Atualizações recentes
País
  • 🕰 "আগামীকাল আপনি মারা যাবেন - এটা জানতে পারলে আপনি কী করবেন?"
    ভাইভার বোর্ডে এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল।
    প্রার্থী উত্তর দিলো,
    "আমি আমার শত্রুদের সাথে দেখা করবো।"
    বোর্ড অবাক! কারণ?
    প্রার্থী বললো,
    "আপনজনদের ওপর বাড়তি মায়া বাড়িয়ে লাভ নেই, এতে শুধু কষ্টই বাড়বে। বরং শত্রুদের সাথে ভালো ব্যবহার করলে হয়তো তারাও আমার জন্য দোয়া করবে।"
    এটাই বড় কথা — সব কাজ শুধু নিজের বা আপনজনদের জন্য নয়, মাঝে মাঝে শত্রুদের কথা ভেবেও করা উচিত।
    শত্রু থাকলে মানুষ আরও সচেতন হয়।
    সমালোচক আপনাকে শিখিয়ে দেয়, প্রশংসাকারী শুধু বাহবা দেয়।
    কেউ গালি দিলে পাল্টা গালি নয়, বরং শুভকামনা দিন।
    তর্কে জিতলেই বড় হওয়া যায় না, কখনো যুক্তি মেনে নেওয়াই বড়ত্ব।
    সমালোচকদের ভালোবাসুন, শত্রুদের ঘৃণা নয় — কারণ ওরাও আপনাকে বড় হতে সাহায্য করে।
    মনে রাখুন
    প্রতিটা শত্রুই একেকটা সতর্কবার্তা। সতর্কতা ছাড়া সফলতা হয় না।
    সবাই ভালো থাকুক — কাছের, দূরের, ভালোবাসার, ঘৃণার — সবাই।
    🕰 "আগামীকাল আপনি মারা যাবেন - এটা জানতে পারলে আপনি কী করবেন?" ভাইভার বোর্ডে এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রার্থী উত্তর দিলো, "আমি আমার শত্রুদের সাথে দেখা করবো।" বোর্ড অবাক! কারণ? প্রার্থী বললো, "আপনজনদের ওপর বাড়তি মায়া বাড়িয়ে লাভ নেই, এতে শুধু কষ্টই বাড়বে। বরং শত্রুদের সাথে ভালো ব্যবহার করলে হয়তো তারাও আমার জন্য দোয়া করবে।" এটাই বড় কথা — সব কাজ শুধু নিজের বা আপনজনদের জন্য নয়, মাঝে মাঝে শত্রুদের কথা ভেবেও করা উচিত। 🔸 শত্রু থাকলে মানুষ আরও সচেতন হয়। 🔸 সমালোচক আপনাকে শিখিয়ে দেয়, প্রশংসাকারী শুধু বাহবা দেয়। 🔸 কেউ গালি দিলে পাল্টা গালি নয়, বরং শুভকামনা দিন। 🔸 তর্কে জিতলেই বড় হওয়া যায় না, কখনো যুক্তি মেনে নেওয়াই বড়ত্ব। 🌸 সমালোচকদের ভালোবাসুন, শত্রুদের ঘৃণা নয় — কারণ ওরাও আপনাকে বড় হতে সাহায্য করে। মনে রাখুন 👇 প্রতিটা শত্রুই একেকটা সতর্কবার্তা। সতর্কতা ছাড়া সফলতা হয় না। 🌿 সবাই ভালো থাকুক — কাছের, দূরের, ভালোবাসার, ঘৃণার — সবাই।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 0 Visualizações 0 Anterior
  • Being a generalist is the fastest way to be forgettable.

    Look at the image:
    Your potential is like sunlight.
    If you focus it through a magnifying glass, you can start a fire.
    If you scatter it everywhere — nothing happens.

    The same goes for your skills, your business, or your brand.

    Most people spread themselves thin:
    → They say yes to every project.
    → They try to appeal to everyone.
    → They offer a bit of everything.

    And they get… average results.

    The smartest people pick one thing:
    They become known for something.
    They attract people who need that one thing.
    They get better results and build trust faster.

