• মানবজীবনে সাফল্য যেন এক উজ্জ্বল সূর্য, যার আলো সবাই দেখতে চায়। কিন্তু এই সূর্য পর্যন্ত পৌঁছাতে গেলে অন্ধকার, কাঁটা, ঝড় আর হতাশার পথ পেরোতে হয়। অনেকেই ভাবেন, সাফল্য মানেই সোজা পথে চলা, ভুল না করা, সবসময় জেতা। অথচ বাস্তবতা হলো—সফলতার সবচেয়ে বড় পাঠশালা হলো ব্যর্থতা। তাই বলা হয়, “যে ব্যর্থ হয় না, সে কখনোই সফল হয় না।”

    জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে আমরা ব্যর্থতা অনুভব করি। পরীক্ষায় ফেল, চাকরির ইন্টারভিউয়ে না হওয়া, ব্যবসায়ে লোকসান—এসবই তো ব্যর্থতা। কিন্তু যে মানুষগুলো এসব ব্যর্থতার পর থেমে না গিয়ে বারবার উঠে দাঁড়িয়েছে, চেষ্টা করে গেছে, ইতিহাসে তাদের নামই লেখা হয়েছে। থমাস এডিসন যদি ১০০০ বার ব্যর্থ হয়ে লজ্জায় পিছিয়ে যেতেন, তাহলে হয়তো আজ পৃথিবী আলোয় আলোকিত হতো না। তিনিই বলেছিলেন, “আমি ব্যর্থ হইনি, আমি ১০০০টি পদ্ধতি শিখেছি যা কাজ করেনি।”

    ব্যর্থতা আমাদের শেখায় ধৈর্য, অধ্যবসায়, নম্রতা এবং নিজের ভুলগুলো বোঝার মানসিকতা। এটি আমাদের আত্মসমালোচনার সুযোগ দেয়, নিজেকে গড়ার সময় দেয়। যিনি কখনো ব্যর্থ হননি, তিনি হয়তো কখনোই নিজের সীমাবদ্ধতাগুলো জানতে পারেননি, নিজেকে পরিবর্তন করার সুযোগও পাননি। তাই যাঁরা সত্যিকারের বড় কিছু অর্জন করতে চান, তাঁদের ব্যর্থতার কষ্টটুকু সাগ্রহে বরণ করে নিতে হবে।

    সফলতা যদি হয় এক সুউচ্চ পাহাড়, তাহলে ব্যর্থতা হলো তার প্রতিটি ধাপে ওঠার সিঁড়ি। প্রতিটি ব্যর্থতা একেকটি শিক্ষা, যা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপকে আরও মজবুত করে তোলে।

