাখি বাস করত। মানুষ ও পাখির সমাগমে গাছটির চারপাশের এলাকা মুখরিত থাকত।
    এই বিরাট গাছের নিচে একটি গাছের চারা গজিয়ে ওঠে। এটি ছিল একটি নমনীয় ও নাজুক হলদি গাছ। সামান্য একটু বাতাসেই তা নুয়ে পড়ত। একদিন দু’ প্রতিবেশী কথা বলছিল। হলদি গাছকে লক্ষ্য বড় গাছটি বলল: ওহে খুদে প্রতিবেশী, তুমি তোমার শিকড়গুলো মাটির আরো গভীরে প্রবেশ করাও না কেন? কেন আমার মত মাথা উঁচু করে দাঁড়াও না?
    হলদি গাছ মৃদু হেসে বলল: তার কোনো প্রয়োজন দেখি না। আসলে এ ভাবেই আমি নিরাপদ আছি।
    বড় গাছ বলল: নিরাপদ! তুমি কি মনে কর যে তুমি আমার চেয়ে নিরাপদ আছ? তুমি কি জান আমার শিকড় কত গভীরে প্রবেশ করেছে? আমার কাণ্ড কত মোটা ও শক্ত? এমনকি দু’জন লোক মিলেও আমার কাণ্ডের বেড় পাবে না। আমার শিকড় উৎপাটিত করবে ও আমাকে ধরাশায়ী করবে- এমন কে আছে?
    গাছটি হলদি গাছের দিক থেকে বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিল। কার ভাগ্যে কখন কী ঘটে তা কে বলতে পারে? একদিন সন্ধ্যায় ওই এলাকার ওপর দিয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেল। ঘূর্ণিঝড়ে শিকড়সহ গাছ উপড়ে পড়ে, বনের গাছপালা একেবারে ধ্বংস হয়ে গেল।
    ঝড়ের পর গ্রামবাসী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখতে বের হল। আকাশচুম্বী গাছগুলোর অবস্থা একেবারে শোচনীয়। সেগুলো হয় উপড়ে পড়েছে অথবা ভেঙে চুরে শেষ হয়ে গেছে। সারা বনের মধ্যে যেন গাছপালার কঙ্কাল ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে শুধু একটি ব্যতিক্রম সবার নজর কাড়ে। তা হলো হলদি গাছ। সেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল ঝাপটার শিকার হয়ে এদিক ওদিক হেলে পড়েছে কিংবা মাটিতেও লুটিয়ে পড়েছে। ঝড় শেষ হয়ে যাবার পর সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ও আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তার বিরাট প্রতিবেশী গাছটির কোনো চিহ্নও দেখা গেল না।
    অহংকারের পরিণতি এক বনের কিনারে ছিল বিরাট একটি গাছ। তার শিকড় যেমন মাটির অনেক গভীরে পৌঁছেছিল তেমনি ডালপালাও চারপাশের অনেকখানি জায়গা জুড়ে ছড়িয়েছিল। গাছটির ঘন পাতার রাশি সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে মানুষকে ছায়া দিত। গাছটিতে অসংখ্য পাখি বাস করত। মানুষ ও পাখির সমাগমে গাছটির চারপাশের এলাকা মুখরিত থাকত। এই বিরাট গাছের নিচে একটি গাছের চারা গজিয়ে ওঠে। এটি ছিল একটি নমনীয় ও নাজুক হলদি গাছ। সামান্য একটু বাতাসেই তা নুয়ে পড়ত। একদিন দু’ প্রতিবেশী কথা বলছিল। হলদি গাছকে লক্ষ্য বড় গাছটি বলল: ওহে খুদে প্রতিবেশী, তুমি তোমার শিকড়গুলো মাটির আরো গভীরে প্রবেশ করাও না কেন? কেন আমার মত মাথা উঁচু করে দাঁড়াও না? হলদি গাছ মৃদু হেসে বলল: তার কোনো প্রয়োজন দেখি না। আসলে এ ভাবেই আমি নিরাপদ আছি। বড় গাছ বলল: নিরাপদ! তুমি কি মনে কর যে তুমি আমার চেয়ে নিরাপদ আছ? তুমি কি জান আমার শিকড় কত গভীরে প্রবেশ করেছে? আমার কাণ্ড কত মোটা ও শক্ত? এমনকি দু’জন লোক মিলেও আমার কাণ্ডের বেড় পাবে না। আমার শিকড় উৎপাটিত করবে ও আমাকে ধরাশায়ী করবে- এমন কে আছে? গাছটি হলদি গাছের দিক থেকে বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিল। কার ভাগ্যে কখন কী ঘটে তা কে বলতে পারে? একদিন সন্ধ্যায় ওই এলাকার ওপর দিয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেল। ঘূর্ণিঝড়ে শিকড়সহ গাছ উপড়ে পড়ে, বনের গাছপালা একেবারে ধ্বংস হয়ে গেল। ঝড়ের পর গ্রামবাসী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখতে বের হল। আকাশচুম্বী গাছগুলোর অবস্থা একেবারে শোচনীয়। সেগুলো হয় উপড়ে পড়েছে অথবা ভেঙে চুরে শেষ হয়ে গেছে। সারা বনের মধ্যে যেন গাছপালার কঙ্কাল ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে শুধু একটি ব্যতিক্রম সবার নজর কাড়ে। তা হলো হলদি গাছ। সেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল ঝাপটার শিকার হয়ে এদিক ওদিক হেলে পড়েছে কিংবা মাটিতেও লুটিয়ে পড়েছে। ঝড় শেষ হয়ে যাবার পর সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ও আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তার বিরাট প্রতিবেশী গাছটির কোনো চিহ্নও দেখা গেল না।
    0 Comments 0 Shares 2 Views 0 Reviews
  • রাজা তার আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন-
    : আমি মৎস শিকারে যেতে চাই, আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে বলে জানা গেছে ?