    Here’s how to focus your ‘beam’:

    → Define your niche: What problem do you solve best?
    → Say no to distractions: If it doesn’t align, drop it.
    → Build deep skills: Mastery attracts clients.
    → Talk to your audience: Solve their specific needs.
    → Keep refining: Focus sharpens over time.

    Your fire needs focus.
    Being a generalist is the fastest way to be forgettable. Look at the image: Your potential is like sunlight. If you focus it through a magnifying glass, you can start a fire. If you scatter it everywhere — nothing happens. The same goes for your skills, your business, or your brand. Most people spread themselves thin: → They say yes to every project. → They try to appeal to everyone. → They offer a bit of everything. And they get… average results. The smartest people pick one thing: ✅ They become known for something. ✅ They attract people who need that one thing. ✅ They get better results and build trust faster. Here’s how to focus your ‘beam’: → Define your niche: What problem do you solve best? → Say no to distractions: If it doesn’t align, drop it. → Build deep skills: Mastery attracts clients. → Talk to your audience: Solve their specific needs. → Keep refining: Focus sharpens over time. Your fire needs focus.
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 0 Visualizações 0 Anterior
  • ব্যর্থতা থেকে সৃষ্টির জন্ম
    বয়স তখন খুব বেশি না, তরুণ রবীন্দ্রনাথ। সম্ভ্রান্ত ঠাকুর পরিবার থেকে উঠে আসা এই যুবককে পাঠানো হলো ইংল্যান্ডে—উদ্দেশ্য, ব্যারিস্টারি পড়া। চারপাশে সবাই বলছে, “এটাই জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত”, “ব্যারিস্টার হলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল”।
    ইংল্যান্ডের ঠান্ডা পরিবেশে গম্ভীর মুখে রবীন্দ্রনাথ ক্লাসে বসে থাকেন। বই খুলেন ঠিকই, কিন্তু শব্দগুলো যেন তাঁর হৃদয়ের সাথে মেলে না। আদালতের কাঠামো, আইনের ধারাগুলো তাঁর কল্পনার পাখিকে আটকে দেয়।
    দিন পেরোতে থাকে, কিন্তু তাঁর মন পড়ে থাকে দূরে—কবিতায়, গানেই, স্বপ্নে।
    অবশেষে, তিনি সিদ্ধান্ত নেন—এই পথ তাঁর নয়। পরিবার ও সমাজের প্রত্যাশাকে পেছনে রেখে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
    দেশে ফিরে শুরু হয় এক নতুন যুদ্ধ। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীরা বলতে থাকেন—
    "তুমি ব্যর্থ হলে।"
    "তোমার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেল।"
    "তোমার ভাইয়েরা সবাই প্রতিষ্ঠিত, তুমি কিছুই করলে না।"
    এই কথা শুনে যেকোনো মানুষ ভেঙে পড়ত। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ছিলেন আলাদা।
    তিনি জানতেন, সব ব্যর্থতা মানেই পতন নয়—কখনো কখনো তা হয় এক নতুন শুরু।
    তিনি কলম হাতে তুলে নেন। লিখতে থাকেন কবিতা, নাটক, গান, গল্প। সুরের সাথে হৃদয়ের কথাগুলো মিশে যেতে থাকে পাতায় পাতায়। তাঁর লেখায় ফুটে ওঠে বাংলার প্রকৃতি, মানুষের আনন্দ-বেদনা, এবং অনন্ত সৌন্দর্য।
    এই ব্যর্থতাই তাঁকে চিনিয়ে দেয় নিজের আসল পথ।
    সময় গড়াতে থাকে...
    এক সময় সেই তরুণ কবিই হয়ে ওঠেন "বিশ্বকবি"।