    জীবনে ব্যর্থতা এলে ভয় পাবেন না। বরং ভাবুন, এটি একটি সুযোগ—নিজেকে গড়ার, আরও শক্তিশালী হওয়ার, এবং একদিন সেই সফলতার চূড়ায় পৌঁছানোর। মনে রাখবেন, যে ব্যর্থ হয় না, সে কখনোই সফল হয় না। ব্যর্থতা মানেই শেষ নয়, বরং এটি এক নতুন সূচনার নাম।
    ⚡মানবজীবনে সাফল্য যেন এক উজ্জ্বল সূর্য, যার আলো সবাই দেখতে চায়। কিন্তু এই সূর্য পর্যন্ত পৌঁছাতে গেলে অন্ধকার, কাঁটা, ঝড় আর হতাশার পথ পেরোতে হয়। অনেকেই ভাবেন, সাফল্য মানেই সোজা পথে চলা, ভুল না করা, সবসময় জেতা। অথচ বাস্তবতা হলো—সফলতার সবচেয়ে বড় পাঠশালা হলো ব্যর্থতা। তাই বলা হয়, “যে ব্যর্থ হয় না, সে কখনোই সফল হয় না।” জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে আমরা ব্যর্থতা অনুভব করি। পরীক্ষায় ফেল, চাকরির ইন্টারভিউয়ে না হওয়া, ব্যবসায়ে লোকসান—এসবই তো ব্যর্থতা। কিন্তু যে মানুষগুলো এসব ব্যর্থতার পর থেমে না গিয়ে বারবার উঠে দাঁড়িয়েছে, চেষ্টা করে গেছে, ইতিহাসে তাদের নামই লেখা হয়েছে। থমাস এডিসন যদি ১০০০ বার ব্যর্থ হয়ে লজ্জায় পিছিয়ে যেতেন, তাহলে হয়তো আজ পৃথিবী আলোয় আলোকিত হতো না। তিনিই বলেছিলেন, “আমি ব্যর্থ হইনি, আমি ১০০০টি পদ্ধতি শিখেছি যা কাজ করেনি।” ব্যর্থতা আমাদের শেখায় ধৈর্য, অধ্যবসায়, নম্রতা এবং নিজের ভুলগুলো বোঝার মানসিকতা। এটি আমাদের আত্মসমালোচনার সুযোগ দেয়, নিজেকে গড়ার সময় দেয়। যিনি কখনো ব্যর্থ হননি, তিনি হয়তো কখনোই নিজের সীমাবদ্ধতাগুলো জানতে পারেননি, নিজেকে পরিবর্তন করার সুযোগও পাননি। তাই যাঁরা সত্যিকারের বড় কিছু অর্জন করতে চান, তাঁদের ব্যর্থতার কষ্টটুকু সাগ্রহে বরণ করে নিতে হবে। সফলতা যদি হয় এক সুউচ্চ পাহাড়, তাহলে ব্যর্থতা হলো তার প্রতিটি ধাপে ওঠার সিঁড়ি। প্রতিটি ব্যর্থতা একেকটি শিক্ষা, যা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপকে আরও মজবুত করে তোলে। জীবনে ব্যর্থতা এলে ভয় পাবেন না। বরং ভাবুন, এটি একটি সুযোগ—নিজেকে গড়ার, আরও শক্তিশালী হওয়ার, এবং একদিন সেই সফলতার চূড়ায় পৌঁছানোর। মনে রাখবেন, যে ব্যর্থ হয় না, সে কখনোই সফল হয় না। ব্যর্থতা মানেই শেষ নয়, বরং এটি এক নতুন সূচনার নাম।
    0 Commentarii 0 Distribuiri 379 Views 0 previzualizare
  • কুড়িগ্রামের সাতভিটা গ্রামের এক প্রান্তে কৃষিশ্রমিক জয়নাল আবেদিন গড়ে তুলেছেন এক ব্যতিক্রমী পাঠাগার—‘সাতভিটা গ্রন্থনির’। মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা জয়নাল হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অগ্রসর নন, তবে জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসায় তিনি অনন্য।
    জয়নালের বইয়ের প্রতি আগ্রহ জন্ম নেয় গাজীপুরে, একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করার সময়। সেখানকার রাস্তায় সস্তা দামে বই বিক্রি হতে দেখে তিনি কৌতূহলী হয়ে বই কেনা শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে বই পড়ায় আগ্রহ বাড়ে। বইয়ের প্রতি এই গভীর ভালোবাসা থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেন নিজ গ্রামে একটি পাঠাগার গড়ে তোলার—যেখানে গ্রামের মানুষও জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে পারবে।
    সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নানা বাধা, কটাক্ষ ও আর্থিক সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে তিনি নিজ হাতে নির্মাণ করেন টিনের ঘরে সাজানো এক পাঠাগার। পাঠাগারটিতে এখন রয়েছে প্রায় ৩৫০০ বই, আর পাঠকদের জন্য রয়েছে টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চসহ পরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
    ‘সাতভিটা গ্রন্থনির’ শুধু একটি পাঠাগার নয়, এটি একটি প্রেরণার নাম—যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও বইয়ের ভালোবাসা কীভাবে সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছেন জয়নাল আবেদিন।
    ©
    কুড়িগ্রামের সাতভিটা গ্রামের এক প্রান্তে কৃষিশ্রমিক জয়নাল আবেদিন গড়ে তুলেছেন এক ব্যতিক্রমী পাঠাগার—‘সাতভিটা গ্রন্থনির’। মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা জয়নাল হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অগ্রসর নন, তবে জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসায় তিনি অনন্য। জয়নালের বইয়ের প্রতি আগ্রহ জন্ম নেয় গাজীপুরে, একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করার সময়। সেখানকার রাস্তায় সস্তা দামে বই বিক্রি হতে দেখে তিনি কৌতূহলী হয়ে বই কেনা শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে বই পড়ায় আগ্রহ বাড়ে। বইয়ের প্রতি এই গভীর ভালোবাসা থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেন নিজ গ্রামে একটি পাঠাগার গড়ে তোলার—যেখানে গ্রামের মানুষও জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে পারবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নানা বাধা, কটাক্ষ ও আর্থিক সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে তিনি নিজ হাতে নির্মাণ করেন টিনের ঘরে সাজানো এক পাঠাগার। পাঠাগারটিতে এখন রয়েছে প্রায় ৩৫০০ বই, আর পাঠকদের জন্য রয়েছে টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চসহ পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। ‘সাতভিটা গ্রন্থনির’ শুধু একটি পাঠাগার নয়, এটি একটি প্রেরণার নাম—যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও বইয়ের ভালোবাসা কীভাবে সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছেন জয়নাল আবেদিন। ©
    0 Commentarii 0 Distribuiri 380 Views 0 previzualizare
  • একদিন এক শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বললেন, ”আজ আমি তোমাদের একটা প্রশ্ন করব। যার উত্তর হৃদয় ছুঁয়ে যাবে, তাকে আমি দেব আমার প্রিয় একটি জিনিস — এই সোনালী রঙের কলমটা। এটা আমাকে আমার প্রিয় শিক্ষক দিয়েছিলেন, ক্লাস এইটে বৃত্তি পাবার পর। আমি এটাকে অনেক ভালোবাসি।”