    সে বল্লো -
    : আজকে অতীব সুন্দর, রৌদ্রোজ্জ্বল এবং চমৎকার আবহাওয়া থাকবে জাহাপনা ! আপনি নিঃসংকচিত্তে যেতে পারেন ।

    রাজা বের হলেন। রাজা যখন সাগর পাড়ে গেলেন, সাগর পাড়ে এক জেলে ছাগল চড়াচ্ছিলো, সে বললো-

    : মহারাজ আজকে কেন আপনি সাগরে যাচ্ছেন ? একটু পরেই তাে ঝুম বৃষ্টি হবে !

    রাজা রেগে বললেন -
    : বেটা জেলের বাচ্চা ! তুই কী জানিস আবহাওয়ার খবর ? আর আমাকে কি মূর্খ পেয়েছিস?! আমি খবর জেনে তবেই এসেছি।

    রাজা সাগরে গেলেন, কিছুক্ষণ পর শুরু হলাে ঝুম বৃষ্টি ! রাজা প্রাসাদে ফিরে এসে আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন, তারপর ঐ জেলেকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! জেলে তো পড়লাে মহা বিপদে! সে তাে আবহাওয়ার কিছুই জানে না!

    রাজ দরবারে গিয়ে জেলে কেঁদে বললো-
    : মহারাজ আমাকে যেতে দিন! আমি আসলে আবহাওয়ার কিছুই জানি না।

    রাজা বললেন -
    : তাহলে ঐ দিন আমার আবহাওয়া বিভাগের চেয়েও সঠিক খবর তুই কি করে দিলি !

    জেলে উত্তর দিল,
    : মহারাজ সেখানে আমার কোন কৃতিত্ব ছিল না ! সব কৃতিত্ব আমার ছাগলের ! বৃষ্টি আসার আধাঘন্টা আগে থেকে ছাগলটা ঘনঘন মুতে ! এর থেকে আমি বুঝতে পারি একটু পর বৃষ্টি হবে !

    তারপর রাজা জেলেকে ছেড়ে দিয়ে তার ছাগলটাকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! সম্ভবত সেই থেকেই কোনো কোনো অঞ্চলের বড় বড় পদগুলােতে ছাগল নিয়ােগ দেওয়ার রীতি চালু হয়।

    রম্যগল্প
    © Collected
    রাজা তার আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন- : আমি মৎস শিকারে যেতে চাই, আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে বলে জানা গেছে ? সে বল্লো - : আজকে অতীব সুন্দর, রৌদ্রোজ্জ্বল এবং চমৎকার আবহাওয়া থাকবে জাহাপনা ! আপনি নিঃসংকচিত্তে যেতে পারেন । রাজা বের হলেন। রাজা যখন সাগর পাড়ে গেলেন, সাগর পাড়ে এক জেলে ছাগল চড়াচ্ছিলো, সে বললো- : মহারাজ আজকে কেন আপনি সাগরে যাচ্ছেন ? একটু পরেই তাে ঝুম বৃষ্টি হবে ! রাজা রেগে বললেন - : বেটা জেলের বাচ্চা ! তুই কী জানিস আবহাওয়ার খবর ? আর আমাকে কি মূর্খ পেয়েছিস?! আমি খবর জেনে তবেই এসেছি। রাজা সাগরে গেলেন, কিছুক্ষণ পর শুরু হলাে ঝুম বৃষ্টি ! রাজা প্রাসাদে ফিরে এসে আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন, তারপর ঐ জেলেকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! জেলে তো পড়লাে মহা বিপদে! সে তাে আবহাওয়ার কিছুই জানে না! রাজ দরবারে গিয়ে জেলে কেঁদে বললো- : মহারাজ আমাকে যেতে দিন! আমি আসলে আবহাওয়ার কিছুই জানি না। রাজা বললেন - : তাহলে ঐ দিন আমার আবহাওয়া বিভাগের চেয়েও সঠিক খবর তুই কি করে দিলি ! জেলে উত্তর দিল, : মহারাজ সেখানে আমার কোন কৃতিত্ব ছিল না ! সব কৃতিত্ব আমার ছাগলের ! বৃষ্টি আসার আধাঘন্টা আগে থেকে ছাগলটা ঘনঘন মুতে ! এর থেকে আমি বুঝতে পারি একটু পর বৃষ্টি হবে ! তারপর রাজা জেলেকে ছেড়ে দিয়ে তার ছাগলটাকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! সম্ভবত সেই থেকেই কোনো কোনো অঞ্চলের বড় বড় পদগুলােতে ছাগল নিয়ােগ দেওয়ার রীতি চালু হয়। রম্যগল্প © Collected
    0 Comments 0 Shares 3 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 29 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 33 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 37 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 50 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 49 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 54 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 50 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 55 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 51 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 56 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 60 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 64 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 65 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 70 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 75 Views 0 Reviews
  • 0 Comments 0 Shares 79 Views 0 Reviews
More Stories
Linkheed https://linkheed.com