    তিনি পান নোবেল পুরস্কার, প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতন, এবং রচনা করেন ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।
    যেখানে সবাই তাঁকে “ব্যর্থ” বলেছিল, সেখান থেকেই তিনি খুঁজে পান নিজের সৃজনশীলতার উৎস।
    রবীন্দ্রনাথের জীবনের এই অধ্যায় আমাদের শেখায়—
    প্রকৃত ব্যর্থতা তখনই হয়, যখন আমরা থেমে যাই। আর সাফল্যের শুরু তখনই, যখন আমরা নিজের স্বপ্নকে অনুসরণ করি।
    ব্যর্থতা থেকে সৃষ্টির জন্ম বয়স তখন খুব বেশি না, তরুণ রবীন্দ্রনাথ। সম্ভ্রান্ত ঠাকুর পরিবার থেকে উঠে আসা এই যুবককে পাঠানো হলো ইংল্যান্ডে—উদ্দেশ্য, ব্যারিস্টারি পড়া। চারপাশে সবাই বলছে, “এটাই জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত”, “ব্যারিস্টার হলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল”। ইংল্যান্ডের ঠান্ডা পরিবেশে গম্ভীর মুখে রবীন্দ্রনাথ ক্লাসে বসে থাকেন। বই খুলেন ঠিকই, কিন্তু শব্দগুলো যেন তাঁর হৃদয়ের সাথে মেলে না। আদালতের কাঠামো, আইনের ধারাগুলো তাঁর কল্পনার পাখিকে আটকে দেয়। দিন পেরোতে থাকে, কিন্তু তাঁর মন পড়ে থাকে দূরে—কবিতায়, গানেই, স্বপ্নে। অবশেষে, তিনি সিদ্ধান্ত নেন—এই পথ তাঁর নয়। পরিবার ও সমাজের প্রত্যাশাকে পেছনে রেখে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে শুরু হয় এক নতুন যুদ্ধ। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীরা বলতে থাকেন— "তুমি ব্যর্থ হলে।" "তোমার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেল।" "তোমার ভাইয়েরা সবাই প্রতিষ্ঠিত, তুমি কিছুই করলে না।" এই কথা শুনে যেকোনো মানুষ ভেঙে পড়ত। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ছিলেন আলাদা। তিনি জানতেন, সব ব্যর্থতা মানেই পতন নয়—কখনো কখনো তা হয় এক নতুন শুরু। তিনি কলম হাতে তুলে নেন। লিখতে থাকেন কবিতা, নাটক, গান, গল্প। সুরের সাথে হৃদয়ের কথাগুলো মিশে যেতে থাকে পাতায় পাতায়। তাঁর লেখায় ফুটে ওঠে বাংলার প্রকৃতি, মানুষের আনন্দ-বেদনা, এবং অনন্ত সৌন্দর্য। এই ব্যর্থতাই তাঁকে চিনিয়ে দেয় নিজের আসল পথ। সময় গড়াতে থাকে... এক সময় সেই তরুণ কবিই হয়ে ওঠেন "বিশ্বকবি"। তিনি পান নোবেল পুরস্কার, প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতন, এবং রচনা করেন ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। যেখানে সবাই তাঁকে “ব্যর্থ” বলেছিল, সেখান থেকেই তিনি খুঁজে পান নিজের সৃজনশীলতার উৎস। রবীন্দ্রনাথের জীবনের এই অধ্যায় আমাদের শেখায়— প্রকৃত ব্যর্থতা তখনই হয়, যখন আমরা থেমে যাই। আর সাফল্যের শুরু তখনই, যখন আমরা নিজের স্বপ্নকে অনুসরণ করি।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 1 Visualizações 0 Anterior
  • 0 Comentários 0 Compartilhamentos 35 Visualizações 0 Anterior
  • 0 Comentários 0 Compartilhamentos 39 Visualizações 0 Anterior
  • 0 Comentários 0 Compartilhamentos 164 Visualizações 0 Anterior
  • একদিন সকালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এক বন্ধু তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন,
    “তুমি এত বেশি ঘুমাও কেন?”
    শরৎচন্দ্র মজা করে বললেন,
    “ঘুমের মধ্যেই সেরা গল্পের ভাবনা মাথায় আসে। তাই ঘুমানোও আমার কাজের অংশ!”
    বন্ধু অবাক হয়ে বললেন,
    “তাহলে তুমি আসলে সবচেয়ে বেশি কাজ করো!”