    সবার চোখ চকচক করছিল, কারণ কলমটা খুব সুন্দর ছিল — অনেক দামি, আর এর পেছনে ছিল এক আবেগঘন গল্প।

    শিক্ষক প্রশ্ন করলেন, “তোমরা কাকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করো? এবং কেন?”

    সবাই ব্যস্ত হয়ে লিখতে শুরু করল।

    কেউ লিখল, “আমার মা, কারণ উনি সবকিছু ত্যাগ করে আমাদের বড় করেছেন।”
    কেউ লিখল, “আমার বাবা, কারণ তিনি সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন।”
    কেউবা লিখল, “আমার শিক্ষক, কারণ তিনি অন্ধকারে আলো দেখান।”

    সবশেষে শিক্ষক হাতে তুলে নিলেন একটি খাতা। জীর্ণ মলিন কাগজ, অক্ষরগুলো কাঁপা কাঁপা। সেখানে লেখা ছিল:

    “আমি সবচেয়ে বেশি সম্মান করি আমার ছোট ভাইকে। ও প্রতিদিন আধপেটা খেয়ে কাজে যায়, শুধু আমাকে পেট ভরে খেতে দেবে বলে। ওর জামা ছেঁড়া, কিন্তু আমাকে নতুন জামা কিনে দেবার জন্য বাবার কাছে জোরাজুরি করে। আমি জানি, ওর ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া করার, কিন্তু আমাকে পড়াশুনা করানোর জন্য ও নিজে স্কুলে যায় না। একসাথে দুই সন্তানের পড়ালেখার খরচ যোগানোর মতো সামর্থ্য আমাদের বাবা-মায়ের নেই। তাই, আমি পড়ি আর ও বাবার সাথে ক্ষেতে কাজ করে। আমি আজ যেখানে তা ওর কারণেই, তাই ওই আমার চোখে সবচেয়ে শ্রদ্ধার মানুষ।