    একবার তাঁর বাড়ির কাছে একজন লোক একটি কুকুরকে লাঠি দিয়ে তাড়াচ্ছিল। শরৎচন্দ্র এগিয়ে গিয়ে লোকটিকে প্রশ্ন করলেন,
    “তুমি এই কুকুরটাকে লাঠি দিয়ে মারছ কেন?”
    লোকটি বলল, “এটা তো রাস্তার কুকুর!”
    শরৎচন্দ্র হেসে বললেন,
    “তবে জানো, এই রাস্তার কুকুর তার নিজের এলাকায় রাজা। অন্যের রাজ্যে ঢুকে রাজাকে বিরক্ত করা ঠিক নয়।”

    আরেকদিন এক বন্ধু তাঁকে প্রশ্ন করলেন,
    “তুমি এত সুন্দর গল্প লেখো, এত সময় কিভাবে পাও?”
    শরৎচন্দ্র মৃদু হেসে বললেন,
    “আমি কম পড়ি, বেশি দেখি। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই একেকটা বই। জীবনের বই যত বেশি দেখবে, লেখার রসদও তত বেশি পাবে।”

    এই মহৎ কথাসাহিত্যিকের জীবন থেকে পাওয়া এই ছোট ছোট ঘটনার প্রতিটি আমাদের জীবনেও গভীর শিক্ষা দেয়। তাঁর প্রতিভা আর জীবনদর্শন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
    একদিন সকালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এক বন্ধু তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি এত বেশি ঘুমাও কেন?” শরৎচন্দ্র মজা করে বললেন, “ঘুমের মধ্যেই সেরা গল্পের ভাবনা মাথায় আসে। তাই ঘুমানোও আমার কাজের অংশ!” বন্ধু অবাক হয়ে বললেন, “তাহলে তুমি আসলে সবচেয়ে বেশি কাজ করো!” একবার তাঁর বাড়ির কাছে একজন লোক একটি কুকুরকে লাঠি দিয়ে তাড়াচ্ছিল। শরৎচন্দ্র এগিয়ে গিয়ে লোকটিকে প্রশ্ন করলেন, “তুমি এই কুকুরটাকে লাঠি দিয়ে মারছ কেন?” লোকটি বলল, “এটা তো রাস্তার কুকুর!” শরৎচন্দ্র হেসে বললেন, “তবে জানো, এই রাস্তার কুকুর তার নিজের এলাকায় রাজা। অন্যের রাজ্যে ঢুকে রাজাকে বিরক্ত করা ঠিক নয়।” আরেকদিন এক বন্ধু তাঁকে প্রশ্ন করলেন, “তুমি এত সুন্দর গল্প লেখো, এত সময় কিভাবে পাও?” শরৎচন্দ্র মৃদু হেসে বললেন, “আমি কম পড়ি, বেশি দেখি। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই একেকটা বই। জীবনের বই যত বেশি দেখবে, লেখার রসদও তত বেশি পাবে।” এই মহৎ কথাসাহিত্যিকের জীবন থেকে পাওয়া এই ছোট ছোট ঘটনার প্রতিটি আমাদের জীবনেও গভীর শিক্ষা দেয়। তাঁর প্রতিভা আর জীবনদর্শন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 235 Visualizações 0 Anterior
  • কীভাবে ঠিক হলো এক সেকেন্ডে কতক্ষণ?

    আমরা সময়ের হিসাব রাখি ঘণ্টা ও মিনিটে। এই লেখা যখন লিখছি, তখন দেয়ালঘড়িতে রাত ১০টা ১৫ মিনিট। কেউ জিজ্ঞাসা করলে নিশ্চয়ই বলতাম, এখন সোয়া ১০টা বাজে। ঘড়িতে সব সময় টিকটিক করছে লম্বা একটি কাঁটা। এটাকে আমরা বলি সেকেন্ডের কাঁটা। সময় বলার সময় এই কাঁটা উপেক্ষিত থাকে।

    আমরা জানি ৬০ সেকেন্ডে হয় ১ মিনিট। আর ৬০ মিনিটে হয় ১ ঘণ্টা। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি, এক সেকেন্ড আসলে কতক্ষণ? আমরা প্রায় প্রতিদিন এই শব্দ ব্যবহার করি। কিন্তু এক সেকেন্ডের সঠিক পরিমাপ কীভাবে নির্ধারিত হলো, তা জানতে এই লেখা। এটি জানতে আমাদের সময়ের ইতিহাসে একটু পিছিয়ে যেতে হবে। এখন অনেকে ভাববে, এক সেকেন্ড হলো ঘড়ির কাঁটায় সেকেন্ডের এক দাগ থেকে অন্য দাগে যাওয়ার সময়। প্রশ্ন হলো, কিসের মাধ্যমে এই দাগের সময় নির্ধারণ করা হলো? কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে মাপা হলো সেকেন্ডের ব্যাপ্তি?

    প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সভ্যতা চাঁদ, সূর্য ও নক্ষত্রদের চলাচলের ওপর ভিত্তি করে নিজস্ব ক্যালেন্ডার তৈরিতে সময় নির্ধারণ করত। এমনকি আমরা যাকে সেকেন্ড বলে জানি, তা সম্পর্কে ১৫০০ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত কারও কোনো নির্দিষ্ট ধারণা ছিল না। যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্রিটিশদের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন সবার কাছে সময় গণনার ধারণা কিছুটা স্পষ্ট হয়।

    গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে দিনকে ২৪ ঘণ্টায় ভাগ করা হয়। আর প্রতি ঘণ্টাকে ৬০ মিনিটে। প্রতি মিনিটকে আবার ৬০ সেকেন্ডে ভাগ করা হয়। শুরুতে সেকেন্ডকে এভাবে গাণিতিকভাবে ভাগ করা হয়। অর্থাৎ প্রতি মিনিটকে ভাগ করা হয় ৩ হাজার ৬০০ সেকেন্ডে। আর ২৪ ঘণ্টাকে ভাগ করা হয় ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ডে। মানে বছরে ৩১ লাখ ৫৫৬ হাজার ৯২৬ সেকেন্ড। তখন এভাবে প্রতি সেকেন্ড গণনা করা হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সীমানায় টাইম জোন বদলে যাওয়ায় সময়ের হিসাব করতে সমস্যা শুরু হয়। প্রতিটি সেকেন্ড সঠিকভাবে গণনা করা আরও কঠিন হয়ে যায়।
    কীভাবে ঠিক হলো এক সেকেন্ডে কতক্ষণ? আমরা সময়ের হিসাব রাখি ঘণ্টা ও মিনিটে। এই লেখা যখন লিখছি, তখন দেয়ালঘড়িতে রাত ১০টা ১৫ মিনিট। কেউ জিজ্ঞাসা করলে নিশ্চয়ই বলতাম, এখন সোয়া ১০টা বাজে। ঘড়িতে সব সময় টিকটিক করছে লম্বা একটি কাঁটা। এটাকে আমরা বলি সেকেন্ডের কাঁটা। সময় বলার সময় এই কাঁটা উপেক্ষিত থাকে। আমরা জানি ৬০ সেকেন্ডে হয় ১ মিনিট। আর ৬০ মিনিটে হয় ১ ঘণ্টা। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি, এক সেকেন্ড আসলে কতক্ষণ? আমরা প্রায় প্রতিদিন এই শব্দ ব্যবহার করি। কিন্তু এক সেকেন্ডের সঠিক পরিমাপ কীভাবে নির্ধারিত হলো, তা জানতে এই লেখা। এটি জানতে আমাদের সময়ের ইতিহাসে একটু পিছিয়ে যেতে হবে। এখন অনেকে ভাববে, এক সেকেন্ড হলো ঘড়ির কাঁটায় সেকেন্ডের এক দাগ থেকে অন্য দাগে যাওয়ার সময়। প্রশ্ন হলো, কিসের মাধ্যমে এই দাগের সময় নির্ধারণ করা হলো? কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে মাপা হলো সেকেন্ডের ব্যাপ্তি? প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সভ্যতা চাঁদ, সূর্য ও নক্ষত্রদের চলাচলের ওপর ভিত্তি করে নিজস্ব ক্যালেন্ডার তৈরিতে সময় নির্ধারণ করত। এমনকি আমরা যাকে সেকেন্ড বলে জানি, তা সম্পর্কে ১৫০০ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত কারও কোনো নির্দিষ্ট ধারণা ছিল না। যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্রিটিশদের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন সবার কাছে সময় গণনার ধারণা কিছুটা স্পষ্ট হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে দিনকে ২৪ ঘণ্টায় ভাগ করা হয়। আর প্রতি ঘণ্টাকে ৬০ মিনিটে। প্রতি মিনিটকে আবার ৬০ সেকেন্ডে ভাগ করা হয়। শুরুতে সেকেন্ডকে এভাবে গাণিতিকভাবে ভাগ করা হয়। অর্থাৎ প্রতি মিনিটকে ভাগ করা হয় ৩ হাজার ৬০০ সেকেন্ডে। আর ২৪ ঘণ্টাকে ভাগ করা হয় ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ডে। মানে বছরে ৩১ লাখ ৫৫৬ হাজার ৯২৬ সেকেন্ড। তখন এভাবে প্রতি সেকেন্ড গণনা করা হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সীমানায় টাইম জোন বদলে যাওয়ায় সময়ের হিসাব করতে সমস্যা শুরু হয়। প্রতিটি সেকেন্ড সঠিকভাবে গণনা করা আরও কঠিন হয়ে যায়।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 228 Visualizações 0 Anterior
  • অহংকারের পরিণতি
    এক বনের কিনারে ছিল বিরাট একটি গাছ। তার শিকড় যেমন মাটির অনেক গভীরে পৌঁছেছিল তেমনি ডালপালাও চারপাশের অনেকখানি জায়গা জুড়ে ছড়িয়েছিল। গাছটির ঘন পাতার রাশি সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে মানুষকে ছায়া দিত। গাছটিতে অসংখ্য পাখি বাস করত। মানুষ ও পাখির সমাগমে গাছটির চারপাশের এলাকা মুখরিত থাকত।
    এই বিরাট গাছের নিচে একটি গাছের চারা গজিয়ে ওঠে। এটি ছিল একটি নমনীয় ও নাজুক হলদি গাছ। সামান্য একটু বাতাসেই তা নুয়ে পড়ত। একদিন দু’ প্রতিবেশী কথা বলছিল। হলদি গাছকে লক্ষ্য বড় গাছটি বলল: ওহে খুদে প্রতিবেশী, তুমি তোমার শিকড়গুলো মাটির আরো গভীরে প্রবেশ করাও না কেন? কেন আমার মত মাথা উঁচু করে দাঁড়াও না?