    পুরো ক্লাস নিস্তব্ধ।

    শিক্ষক চোখের চশমা খুললেন। তার চোখে জল।

    তিনি ধীরে ধীরে গিয়ে সেই ছাত্রকে ডেকে বললেন, “তুমি কলমটা রাখো। কারণ তুমি উপলব্ধি করেছ একজন মানুষের সম্মান বয়সে নয়, ত্যাগে তৈরি হয়।”

    ছাত্র কলমটা হাতে নিল। তার হাত কাঁপছিল।

    শিক্ষক চোখের জল মুছে বললেন, “আজ আমি শিখালাম সবচেয়ে সুন্দর উত্তর শব্দে নয়, আসে হৃদয় থেকে। সম্মান বয়স বা পদে নয়, আসে ত্যাগ থেকে। আমরা যখন অন্যের প্রয়োজনকে নিজের চাওয়ার চেয়ে বড় করে দেখি, তখনই আমরা সত্যিকার অর্থে মানুষ হয়ে উঠি।
    📌একদিন এক শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বললেন, ”আজ আমি তোমাদের একটা প্রশ্ন করব। যার উত্তর হৃদয় ছুঁয়ে যাবে, তাকে আমি দেব আমার প্রিয় একটি জিনিস — এই সোনালী রঙের কলমটা। এটা আমাকে আমার প্রিয় শিক্ষক দিয়েছিলেন, ক্লাস এইটে বৃত্তি পাবার পর। আমি এটাকে অনেক ভালোবাসি।” সবার চোখ চকচক করছিল, কারণ কলমটা খুব সুন্দর ছিল — অনেক দামি, আর এর পেছনে ছিল এক আবেগঘন গল্প। শিক্ষক প্রশ্ন করলেন, “তোমরা কাকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করো? এবং কেন?” সবাই ব্যস্ত হয়ে লিখতে শুরু করল। কেউ লিখল, “আমার মা, কারণ উনি সবকিছু ত্যাগ করে আমাদের বড় করেছেন।” কেউ লিখল, “আমার বাবা, কারণ তিনি সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন।” কেউবা লিখল, “আমার শিক্ষক, কারণ তিনি অন্ধকারে আলো দেখান।” সবশেষে শিক্ষক হাতে তুলে নিলেন একটি খাতা। জীর্ণ মলিন কাগজ, অক্ষরগুলো কাঁপা কাঁপা। সেখানে লেখা ছিল: “আমি সবচেয়ে বেশি সম্মান করি আমার ছোট ভাইকে। ও প্রতিদিন আধপেটা খেয়ে কাজে যায়, শুধু আমাকে পেট ভরে খেতে দেবে বলে। ওর জামা ছেঁড়া, কিন্তু আমাকে নতুন জামা কিনে দেবার জন্য বাবার কাছে জোরাজুরি করে। আমি জানি, ওর ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া করার, কিন্তু আমাকে পড়াশুনা করানোর জন্য ও নিজে স্কুলে যায় না। একসাথে দুই সন্তানের পড়ালেখার খরচ যোগানোর মতো সামর্থ্য আমাদের বাবা-মায়ের নেই। তাই, আমি পড়ি আর ও বাবার সাথে ক্ষেতে কাজ করে। আমি আজ যেখানে তা ওর কারণেই, তাই ওই আমার চোখে সবচেয়ে শ্রদ্ধার মানুষ। পুরো ক্লাস নিস্তব্ধ। শিক্ষক চোখের চশমা খুললেন। তার চোখে জল। তিনি ধীরে ধীরে গিয়ে সেই ছাত্রকে ডেকে বললেন, “তুমি কলমটা রাখো। কারণ তুমি উপলব্ধি করেছ একজন মানুষের সম্মান বয়সে নয়, ত্যাগে তৈরি হয়।” ছাত্র কলমটা হাতে নিল। তার হাত কাঁপছিল। শিক্ষক চোখের জল মুছে বললেন, “আজ আমি শিখালাম সবচেয়ে সুন্দর উত্তর শব্দে নয়, আসে হৃদয় থেকে। সম্মান বয়স বা পদে নয়, আসে ত্যাগ থেকে। আমরা যখন অন্যের প্রয়োজনকে নিজের চাওয়ার চেয়ে বড় করে দেখি, তখনই আমরা সত্যিকার অর্থে মানুষ হয়ে উঠি।
    0 Commentarii 0 Distribuiri 369 Views 0 previzualizare
  • আইনস্টাইনের এক সহকর্মী একদিন তাঁর কাছে তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন।