    হলদি গাছ মৃদু হেসে বলল: তার কোনো প্রয়োজন দেখি না। আসলে এ ভাবেই আমি নিরাপদ আছি।
    বড় গাছ বলল: নিরাপদ! তুমি কি মনে কর যে তুমি আমার চেয়ে নিরাপদ আছ? তুমি কি জান আমার শিকড় কত গভীরে প্রবেশ করেছে? আমার কাণ্ড কত মোটা ও শক্ত? এমনকি দু’জন লোক মিলেও আমার কাণ্ডের বেড় পাবে না। আমার শিকড় উৎপাটিত করবে ও আমাকে ধরাশায়ী করবে- এমন কে আছে?
    গাছটি হলদি গাছের দিক থেকে বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিল। কার ভাগ্যে কখন কী ঘটে তা কে বলতে পারে? একদিন সন্ধ্যায় ওই এলাকার ওপর দিয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেল। ঘূর্ণিঝড়ে শিকড়সহ গাছ উপড়ে পড়ে, বনের গাছপালা একেবারে ধ্বংস হয়ে গেল।
    ঝড়ের পর গ্রামবাসী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখতে বের হল। আকাশচুম্বী গাছগুলোর অবস্থা একেবারে শোচনীয়। সেগুলো হয় উপড়ে পড়েছে অথবা ভেঙে চুরে শেষ হয়ে গেছে। সারা বনের মধ্যে যেন গাছপালার কঙ্কাল ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে শুধু একটি ব্যতিক্রম সবার নজর কাড়ে। তা হলো হলদি গাছ। সেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল ঝাপটার শিকার হয়ে এদিক ওদিক হেলে পড়েছে কিংবা মাটিতেও লুটিয়ে পড়েছে। ঝড় শেষ হয়ে যাবার পর সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ও আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তার বিরাট প্রতিবেশী গাছটির কোনো চিহ্নও দেখা গেল না।
    অহংকারের পরিণতি এক বনের কিনারে ছিল বিরাট একটি গাছ। তার শিকড় যেমন মাটির অনেক গভীরে পৌঁছেছিল তেমনি ডালপালাও চারপাশের অনেকখানি জায়গা জুড়ে ছড়িয়েছিল। গাছটির ঘন পাতার রাশি সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে মানুষকে ছায়া দিত। গাছটিতে অসংখ্য পাখি বাস করত। মানুষ ও পাখির সমাগমে গাছটির চারপাশের এলাকা মুখরিত থাকত। এই বিরাট গাছের নিচে একটি গাছের চারা গজিয়ে ওঠে। এটি ছিল একটি নমনীয় ও নাজুক হলদি গাছ। সামান্য একটু বাতাসেই তা নুয়ে পড়ত। একদিন দু’ প্রতিবেশী কথা বলছিল। হলদি গাছকে লক্ষ্য বড় গাছটি বলল: ওহে খুদে প্রতিবেশী, তুমি তোমার শিকড়গুলো মাটির আরো গভীরে প্রবেশ করাও না কেন? কেন আমার মত মাথা উঁচু করে দাঁড়াও না? হলদি গাছ মৃদু হেসে বলল: তার কোনো প্রয়োজন দেখি না। আসলে এ ভাবেই আমি নিরাপদ আছি। বড় গাছ বলল: নিরাপদ! তুমি কি মনে কর যে তুমি আমার চেয়ে নিরাপদ আছ? তুমি কি জান আমার শিকড় কত গভীরে প্রবেশ করেছে? আমার কাণ্ড কত মোটা ও শক্ত? এমনকি দু’জন লোক মিলেও আমার কাণ্ডের বেড় পাবে না। আমার শিকড় উৎপাটিত করবে ও আমাকে ধরাশায়ী করবে- এমন কে আছে? গাছটি হলদি গাছের দিক থেকে বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিল। কার ভাগ্যে কখন কী ঘটে তা কে বলতে পারে? একদিন সন্ধ্যায় ওই এলাকার ওপর দিয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেল। ঘূর্ণিঝড়ে শিকড়সহ গাছ উপড়ে পড়ে, বনের গাছপালা একেবারে ধ্বংস হয়ে গেল। ঝড়ের পর গ্রামবাসী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখতে বের হল। আকাশচুম্বী গাছগুলোর অবস্থা একেবারে শোচনীয়। সেগুলো হয় উপড়ে পড়েছে অথবা ভেঙে চুরে শেষ হয়ে গেছে। সারা বনের মধ্যে যেন গাছপালার কঙ্কাল ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে শুধু একটি ব্যতিক্রম সবার নজর কাড়ে। তা হলো হলদি গাছ। সেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল ঝাপটার শিকার হয়ে এদিক ওদিক হেলে পড়েছে কিংবা মাটিতেও লুটিয়ে পড়েছে। ঝড় শেষ হয়ে যাবার পর সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ও আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তার বিরাট প্রতিবেশী গাছটির কোনো চিহ্নও দেখা গেল না।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 236 Visualizações 0 Anterior
  • রাজা তার আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন-
    : আমি মৎস শিকারে যেতে চাই, আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে বলে জানা গেছে ?