    তখন আইনস্টাইন একটি টেলিফোন বই খুঁজে বের করলেন এবং সেই বই থেকে তাঁর নম্বরটা খুঁজতে লাগলেন। তখন সহকর্মী তাকে বললেন, ‘কী ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নম্বরটাও মনে নেই আপনার।’ আইনস্টাইন বললেন, ‘না, তার দরকারই বা কী? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্ত করে খরচ করবেন কেন ?’
    আইনস্টাইন ছোটবেলায় তুলনামূলক অনেক দেরীতে কথা বলতে শেখেন। একারণে তাঁর বাবা মা অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। একদিন রাতে খাবার টেবিলে বসে সকলে খাচ্ছেন এমন সময় বালক আইনস্টাইন চিৎকার করে বললেন, ‘এই স্যুপটা বড্ড গরম। তাঁর বাবা-মা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ছেলের মুখে প্রথম কথা!
    শুনে বাবা-মা বেশ অবাক হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আগে তুমি কথা বলোনি কেন?’ উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘কারণ এর আগে
    তো সব ঠিকই ছিল।’
    1931 সালে কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানান তার একটি শো দেখার জন্য। তখন চ্যাপলিনের সিটি লাইটস্ সিনেমার স্কিনিং চলছিল। পরে তারা শহরের পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবাই আমাকে সহজেই বোঝে, এজন্যই আমার এতো জনপ্রিয়তা। কিন্তু মানুষ আপনাকে কেন এতো পছন্দ করে বুঝলাম না।’ আইনস্টাইন সহাস্যে প্রত্যুত্তরে জানালেন, ‘কেউ আমাকে সহজে বুঝতে পারে না বলেই আমার এই জনপ্রিয়তা’।
    একবার আইনস্টাইন ট্রেনে চেপে যাচ্ছিলেন। চেকার সকলের টিকিট চেক করার এক পর্যায়ে আইনস্টাইনের কাছে এসে টিকিট দেখতে চাইলেন। কিন্তু আইনস্টাইন তাঁর টিকিটটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। চেকার আইনস্টাইনকে চিনতে পেরে বললেন, ‘স্যার আপনাকে আমি চিনতে পেরেছি। আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটে উঠেছেন। আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে না।’ আইনস্টাইন কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন, ‘না, না, ওটা আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে। না পেলে আমি জানব কি করে যে আমি কোথায় যাচ্ছিলাম।’
    আইনস্টাইনের কাছে একবার আপেক্ষিকতার সহজ ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলো। উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘আপনার হাত একটা জ্বলন্ত চুল্লীর উপর ধরে রাখুন, মনে হবে এক ঘন্টা পার হয়ে গেছে। কিন্তু একজন সুন্দরী মেয়ের পাশে একঘন্টা বসে থাকুন, আপনার কাছে মনে হবে মাত্র এক মিনিট পার হলো, এটাই আপেক্ষিকতা।’
    একবার আইনস্টাইন বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে দরজায় কড়া নাড়লেন। ভেতর থেকে তাঁর স্ত্রী ভাবলেন অন্য কেউ হয়তো আইনস্টাইনকে খুঁজতে এসেছেন, তাই তিনি বেশ বিরক্ত হয়ে চেচিয়ে বললেন, আইনস্টাইন বাড়িতে নেই।
    ব্যস, চিন্তিত আইনস্টাইন কোন কথা না বলে উল্টো হাঁটা ধরলেন। আরো_একটি_ঘটনা:-