    সে বল্লো -
    : আজকে অতীব সুন্দর, রৌদ্রোজ্জ্বল এবং চমৎকার আবহাওয়া থাকবে জাহাপনা ! আপনি নিঃসংকচিত্তে যেতে পারেন ।

    রাজা বের হলেন। রাজা যখন সাগর পাড়ে গেলেন, সাগর পাড়ে এক জেলে ছাগল চড়াচ্ছিলো, সে বললো-

    : মহারাজ আজকে কেন আপনি সাগরে যাচ্ছেন ? একটু পরেই তাে ঝুম বৃষ্টি হবে !

    রাজা রেগে বললেন -
    : বেটা জেলের বাচ্চা ! তুই কী জানিস আবহাওয়ার খবর ? আর আমাকে কি মূর্খ পেয়েছিস?! আমি খবর জেনে তবেই এসেছি।

    রাজা সাগরে গেলেন, কিছুক্ষণ পর শুরু হলাে ঝুম বৃষ্টি ! রাজা প্রাসাদে ফিরে এসে আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন, তারপর ঐ জেলেকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! জেলে তো পড়লাে মহা বিপদে! সে তাে আবহাওয়ার কিছুই জানে না!

    রাজ দরবারে গিয়ে জেলে কেঁদে বললো-
    : মহারাজ আমাকে যেতে দিন! আমি আসলে আবহাওয়ার কিছুই জানি না।

    রাজা বললেন -
    : তাহলে ঐ দিন আমার আবহাওয়া বিভাগের চেয়েও সঠিক খবর তুই কি করে দিলি !