    আইনস্টাইনের যিনি ড্রাইভার ছিলেন, তিনি একদিন আইনস্টাইনকে বললেন - আপনি প্রতিটি সভায় যে ভাষণ দেন সেইগুলো শুনে শুনে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে ।" -আইনস্টাইন তো অবাক!
    উনি তখন বললেন "বেশ তাহলে এর পরের মিটিংয়ে যেখানে যাবো তারা আমাকে চেনেন না, তুমি আমার হয়ে ভাষণ দিও আর আমি ড্রাইভার হয়ে বসে থাকবো।"
    -এরপরে সেই সভায় তো ড্রাইভার হুবহু আইনস্টাইন-এর ভাষণ গড় গড় করে বলে গেলেন, উপস্থিত বিদ্বজ্জনেরা তুমুল করতালি দিলেন। এরপর তাঁরা ড্রাইভারকে আইনস্টাইন ভেবে গাড়িতে পৌঁছে দিতে এলেন।
    -সেই সময়ে একজন অধ্যাপক ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলেন "স্যার, ঐ আপেক্ষিক এর যে সংজ্ঞাটা বললেন, আর একবার সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেবেন ?"-আসল আইনস্টাইন দেখলেন বিপদ, এবার তো ড্রাইভার ধরা পড়ে যাবে।কিন্তু তিনি ড্রাইভার-এর উত্তর শুনে তাজ্জব হয়ে গেলেন। ড্রাইভার উত্তর দিল।।
    -"এই সহজ জিনিসটা আপনার মাথায় ঢোকেনি ? আমার ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করুন সে বুঝিয়ে দেবে।"
    বিঃদ্রঃ- জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করলে আপনিও জ্ঞানী হবেন। আপনি যেমন মানুষের সাথে ঘুরবেন তেমনই হবেন।
    এই জন্যে কথায় আছে–
    "সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস,
    অসৎ সঙ্গে সর্ব'না'শ
    📌আইনস্টাইনের এক সহকর্মী একদিন তাঁর কাছে তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন। তখন আইনস্টাইন একটি টেলিফোন বই খুঁজে বের করলেন এবং সেই বই থেকে তাঁর নম্বরটা খুঁজতে লাগলেন। তখন সহকর্মী তাকে বললেন, ‘কী ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নম্বরটাও মনে নেই আপনার।’ আইনস্টাইন বললেন, ‘না, তার দরকারই বা কী? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্ত করে খরচ করবেন কেন ?’ আইনস্টাইন ছোটবেলায় তুলনামূলক অনেক দেরীতে কথা বলতে শেখেন। একারণে তাঁর বাবা মা অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। একদিন রাতে খাবার টেবিলে বসে সকলে খাচ্ছেন এমন সময় বালক আইনস্টাইন চিৎকার করে বললেন, ‘এই স্যুপটা বড্ড গরম। তাঁর বাবা-মা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ছেলের মুখে প্রথম কথা! শুনে বাবা-মা বেশ অবাক হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আগে তুমি কথা বলোনি কেন?’ উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘কারণ এর আগে তো সব ঠিকই ছিল।’ 1931 সালে কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানান তার একটি শো দেখার জন্য। তখন চ্যাপলিনের সিটি লাইটস্ সিনেমার স্কিনিং চলছিল। পরে তারা শহরের পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবাই আমাকে সহজেই বোঝে, এজন্যই আমার এতো জনপ্রিয়তা। কিন্তু মানুষ আপনাকে কেন এতো পছন্দ করে বুঝলাম না।’ আইনস্টাইন সহাস্যে প্রত্যুত্তরে জানালেন, ‘কেউ আমাকে সহজে বুঝতে পারে না বলেই আমার এই জনপ্রিয়তা’। একবার আইনস্টাইন ট্রেনে চেপে যাচ্ছিলেন। চেকার সকলের টিকিট চেক করার এক পর্যায়ে আইনস্টাইনের কাছে এসে টিকিট দেখতে চাইলেন। কিন্তু আইনস্টাইন তাঁর টিকিটটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। চেকার আইনস্টাইনকে চিনতে পেরে বললেন, ‘স্যার আপনাকে আমি চিনতে পেরেছি। আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটে উঠেছেন। আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে না।’ আইনস্টাইন কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন, ‘না, না, ওটা আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে। না পেলে আমি জানব কি করে যে আমি কোথায় যাচ্ছিলাম।’ আইনস্টাইনের কাছে একবার আপেক্ষিকতার সহজ ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলো। উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘আপনার হাত একটা জ্বলন্ত চুল্লীর উপর ধরে রাখুন, মনে হবে এক ঘন্টা পার হয়ে গেছে। কিন্তু একজন সুন্দরী মেয়ের পাশে একঘন্টা বসে থাকুন, আপনার কাছে মনে হবে মাত্র এক মিনিট পার হলো, এটাই আপেক্ষিকতা।’ একবার আইনস্টাইন বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে দরজায় কড়া নাড়লেন। ভেতর থেকে তাঁর স্ত্রী ভাবলেন অন্য কেউ হয়তো আইনস্টাইনকে খুঁজতে এসেছেন, তাই তিনি বেশ বিরক্ত হয়ে চেচিয়ে বললেন, আইনস্টাইন বাড়িতে নেই। ব্যস, চিন্তিত আইনস্টাইন কোন কথা না বলে উল্টো হাঁটা ধরলেন। আরো_একটি_ঘটনা:- আইনস্টাইনের যিনি ড্রাইভার ছিলেন, তিনি একদিন আইনস্টাইনকে বললেন - আপনি প্রতিটি সভায় যে ভাষণ দেন সেইগুলো শুনে শুনে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে ।" -আইনস্টাইন তো অবাক! উনি তখন বললেন "বেশ তাহলে এর পরের মিটিংয়ে যেখানে যাবো তারা আমাকে চেনেন না, তুমি আমার হয়ে ভাষণ দিও আর আমি ড্রাইভার হয়ে বসে থাকবো।" -এরপরে সেই সভায় তো ড্রাইভার হুবহু আইনস্টাইন-এর ভাষণ গড় গড় করে বলে গেলেন, উপস্থিত বিদ্বজ্জনেরা তুমুল করতালি দিলেন। এরপর তাঁরা ড্রাইভারকে আইনস্টাইন ভেবে গাড়িতে পৌঁছে দিতে এলেন। -সেই সময়ে একজন অধ্যাপক ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলেন "স্যার, ঐ আপেক্ষিক এর যে সংজ্ঞাটা বললেন, আর একবার সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেবেন ?"-আসল আইনস্টাইন দেখলেন বিপদ, এবার তো ড্রাইভার ধরা পড়ে যাবে।কিন্তু তিনি ড্রাইভার-এর উত্তর শুনে তাজ্জব হয়ে গেলেন। ড্রাইভার উত্তর দিল।। -"এই সহজ জিনিসটা আপনার মাথায় ঢোকেনি ? আমার ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করুন সে বুঝিয়ে দেবে।" বিঃদ্রঃ- জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করলে আপনিও জ্ঞানী হবেন। আপনি যেমন মানুষের সাথে ঘুরবেন তেমনই হবেন। এই জন্যে কথায় আছে– "সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎ সঙ্গে সর্ব'না'শ
    0 Commentarii 0 Distribuiri 474 Views 0 previzualizare
  • এই যে নীল জামা, তোমার নাম কী?”
    একটা সাধারণ প্রশ্ন, কিন্তু তার পেছনে লুকিয়ে ছিল একটা বড় শিক্ষা...