    জেলে উত্তর দিল,
    : মহারাজ সেখানে আমার কোন কৃতিত্ব ছিল না ! সব কৃতিত্ব আমার ছাগলের ! বৃষ্টি আসার আধাঘন্টা আগে থেকে ছাগলটা ঘনঘন মুতে ! এর থেকে আমি বুঝতে পারি একটু পর বৃষ্টি হবে !

    তারপর রাজা জেলেকে ছেড়ে দিয়ে তার ছাগলটাকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! সম্ভবত সেই থেকেই কোনো কোনো অঞ্চলের বড় বড় পদগুলােতে ছাগল নিয়ােগ দেওয়ার রীতি চালু হয়।

    রম্যগল্প
    © Collected
    রাজা তার আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন- : আমি মৎস শিকারে যেতে চাই, আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে বলে জানা গেছে ? সে বল্লো - : আজকে অতীব সুন্দর, রৌদ্রোজ্জ্বল এবং চমৎকার আবহাওয়া থাকবে জাহাপনা ! আপনি নিঃসংকচিত্তে যেতে পারেন । রাজা বের হলেন। রাজা যখন সাগর পাড়ে গেলেন, সাগর পাড়ে এক জেলে ছাগল চড়াচ্ছিলো, সে বললো- : মহারাজ আজকে কেন আপনি সাগরে যাচ্ছেন ? একটু পরেই তাে ঝুম বৃষ্টি হবে ! রাজা রেগে বললেন - : বেটা জেলের বাচ্চা ! তুই কী জানিস আবহাওয়ার খবর ? আর আমাকে কি মূর্খ পেয়েছিস?! আমি খবর জেনে তবেই এসেছি। রাজা সাগরে গেলেন, কিছুক্ষণ পর শুরু হলাে ঝুম বৃষ্টি ! রাজা প্রাসাদে ফিরে এসে আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন, তারপর ঐ জেলেকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! জেলে তো পড়লাে মহা বিপদে! সে তাে আবহাওয়ার কিছুই জানে না! রাজ দরবারে গিয়ে জেলে কেঁদে বললো- : মহারাজ আমাকে যেতে দিন! আমি আসলে আবহাওয়ার কিছুই জানি না। রাজা বললেন - : তাহলে ঐ দিন আমার আবহাওয়া বিভাগের চেয়েও সঠিক খবর তুই কি করে দিলি ! জেলে উত্তর দিল, : মহারাজ সেখানে আমার কোন কৃতিত্ব ছিল না ! সব কৃতিত্ব আমার ছাগলের ! বৃষ্টি আসার আধাঘন্টা আগে থেকে ছাগলটা ঘনঘন মুতে ! এর থেকে আমি বুঝতে পারি একটু পর বৃষ্টি হবে ! তারপর রাজা জেলেকে ছেড়ে দিয়ে তার ছাগলটাকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! সম্ভবত সেই থেকেই কোনো কোনো অঞ্চলের বড় বড় পদগুলােতে ছাগল নিয়ােগ দেওয়ার রীতি চালু হয়। রম্যগল্প © Collected
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 234 Visualizações 0 Anterior
  • 0 Comentários 0 Compartilhamentos 260 Visualizações 0 Anterior
  • 0 Comentários 0 Compartilhamentos 264 Visualizações 0 Anterior
  • 0 Comentários 0 Compartilhamentos 266 Visualizações 0 Anterior
  • 0 Comentários 0 Compartilhamentos 278 Visualizações 0 Anterior
  • 0 Comentários 0 Compartilhamentos 280 Visualizações 0 Anterior
  • 0 Comentários 0 Compartilhamentos 287 Visualizações 0 Anterior
  • 0 Comentários 0 Compartilhamentos 282 Visualizações 0 Anterior
  • 0 Comentários 0 Compartilhamentos 278 Visualizações 0 Anterior
  • 0 Comentários 0 Compartilhamentos 275 Visualizações 0 Anterior
  • 0 Comentários 0 Compartilhamentos 280 Visualizações 0 Anterior
Mais stories
Linkheed https://linkheed.com