    কলেজের প্রথম দিন।
    নতুন একজন শিক্ষক ক্লাসে ঢুকেই একজন ছাত্রীকে লক্ষ্য করে বলেন,
    “এই যে নীল জামা, তোমার নাম কী?”
    মেয়েটি উত্তর দেয়, “রেশমি, স্যার।”
    আর ঠিক তখনই শিক্ষক বলেন,
    “এই মুহূর্তে ক্লাস ছেড়ে বেরিয়ে যাও। তোমার মুখ আর যেন না দেখি!”
    রেশমি হতভম্ব। চোখে জল, কিছু না বুঝেই বেরিয়ে যায়।
    ক্লাস নিস্তব্ধ। কেউ কিছু বলে না।
    তারপর শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, “আইন কেন তৈরি হয়?”
    একজন বলল, “শৃঙ্খলার জন্য।”
    অন্যজন বলল, “ন্যায়বিচারের জন্য।”
    শিক্ষক বললেন,
    “তোমরা সবাই ঠিক বলেছ।
    কিন্তু আমি একটু আগে রেশমির সঙ্গে অন্যায় করলাম,
    তবুও কেউ প্রতিবাদ করোনি কেন?”
    তবু সবাই চুপ।
    তিনি বললেন,
    “কারণ তোমরা ভাবলে, এটা তো আমার সঙ্গে হয়নি!
    এই মানসিকতাই একদিন তোমাদের বিপদের কারণ হবে।
    আজ যে চুপ, কাল তার বিপদেও কেউ পাশে দাঁড়াবে না।”
    শেষে শিক্ষকের হৃদয়ছোঁয়া কথা:
    “চুপ থাকা মানেই সম্মতি দেওয়া।
    যেখানে অন্যায় দেখবে,
    সেইখানেই রুখে দাঁড়াবে—
    কারণ ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবধর্ম।”
    শিক্ষা:
    অন্যায়ের প্রতিবাদ না করা মানেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া।
    সাহস করে প্রতিবাদ করো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।
    ⚡এই যে নীল জামা, তোমার নাম কী?” একটা সাধারণ প্রশ্ন, কিন্তু তার পেছনে লুকিয়ে ছিল একটা বড় শিক্ষা... কলেজের প্রথম দিন। নতুন একজন শিক্ষক ক্লাসে ঢুকেই একজন ছাত্রীকে লক্ষ্য করে বলেন, “এই যে নীল জামা, তোমার নাম কী?” মেয়েটি উত্তর দেয়, “রেশমি, স্যার।” আর ঠিক তখনই শিক্ষক বলেন, “এই মুহূর্তে ক্লাস ছেড়ে বেরিয়ে যাও। তোমার মুখ আর যেন না দেখি!” রেশমি হতভম্ব। চোখে জল, কিছু না বুঝেই বেরিয়ে যায়। ক্লাস নিস্তব্ধ। কেউ কিছু বলে না। তারপর শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, “আইন কেন তৈরি হয়?” একজন বলল, “শৃঙ্খলার জন্য।” অন্যজন বলল, “ন্যায়বিচারের জন্য।” শিক্ষক বললেন, “তোমরা সবাই ঠিক বলেছ। কিন্তু আমি একটু আগে রেশমির সঙ্গে অন্যায় করলাম, তবুও কেউ প্রতিবাদ করোনি কেন?” তবু সবাই চুপ। তিনি বললেন, “কারণ তোমরা ভাবলে, এটা তো আমার সঙ্গে হয়নি! এই মানসিকতাই একদিন তোমাদের বিপদের কারণ হবে। আজ যে চুপ, কাল তার বিপদেও কেউ পাশে দাঁড়াবে না।” শেষে শিক্ষকের হৃদয়ছোঁয়া কথা: “চুপ থাকা মানেই সম্মতি দেওয়া। যেখানে অন্যায় দেখবে, সেইখানেই রুখে দাঁড়াবে— কারণ ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবধর্ম।” শিক্ষা: অন্যায়ের প্রতিবাদ না করা মানেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া। সাহস করে প্রতিবাদ করো, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।
    0 Commentarii 0 Distribuiri 469 Views 0 previzualizare
Sponsorizeaza Paginile
Linkheed https://linkheed.com